নদীর ধারে কাটানো একটি সুন্দর মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৩ ই জুলাই, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যখনি আমার কোন কারণবশত মন খারাপ থাকে তখনি আমি ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। ঘোরাঘুরি করলে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে। কয়েকদিন আগে বান্ধবীর সাথে হরিপুর ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সেদিন কলেজে গিয়ে একটুও ভালো লাগছিলো না মনে হচ্ছিল কোথায় একটু ঘুরে আসি। তারপর আমার এক বান্ধবী কে বললাম চল না একটু হরিপুর ব্রিজ থেকে ঘুরে আসি। আমার বান্ধবী বলল তার নাকি মার্কেটে কিছু কেনাকাটা আছে। আমি ওকে বললাম চল তাহলে বঙ্গবন্ধু মার্কেট থেকে তোর কেনাকাটার কাজ শেষ করে আমরা দুজন মিলে হরিপুর ব্রিজ থেকে ঘুরে আসি।
সেদিন কলেজে মোট পাঁচটা ক্লাস হওয়ার কথা ছিলো। সর্বশেষ ক্লাস ছিলো প্রাকটিক্যাল। আমরা চারটা ক্লাস করেছিলাম সর্বশেষ প্রাকটিক্যাল ক্লাসটা না করে দুজন মিলে বেরিয়ে পরি ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা কলেজের সামনে থেকে একটা রিক্সা ভাড়া করি। রিক্সা আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু মার্কেটের সামনে এসে নামিয়ে দেয়।
তারপর আমরা বঙ্গবন্ধু মার্কেট এর মধ্যে প্রবেশ করি এবং সেখান থেকে আমার বান্ধবী তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনে নেয়। কেনাকাটা শেষ করে আমরা বঙ্গবন্ধু মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসি। তারপর আমি আমার বান্ধবীর সাথে হাঁটতে হাঁটতে ফুলের দোকানে যায়। ফুল আমার ভীষণ প্রিয়। তাই আমি আমার বান্ধবীকে বলি আমাকে একটা লাল গোলাপ কিনে দিতে।
তারপর আমার বান্ধবী আমাকে একটি সুন্দর দেখে লাল গোলাপ কিনে দেয়। তার দেওয়া লাল গোলাপ টি পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। ফুলের দোকানের সামনে থেকে আমরা আরেকটা রিকশা নিয়ে পৌঁছে যাই হরিপুর ব্রিজে। তখন প্রায় বিকেল সাড়ে চারটা বাজে। ব্রীজের উপরে প্রচুর রোদ পড়েছিলো। তাই আমরা ব্রিজের উপরে না গিয়ে ব্রিজের নিচে নদীর ধারে দুজন বসে পরি।
নদীর ধারে বসে সময় কাটাতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আমার তো বেশ ভালো লাগে নদীর ধারে বসে গল্প করতে। তখনো বেশি মানুষ সেখানে আসেনি। হরিপুর ব্রিজে প্রতিদিন শত শত লোক ঘুরতে আসে। এর আগেও আমি এই ব্রিজে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু কখনো জায়গাটি পুরনো মনে হয়নি। আমরা গিয়ে ব্রিজের নিজে বসতেই একজন দুজন করে আস্তে আস্তে অনেক লোক সেখানে আসলো। আমরা দুজন ব্রিজের নিচে বসে গল্প করছিলাম এমন সময় দেখলাম কিছু বাচ্চারা নদীতে খুব মজা করে স্নান করছে।
তাদের আনন্দ দেখে মনে পড়ে গেলো শৈশবের কথা। শৈশবে নদীতে কখনো স্নান করা হয়নি কিন্তু সব বন্ধুরা মিলে একসাথে পুকুরে অনেক মজা করে স্নান করেছি। কতইনা মধুর ছিলো সেই দিনগুলো। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো কতই না ভালো লাগে। ইচ্ছে করে ফিরে যায় আবার সেই দিনে।
আমরা বেশ কিছু সময় বসে গল্প করলাম তারপর ভাবলাম কিছু খাওয়া দরকার। তারপর নদীর ধারের একটা দোকান থেকে এক বোতল কোক এবং এক প্যাকেট টিপস কিনে নিয়ে আসলাম। দুজনে মিলে খেতে খেতে একটু ঘুরে বেড়ালাম ব্রীজের নিচে। সেখানে আমরা প্রায় এক ঘন্টা তিরিশ মিনিট মতো সময় কাটিয়েছিলাম।
তারপর আমরা দুজন মিলে ঠিক করলাম আমাদের এবার বাসায় যাওয়া উচিত। তারপর দুজনে মিলে দুটি রিকশা ঠিক করে আমি আমার মতো আমার মেসে চলে আসলাম এবং আমার বান্ধবী তার বাড়িতে ফিরে গেলো। মন খারাপ থাকলে এই হরিপুর ব্রিজের নিচে সময় কাটালে মন এমনিতে ভালো হয়ে যায়। সুন্দর প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। সব মিলিয়ে সেদিনের ঘোরাঘুরিটা বেশ ভালোই লেগেছিলো।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৮ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
