কালবৈশাখীর আগে অশান্ত প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০২ মে,শুক্রবার, ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লক শেয়ার করতে এসেছি। নিত্য নতুন ব্লগ শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। বৃষ্টি আসার আগ মুহূর্ত নিয়ে এর আগের ব্লগে খুব সুন্দর করে বলেছি। আজকে বৃষ্টি আসার আগ মুহূর্তের প্রাকৃতিক কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছে। আপনারা তো সবাই জানেন আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। এর আগেও অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। চলুন তাহলে দেরি না করে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ঝিঙ্গা ফুলের ফটোগ্রাফি। কালকে বৃষ্টি আসার আগ মুহূর্তে মাঠে গিয়ে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম। প্রকৃতি যেন ঝড়ের আভাসে মেতে উঠেছিল। প্রকৃতির নতুনত্ব সেই রূপ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যখন ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছিল। চারিদিকে ফুল এবং গাছগুলো দূর খাচ্ছিলো। এই চমৎকার দৃশ্য দেখেও ফটোগ্রাফি না করে কি করে থাকতে পাড়ি! মাঠের মধ্যে যখন মনকে মেলে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম তখনই চোখ পরে এই ঝিঙ্গা ফুলের দিকে। চোখ পড়তেই তুলে নিলাম হলুদ রঙের এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি। হাওয়ায় দোল খেতে দেখে আরও বেশি ভালো লাগছিল।
ফটোগ্রাফি নং-২
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে কালবৈশাখীর আগে সেই কালো হওয়া আকাশের ফটোগ্রাফি। কালবৈশাখী হওয়ার আগে চারিদিকে এরকমটাই কালো হয়ে যায়। প্রতিটি যেন জমকালো রূপ ধরে। হালকা শীতল বাতাসে দোল খায় প্রকৃতির নানান গাছপালা। প্রকৃতি মেতে ওঠে এক অন্যতম খেলায়। এই অপূর্ব দৃশ্য যেন মন কেড়ে নেয়। সব থেকে ভালো লাগে বাতাসে মাটির গন্ধ। সে যেন এক টুকরো শান্তি। এরকম আকাশের নিচে থাকতে বেশ ভালো লাগছিলো।কত সুন্দর তাই না!
ফটোগ্রাফি নং-৩
তিন নাম্বার ফটোগ্রাফিতে রয়েছে মেঘলা আকাশের ফটোগ্রাফি।মেঘেরা সব আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। সাদা মেঘ আস্তে আস্তে কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির এই রুদ্ররূপ যতটাই সুন্দর ততটাই ভয়ের। তবে এখনকার ঝড় খুব একটা ভয় হয় না। তারপরেও অনেকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মেঘের সেকি গর্জন। এরকম দৃশ্য শুধু গ্রামেই দেখা যায়। প্রকৃতির মাঝে এরকম এক টুকরো সময় উপভোগ করা শান্তি ছাড়া আর কিছু নয়।
ফটোগ্রাফি নং-৪
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে তিল ফুলের ফটোগ্রাফি। এখন মাঝে মাঝে শুধু তিল গাছ আর ধান গাছ। আমাদের এদিকে ধান গাছ খুব একটা দেখা যায় না। ক্ষেতের পর ক্ষেত তিল। পাট খেতে রয়েছে। পাট গুলো এখন অনেকটাই ছোট ছোট। হাওয়ায় যখন এই ছোট ছোট পাটের মাথা দোল খেলায় দেখতে অপূর্ব লাগে। মৌমাছিরা এখন ব্যস্ত থাকে তিল ফুলের মধুর সংগ্রহ করতে। সবুজ গাছের মাথায় থোকা থোকা সাদা রংয়ের ফুল কতটা আবার বেগুনি দেখতে অপূর্ব লাগে। হাওয়ার তালে তালে ফুলগুলো দুলতে দেখে আরো বেশি ভালো লাগছিল। এই ভালোলাগা লিখে প্রকাশ করা যাবে না।
ফটোগ্রাফি নং-৫
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে অশান্ত প্রকৃতি। চারিদিকে যখন কালো হয়ে আসছে সবুজ প্রকৃতি তখন মেতে উঠেছে বড্ড অশান্ত হয়ে। হাওয়ার তালে তালে দোল খেলতে তারা যেন অনেক আনন্দ উপভোগ করছেন। চারিদিকে সবকিছু হাওয়ায় জোরে জোরে দোল খাচ্ছিল। মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন। এ এক অশান্ত প্রকৃতির প্রদর্শন। ঝড়ের আগে এই অশান্ত প্রকৃতির এই খেলা যেন তারিখের মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনে।প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষগুলো খুঁজে পায় এক টুকরো তৃপ্তির ছোঁয়া। দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৬
আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে একটি শশা ফুলের ফটোগ্রাফি। দেখে তো মনে হচ্ছে এটা শশা ফুলেরি ফটোগ্রাফি।প্রকৃতির খেলায় আমিও মেতে উঠেছিলাম। চারিদিকে যায় দেখছিলাম সবকিছুই ভালো লাগছিল। সবকিছুই চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফিটি আমাদের মাঠ থেকেই তুলেছিলাম। সবগুলো ফুল বাতাসে তুলতে দেখে শান্তির মাঝে একটুখানি ফটোগ্রাফি না করলেই নয়।
আজ এই পর্যন্তই।
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০১মে ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আগের মুহূর্তে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালই লাগলো। দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি এবং তৃতীয় ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। প্রকৃতির শান্ত রূপ যেমন সুন্দর তেমনই অশান্ত রূপ অনেক ভয়ঙ্কর হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আজকে মুগ্ধ হওয়ার মতো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো করতে আর দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসম্ভব দারুণ ছিল। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না।
আমার কাছে ফটোগ্রাফি পোস্ট কত বেশি ভালো লাগে এটা বলে বোঝাতে পারবো না। ফটোগ্রাফি দেখলে মনটা একেবারে ভরে যায়। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করলে অনেক আকর্ষণীয় লাগে। আর অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠে। এখন আমাদের এই কমিউনিটির কমবেশি সবাই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনিও অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1918735933349728608?t=Nl91H5JnACaI4j4tkrcH_g&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1918736568677736546?t=Lt6F5W_JcYX1Lc3WzcDZIg&s=19
আপনি দেখতে বিভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। কালবৈশাখের আগে প্রকৃতির চমৎকার ফটোগ্রাফি করলেন। তবে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখলে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। ভালো লাগার মত ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি টা অসাধারণ ছিল আপু। একটা সময় এমন দৃশ্য দেখলে মনের মধ্যে আনন্দ এবং ভয় দুইটাই অনূভূত হতো। আপনার অন্য ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আসলে এরকম মুহূর্ত গুলো দেখার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করতে থাকে যা আমি সবসময় উপভোগ করে থাকি৷ বৃষ্টি আসার যে আগ মুহূর্ত থাকে সেই মুহূর্ত৷ আর আজকে যেভাবে আপনি কালবৈশাখীর আগ মুহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেটিও দেখে খুব ভালই লাগছে৷ আপনি যঅনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে সবকিছু শেয়ার করেছেন যা দেখতে খুব ভালই লাগছে৷