রেসিপি পোস্ট :রুই মাছের ঝোল রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৯ডিসেম্বর, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে রুই মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি যে খুব ভালো রান্না করতে পারি এমনটা না। তবে আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি কেমন হয়েছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
| ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | মাছ | ২পিস |
| ২ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
| ৩ | ঝালের গুড়া | তিন টেবিল চামচ |
| ৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
| ৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
| ৬ | জিরা বাটা | হাফ টেবিল চামচ |
| ৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
| ৮ | আদা বাটা | এক টেবিল চামচ |
| ৯ | চিনি | এক টেবিল চামচ |
| ১০ | শুকনা মরিচ বাটা | দুই টেবিল চামচ |
| ১১ | গোটা টমেটো | তিনটা |
| ১২ | তেজপাতা | দুইটা |
| ১৩ | পেঁয়াজ | সামান্য পরিমাণ |
| ১৪ | রসুন | কয়েক কোয়া |
| ১৫ | ফুলকপি | পরিমাণ মতো |
| ১৬ | আলু | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
মাছগুলো ফ্রিজ থেকে বের করে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। ফুলকপি এবং আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। সব ধরনের মসলা আদা, জিরা, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন এবং দুইটি মাঝারি সাইজের টমেটো একসাথে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছি। হলুদ, লবণ এবং ঝালের গুড়া একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি।একসাথে মেশানো হলুদ, লবণ, ঝালের গুড়া দিয়ে মাছগুলো মেখে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তারপর মাছ সুন্দর করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
মাছ ভেজে উঠিয়ে নেওয়ার পর।কড়াই এর সামান্য তেল দিয়ে ফুলকপি এবং কলা ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
চুলায় সামান্য তেল দিয়ে পেস্ট করে রাখা মসলা দিয়ে নিয়েছি। মসলাগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নেব। তারপর মসলাগুলোর মধ্যে সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে নেব ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়ার জন্য।
ধাপ-৪
মসলাগুলো কষিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে কেটে রাখা টমেটোগুলো দিয়ে নিয়েছি। টমেটোগুলো থেকে জল বের হবে। জল শুকিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত নাড়াচাড়া করতে হবে।
ধাপ-৫
টমেটো এবং মসলাগুলো কড়াইয়ে হালকা লেগে আসবে এমন পর্যায়ে এরমধ্যে ভেজে রাখা মাছ এবং সবজিগুলো দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
কিছু সময় নাড়াচাড়া করে নেওয়ার পর মসলা এবং সবজিগুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিয়েছি। এভাবে কিছুক্ষণ জ্বাল করতে হবে।
ধাপ-৭
জল খানিকটা শুকিয়ে আসলে সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর কেটে রাখা কাঁচা মরিচ গুলো ঝলের উপর ছড়িয়ে নিয়েছি। তারপর আবার কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে জ্বাল করে নেব।
ধাপ-৮
কিছু সময় পর ঢাকনা উঠিয়ে নিবো।ঝোল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। তারপর ঝোল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা অফ করে দিয়েছি।
পরিবেশন
পরিশেষে রুই মাছের মজাদার ঝোল রেসিপি পরিবেশন করে নিয়েছি।কালারটা কিন্তু দারুন এসেছে। এভাবে করে এই প্রথমবার রুই মাছের ঝোল রান্না করেছিলাম। খেতে কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছিলো।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আজকের ম্যান্ডেটরি টাস্ক কমপ্লিট করার পরে স্ক্রিনশট নিয়েছি।
রুই মাছের ঝোল রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রুই মাছের ঝোল রেসিপিটি চমৎকার সুন্দর হয়েছে। রুই মাছ অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি। দারুণ লাগে খেতে এই রুই মাছ।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো দিদি। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আহ্ রুই মাছের লোভনীয় ঝোল রেসিপি দেখেই তো জিভেতে জল চলে আসলো। শীতের সবজি দিয়ে রুই মাছের ঝোলের একটু বেশি টেস্ট হয়। কালারটা একদম ওয়াও হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন শীতের সবজি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকালীন ফুলকপি সব সময় ভালো লাগে। আর আপনি রুই মাছ দিয়ে এত সুন্দর করে এটা রান্না করেছেন যে দেখে লোভ লেগে যাচ্ছে আপু। দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।
ফুলকপি আমারও অনেক ভালো লাগে তবে একভাবে বেশি দিন খেলে তখন আর রুচি হয় না। রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর রুই মাছের রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন আপু। এমন মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই রেসিপি শেয়ার করতে দেখে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের দেখানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রুই মাছের ঝোল রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। এভাবে ফুল কপি দিয়ে কখনো রুই মাছ খাওয়া হয়নি। বেশ মজা করে খেয়েছেন নিশ্চয়। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রুই মাছের ঝোল রেসিপিটা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আলু দিয়ে এভাবে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ঝোলটা মেখে গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক সুস্বাদু হয় খেতে। ধন্যবাদ আপু মজার রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
মাছের ঝোল খেতে অনেক ভালো লাগে। ফুলকপি আলু দিয়ে দারুন ভাবে মাছের ঝোল করেছেন আপু। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতেও দারুণ হয়েছিল। খুবই লোভনীয় লাগছে আপনার তৈরি করা এই খাবারটি। অনেক ভালো লেগেছে এই রেসিপি।