![k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png](https://cdn.steemitimages.com/DQme3ehQsUs7xw25pkznFEMPWUmLbrzHA5vUQt6eMeXJ4YK/k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvt
এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি নদীর পারে কিংবা সুন্দর এরকম পরিবেশে ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে। ক্লাস শেষ করার পর আপনি ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু নদীর পাড়ে কিংবা সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে মন মাঝে মাঝে একটু বাইরে ঘুরাঘুরি করতে চাই একঘেয়েমি কোন কিছুই বভালো লাগে না। প্রায় চার বছর পর হরিপুর ব্রিজের ফটোগ্রাফি দেখলাম। আসলে কুষ্টিয়া থেকে আসা আমার চার বছর হয়ে গেছে। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু আপনাকে এবং আপনার চারপাশের সৌন্দর্য দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনার বান্ধবীর সাথে এমন সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলেজ শেষ করে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস না করে বান্ধবীকে নিয়ে প্রথমে মার্কেটে কেনাকাটা শেষ করে হরিপুর ব্রিজে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন,যা পোষ্টের ছবিগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে।কারণ নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে অটোমেটিক্যালি মন ভালো হয়ে যায়।যাইহোক এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
নদীর ধারে প্রকৃতির পরিবেশে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ক্লাস শেষ করার পর আপনি ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো । আসলে নদীর ধারে প্রকৃতির পরিবেশ বেশ সুন্দর হয়ে থাকে । এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। নদীর ধারে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিকই বলেছেন নদীর ধারে প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ সুন্দর হয়ে থাকে। এ ধরনের জায়গাতে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
প্রাকটিক্যাল ক্লাস ফাঁকি দিয়ে দুই বান্ধবী মিলে তো ভালোই ঘোরাঘুরি করলেন । আবার বঙ্গবন্ধু মার্কেট এ গিয়ে আপনার বান্ধবী প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনে নিয়েছে । সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন আপু আমার তো মনে হচ্ছে আমিও যেতে পারলে ভালো লাগতো । এ ধরনের জায়গায় ঘুরতে কিন্তু ভালোই লাগে ।
মাঝে মাঝে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কি সুন্দর একটা দিন কেটেছে আপনার! আপনার বান্ধবীর সাথে কেনাকাটা থেকে শুরু করে নদীর ধারে বসে গল্প করার অভিজ্ঞতা সত্যিই চমৎকার। বাচ্চাদের আনন্দ দেখে শৈশবের স্মৃতিচারণা আর নদীর ধারে বসে সময় কাটানো - সবকিছু মিলিয়ে একটা অসাধারণ অনুভূতি এনে দিলো। ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। এমন সুন্দর দিন এবং মধুর স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, ভবিষ্যতে আরো এমন মজার পোস্ট দেখতে পাবো। শুভকামনা রইলো!
[@redwanhossain]
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই সত্যি বলেছো মাঝেমধ্যে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এরকম জায়গাতে ঘুরতে যেতে বেশ ভালোই লাগে। আমিও হরিপুর ব্রিজে অনেকবার গিয়েছি এটা সত্যি যে, এখানে যতবারই গিয়েছি পুরাতন মনে হয়নি প্রতিবার নতুন মনে হয়েছে। এখানকার দৃশ্য পুরাতন হলেও হৃদয়ের অনুভূতি নতুনই থাকে। নদীর ধারে দুই বান্ধবী মিলে গল্প করতে করতে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছো জেনে ভালো লাগলো। শৈশবে ফিরে যেতে পারলে তো সত্যিই চমৎকার হতো কিন্তু সেটা এখন আর সম্ভব না। তবে শৈশবের সেই সুন্দর স্মৃতি মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর একটি পোস্ট ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।