শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণ। (পর্ব-৩)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৭ই মার্চ, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ভ্রমন করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। পরিবারের অনুমতি না থাকায় খুব একটা ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে না। বেশ কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে কুষ্টিয়া শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে কাটানো বেশ কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকে আরো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমরা চারজনে মিলে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা তো আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে আগের পোস্টে শেয়ার করেছি। সেদিন যেখানে শেষ করেছিলাম আজ সেখান থেকে শুরু করব। খাবারের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ ছিল সেটা তো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। খাওয়া শেষ করে আমরা আবার কুঠিবাড়ি দিকে প্রবেশ করলাম। ততক্ষণে লাঞ্চ টাইম শেষের দিকে। পরিবারের মধ্যে কেউ থাকেনা। বাড়ির গেটেও তালা দেওয়া থাকে। তাই আমরা সকলে মিলে এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করতে থাকলাম। বাড়ির মধ্যে কেউ ছিল না একেবারে নিস্তব্ধ পরিবেশ। দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল। তা একটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে রেখেছিলাম।
তারপর আমরা একটি সরু রাস্তা দিয়ে লাইব্রেরী ভবনের দিকে যেতে থাকলাম। সেদিকে যে ভবন আছে যদিও এটা আমরা জানতাম না। হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম ভবনটি। তাই আমরা সবাই মিলে গল্পকথায় ভবনের দিকে এগোতে থাকলাম। আমাদের মতো অনেকে এখানে আসছিলো।এই বিল্ডিং গুলোর মূলত কাজ কি সেটা আমার জানা নেই। তবে একটি বিল্ডিং এর পাশে লেখা ছিল লাইব্রেরী ভবন। তাই বুঝলাম এখানে হয়তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই পাওয়া যাবে। লাঞ্চ টাইম হওয়ায় সে সময় সবকিছুই বন্ধ ছিলো।
সরু রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম। রাস্তা দুই পাশে আম গাছ এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ ছিল। গাছগুলো থাকার কারণে সেখানে রোদের তীব্রতা বোঝা যাচ্ছিল না। বেশ নিরিবিলি একটা রাস্তা। এধনে নিরিবিলি রাস্তায় সবাই মিলে হাতে বেশ ভালোই লাগে। হাঁটতে হাঁটতে আমার চোখে পড়লো পুকুরের মধ্যে লাল শাপলা ফুলের গাছ। সেখানে অনেকগুলো লাল শাপলা ফুটেছিল। আপনারা ফুলগুলো তো ফটোগ্রাফিতে দেখতেই পাচ্ছেন। একসাথে অনেকগুলো লাল শাপলা ফুল দেখতে ভারী চমৎকার লাগছিলো।
হাঁটতে হাঁটতে ভবনের দিকে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম সুন্দর একটি ফুলের বাগান। সবুজে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে সুন্দর একটি ফুলের বাগান করে রাখা হয়েছে। তখন একেবারে ভর দুপুর। সূর্য একেবারে মাথার উপরে কিরণ দিচ্ছিলো।সূর্যের তাপে সেখানে আর বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছিল না। তারপরেও আমরা সেখান থেকে কয়েকটা ছবি ক্যাটার করলাম। রোদে যেন ফুলগুলো সব নীতিয়ে পড়েছে। আমাদের মত অনেকেই সেখানে ছবি তুলছিল। সেখানে একটি পুকুরপাড় আছে। জায়গাটি বেশ ভালো লাগলো। আমরা সকলে মিলে ভবনটির আশেপাশে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম।
তারপর আমরা ভবনের সামনে থেকে বেশ কিছু ভবনের পিকচার তুলে নিলাম। ভবনের সামনে গিয়ে আমরা নিজেরাও বেশ কয়েকটি পিকচার তুলে নিলাম। এত ছবি তুলেছি যে পরে দেখতে গিয়েই অধৈর্য হয়ে গেছি। ভবন গুলোর পিছনের দিকে ছায়া সুনিবির পরিবেশ। আমরা অবশ্য সেদিকে আর যাই নাই। অনেকেই ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে এসেছে। তারা সবকিছু করে দেখছিল দেখতে ভালো লাগছিলো।তারপর আমরা ভবনের দিকে ঘোরাঘুরি শেষ করে আবার কুঠিবাড়ি দিকে ফিরে আসতে থাকলাম। আমরা যতক্ষণে ফিরে আসছি ততক্ষণে লাঞ্চ টাইম শেষ হয়ে গিয়েছে।লাঞ্চ টাইম শেষে কুঠিবাড়ি আবার খুলে দেওয়া হয়।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে তৃতীয় নাম্বার গেট দিয়ে কুঠিবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলাম। সেখানে ঢুকে আমাদের চোখে পড়ল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত কূয়া। এই কূয়াতেই নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্নান করতেন। এখানে তার বেশ কিছু সময় কেটেছে। তখন অনেক ভিড় থাকায় আমরা আর কুঠিবাড়ির দিকে প্রবেশ করিনি। আমরা সোজা সেখান থেকে বেরিয়ে আম বাগানের দিকে চলে যাই। সেখানে গিয়ে কি করলাম এবং কেমন মজা করেছি সবকিছু পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনার লেখার মাধ্যমে কল্পনাতে কিছুটা অনুভব করা যায়।আপনার লেখার স্টাইল টা ইউনিক।
আমার লেখা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত কুঁয়া দেখে ভালো লাগলো। আর ঢুকেই কী সুন্দর বাগান৷ আসলে রবিঠাকুর মানেই আমাদের প্রাণের ঠাকুর৷ তাকে ঘিরে বা তাঁর সব কিছুই আমাদের ভীষণ ভালো লাগে।
অনেক ছবি যখন তুলেছেন আশা করব পরে পরে ধীরে ধীরে আরও অনেক ছবি আমাদের জন্য আপলোড করবেন৷
হ্যাঁ দিদি অবশ্যই আমি সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির কথা সব সময় বইয়ে পড়া হয়েছে। কখনো যাওয়া হয়নি সেখানে। আপনি সেখানে ভ্রমণের তিন নাম্বার পর্ব শেয়ার করেছেন। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই আপু সময় পেলে এখানে এসে ঘুরে যাবেন। আশা করছি জায়গাটা ভালো লাগবে। অনেক কিছু দেখতে এবং শিখতে পারবেন। ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছেন।এই ভ্রমণটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ইতিহাস জানতে পারা যায়। ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি এগুলো দেখে।
হ্যাঁ ভাইয়া, এসব জায়গা ভ্রমণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা যায় চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। আজকে আপনি তৃতীয় পর্ব সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই পর্বের মাধ্যমে দেখলাম আরো অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি। আপনারা সবাই মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তীতে আর কি কি করেছিলেন এগুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
সবাই মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু
যেহেতু বাড়ির কাছেই এটি বেশ অনেক বার যাওয়া হয়েছে। এটা অন্যরকম একটা অনূভুতি। এ রাস্তা ঐ ভবন ঐ বাগান যেন কত চেনা। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা আপু। খুবই সুন্দর লিখেছেন আপনি এবং ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমি এই মিলে দুইবার গেলাম। জায়গাটা খুবই শান্ত আমার কাছে ভালো লাগে। আপনি তো জায়গাটা সম্বন্ধে অবশ্যই জানেন। পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ।