//আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২৬//
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২৬ আমি আপনাদের মাঝে অনেক কয়েকটি পর্ব শেয়ার করছি।আসলে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু কাহিনি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি।কারণ এখানে নিজের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে অনেক সময় ভালো লাগে। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আপনারা হয়তো এর আগে পর্বে পড়ছিলেন যে,ভাইয়া আমাদের বাসায় এসে বাবাকে তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য বাধ্য করে।বাধ্য করার কারণ হচ্ছে বাবাকে তার একটি কথা বলার কারণে বাবা সেখানে যাওয়ার জন্য রাজি হয়।তো পরে বাবা সেখানে গেলো, গিয়ে কয়েকদিন থাকলো।কিন্তু ওখানে যে বাবা থাকলোএবং খাওয়া দাওয়া করলো। কিন্তু চিকিৎসার সব ওষুধ কিন্তু আমি দিয়ে আসি।উনারা শুধু ঠিকমতো ওখানে খাওয়া-দাওয়া করাই এবং বাকি যে ওষুধ লাগবে সেটা করে না।এখন আপনারাই বলেন একটা অসুস্থ লোককে যদি সারাদিন খেতে দেওয়া হয় কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। তাহলে এটা কোন ধরনের ব্যবহার,,?
তবে উনারা আমার বড় ভাই আমি কোনদিন তাদেরকে বলি নাই যে,ওষুধ নিয়ে আয়।এখানে আমি যখন ওষুধ আনতাম মাঝে মাঝে আমার বাবা আমাকে টাকা দিতো।সেই টাকা দিয়ে বাবার জন্য ওষুধ নিয়ে আসতাম। কোন ছেলে বাবাকে কোন টাকা দেয়নি।আসলে এই কাহিনী গুলো মনে করলে খুবই খারাপ লাগে। এটাতো তাদের উচিত যে, বাবা আমাদের বাসায় আছে তার সমস্ত জিনিস যা করার লাগে ওষুধ পাতি সব আমরা দিয়ে দিবো।কিন্তু তাদের মাথায় এটা কোন ধরনের টেনশন বা কথাটা মনে ছিল না।পরে যাই হোক আমার বাবার ওষুধ যখন শেষ হয়েছে, আমি নিজেই ওষুধ নিয়ে আসে বাবাকে দিয়ে আসি।
তবে এটা জানি না বাবার জন্য আমি কতটুকু খেদমত করতে পারছি। বা বাবার কাছে কতটুকু আমি আপন ছিলাম।কিন্তু আমার একটা কথা মনে আছে বাবা আমাকে নিয়ে অনেক টেনশন করতো।কারণ আমি পরিবারের ছোট ছেলে বাকি সব ভাইয়েরা তাদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এবং আমি কি করে খাবো, কি করবো না করবো এই নিয়ে অনেক টেনশন করে।তারপরও বাবাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমি বললাম যে তোমাকে এগুলো টেনশন করতে হবে না। আমি যতটুকু বড় হয়েছি আল্লাহ দিলে ইনশাল্লাহ সামনে কিছু একটা করতে পারবো।কিন্তু বাবার মন তো সবকিছু জানে, যে বাবা কেমন তার ছেলে কেমন সব কিছুই তো বুঝতে পারে।
তো যাই হোক তারা কোন ভাবেই কোনদিন ওষুধ নিয়ে আসে নাই। যা ওষুধপাতি লাগে সব আমি নিয়ে আসতাম।কিন্তু এটাও জানি না তারা আমার বাবাকে কি কি খাওয়াতো আর না খাওয়াতো। বাবাকে প্রশ্ন করলে বাবা বলে যে খেয়েছি বা খেয়ে নাই। এই দুটো ছাড়া কিছু বলে না।আসলে আমাদের মত এইরকম পরিবার আমি কোন জায়গায় দেখিনি, যে এতো জঘন্য কাহিনী হবে আমার জীবনে।আমি আমার পরিবারকে ছোট না করি। কারণ আমি যেটা পরিবারে দেখলাম আসলে এটা আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে।আমি সব সময় দোয়া করি আমাদের মত বা এইরকম কোন কাহিনি কারো জীবনে যেনো না হয়।আপনারা সবাই নিজের বাবা মাকে অনেক যত্ন করবেন এবং ঠিকমতো তাদের খেয়াল রাখবেন। তো বন্ধুরা আজকের মত আমি এখানেই শেষ করলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আপনার পরিবারে, আপনার বাবার প্রতি আপনার এবং আপনার ভাইদের আচরণের এই যে পার্থক্য, সেটা একেবার নতুন কিছু না। অনেক পরিবারেরই এটা দেখা যায়, যদিও এটা কাম্য নয়।
আপনি যে আপনার বাবার জন্যে অন্তঃপ্রান, এটা অবশ্যই অসম্ভব ভাল একটা বিষয়। এটা হারাবেন না!
শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
https://x.com/Polashislam681/status/1834214925809439033?t=tM8qj8QwuNG9oFMpIUK3Rg&s=19