//লাইফস্টাইল:-হঠাৎ করে নানুর বাসায় //
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনেন মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে লাইফস্টাইল:-হঠাৎ করে নানুর বাসায় আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে নতুন কিছু ব্লগ নিয়ে আসার চেষ্টা করি।এখানে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে। আজকে সারাদিন কাজ করে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিলাম। শুক্রবার এমনিতেই সব কাজ ঠিক মতো হয় না।অন্য দিন গুলো টাইম মতো সব কাজ করা যায়। যাইহোক শত ব্যাস্ততার মধ্যেও আপনাদের মাঝে পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হলাম। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি ঠিক মতো কিন্তু আমি নানুর বাসায় যাওয়া আসা করি না।আমার বাবার যেমন বয়স ঠিক তেমনি আমার নানুর বয়স কিন্তু অনেক।বছরে আমি ঠিকমতো তিনবারও মনে হয় নানুর বাসায় যায় না।আমার নানু কিন্তু আগে থেকেই একটু অসুস্থ। তবে হালকা অসুস্থ থাকার কারণে আমরা সেইরকম ভাবে সিরিয়াস কিছু মনে করি না।তবে আমার নানু কিন্তু আমাকে অনেক ভালবাসে। কারণ আমি কিন্তু সব ফ্যামিলির থেকে আমি সবার ছোট। কথায় আছে না ছোট ছেলেরা সব সময় অনেক আদর পেয়ে থাকে এবং অনেক ভালো বাসা পায়।আমি যখনই আমার নানুর বাসায় যাই। সেখানে আমার নানা তারপর আমার খালু, আমার মামা সবাই আমাকে অনেক আদর করে।
একদিন ঠিক হঠাৎ করে দুপুর বেলায় আমার মামা আমাকে ফোন দেয়।ফোন দিয়ে বলে যে তাড়াতাড়ি আমাদের বাসায় আসো।এর আগে কিন্তু এইরকম কোনো ভাবেই ফোন দিয়ে আসতে বলে নাই আমি। যখন এইভাবে কথাটি বলল আমি ব্যাপারটি সিরিয়াজ ভাবে নিয়ে নিলাম।তারপর আমি সঙ্গে সঙ্গে বাসায় রেডি হয়ে নানুর বাসায় রওনা দিলাম। তো নানুর বাসায় গিয়ে দেখি যে অনেক লোকজন আত্মীয়-স্বজন সেখানে আসছে।তো আমি ভাবলাম হয়তো নানুর কিছু একটা হয়েছে।তো পরে ভিতরে গিয়ে শুনি নানুর নাকি অসুক একটু বেড়ে গেছে।এমনিতেই আমার নানুর কিন্তু অনেক বয়স হয়েছে তার পর আবার তার ছেলে, মানে আসার ছোট মামা ঢাকায় থাকে।তাকে নিয়ে নানু অনেক টেনশন করে। নানুর কাছে সে কিন্তু ছোট ছেলে। এই জন্য ছোট ছেলেরা সব সময় বাবা মার কাছে অনেক ভালোবাসা পায়। এবং অনেক টেনশন করে বাবা মায়েরা।
তারপর আমি নানুর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করলাম। নানু আমাকে দেখে অনেক খুশি হলো এবং আমিও সাক্ষাৎ করে খুবই খুশি হলাম।আসলে কার কখন অসুস্থতা বেড়ে যায় এবং কে কখনো অসুস্থ হয় এটা কিন্তু বলা মুশকিল।আমার নানু কিন্তু এমনিতেই অসুস্থ কিন্তু এই ভাবে বাড়বে এটা কিন্তু আমরা কেউ জানিনা।আমরা মানুষ মাত্র এই দুনিয়াতে আসছি শুধু খানিকের জন্য। আমাদের মৃত্যু কখন হবে বা কোথায় হবে এটা আমরা কেউ জানিনা। কিন্তু আমাদের সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটা একদম বাস্তব। তো যাই হোক নানুর চিকিৎসা করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার আসলো। এবং তাকে কিছু ওষুধ দিলো।আসলে আমার নানুর অন্য কোন রোগ বালাই নেই।এখানে আমার নানুর বয়স হওয়ার কারণে সে বিছানায় পড়ে গেছে।
তো যাই হোক আমি নানুর সঙ্গে দেখা করলাম এবং ফ্যামিলির সবার সঙ্গে দেখা করলাম। অনেক দিন পর আসলাম সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে অনেক ভালো লাগলো।আসলে এইভাবে হঠাৎ করে আসা এবং সবার সাথে দেখা করা এটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। কারণ নানুর বাসায় যেহেতু আসা হয় না এটা একটা আসার উসিলা ছিলো।আসলে এখানে বোঝা যাচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেখানে রিজিক রাখছে আমাদের সেখানেই কোন না কোন উসিলা দিয়ে যাইতে হবে।যাই হোক পরে আমি দেখা সাক্ষাত করে বাসায় ব্যাক করলাম।তো পরের দিন সকাল সকাল হঠাৎ করে আমার ফোনে ফোন আসে। ফোন ধরে সঙ্গে সঙ্গে আমার খালাতো ভাই বলে যে নানা আর নেয়। এই কথা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে আমি আবার নানুর বাসায় রওনা দিলাম। আসলে নানু হয়তো আমাদেরকে দেখার জন্য একটু অপেক্ষা করছিলো।যাইহোক আপনারা সবাই আমার নানুর জন্য দোয়া করবেন যেনো ওপারে সৃষ্টিকর্তা তাকে নাজাত দান করেন।তো বন্ধুরা আমি এখানেই আজকে শেষ করলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আপনার নানুর জন্য দোয়া রইল আল্লাহ তাকে পৃথিবীতে যতদিন রাখে সুস্থভাবে যেন বেঁচে থাকতে পারে।আসলে ভাইয়া কেউ হঠাৎ করে ফোন দিলে খারাপ লাগে। যাইহোক আমাদের সবার পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে আজ অথবা কাল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/Polashislam681/status/1834592912660975656?t=R7TsVaVosgcvN9dOQ6nVMg&s=19
প্রত্যেকটা সন্তান তার পিতা মাতার কাছে ছোট। আর নিজের মায়ের ধন মায়ের কাছে সব সময় অবুঝ। তাই পিতা মাতার এই ভালোবাসা অসীম। ঠিক তেমনি আপনার নানুর কাছে আপনার মামা প্রাণের চেয়ে প্রিয় আদরের ধন। যাই হোক নানা বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
আপনাকেও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার নানুর যেহেতু অনেকটাই বয়স হয়েছে তাই তিনি এখন মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। আসলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। নানু বাসায় গিয়েছিলেন r ভালো লাগলো ভাইয়া। আর আপনার নানুর সুস্থতা কামনা করছি।
জি আপু বয়স বেশি হলে অসুস্থ হয়ে পড়বে এটা স্বাভাবিক।
ছোট ভাই একটা কথা আছে সময়ের কাজ সময়টা করতে হয়। নানু বাড়ি যাওয়ার মুহূর্ত এখন,এখন পর্যন্ত যাওয়াটা ভালো। তবে এমন একটা মুহূর্ত আসবে যখন আর ইচ্ছে থাকলেও যা হয়ে উঠবে না। বছরে তিনবার যা হোক বা না হোক তারপরও চেষ্টা করতে হবে। কারণ আপনজন সব সময় চায় নিজের আপন জনকে চোখের সামনে কেটে। ওই যে বললেন নানা অসুস্থ। এ সমস্ত মানুষগুলো কোন সময় হারিয়ে গেলে তখন পস্তাতে হবে আমাদের মত। তাই সবকিছু একটু বুঝাও প্রয়োজন রয়েছে। সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
প্রথমে আপনার নানুর জন্য আমার পক্ষ থেকে দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।বয়সের সাথে সাথে শরীরের অবস্থা ও খারাপ হতে থাকে, যেহেতু আপনার নানুর অনেক বয়স হয়েছে তাই তিনি এখন মাঝেমধ্যেই অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন। যাইহোক আপনি নানু বাড়ি যাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
মামার ডাকে সারা দিয়ে নানুর বাসায় গিয়ে খুব ভালোই করেছেন। তবে পরের দিনের খবরটা খুবই দুঃখজনক। যায়হোক দোয়া করি আপনার নানু যেন,জান্নাতের উচ্চ স্থান পায়। ধন্যবাদ।