Better Life with Steem||The Diary Game|| 26th April 2024
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি আমার একটি দিনের কার্যক্রম। তবে সত্যি বলতে আজ আমি ভেবেছিলাম পোস্ট লিখবো না। কিন্তু একটা বিশেষ কারণে যেন এই মুহূর্তে মনটা খুব ভালো আছে।
বাংলাদেশ সময় রাত দশটার কিছুটা আগেই লিখতে বসেছিলাম কিন্তু হ্যাংআউটের জন্য লেখাটি স্থগিত রেখেছিলাম। যাইহোক, কিছুটা ফ্রি হয়ে আবারো লেখা সম্পন্ন করতে বসেছি।
যেহেতু , শেষ রাতের দিকে ঘুমাতে গিয়েছিলাম তাই সকালে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না। যাইহোক, আমাদের আজ ধান মাড়াই করা হবে যে কারণে সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। প্রথমেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে আমি সকালের ওষুধ খেয়েছিলাম। যথারীতি কয়েকটি বস্তা নিয়েছিলাম ধান রাখার জন্য। যদিও এক কাকু ছিলেন বাবাকে সহযোগিতা করার জন্য তবুও আমিও গিয়েছিলাম।
কারণ আমার শারীরিক সমস্যার জন্য আমার কাছে থেকে রাত জাগতে জাগতে গতরাত থেকে মায়ের শরীরটাও একটু অসুস্থ্য মনে হচ্ছিল। তাই মা যেন এই গরমে ধান ও খড়ের কাছে না যেতে পারে এ কারণেই আমি দ্রুত গিয়েছিলাম। প্রধানত অতিরিক্ত গরমে ঘাম বসেই মানুষ এখন বেশি অসুস্থ্য হচ্ছে। আমার আবার ধূলো বালিতে অ্যালার্জির সমস্যা, তাই একটা মাস্ক নিয়েছিলাম।
আমি পৌঁছেই দেখলাম আমার বড়কাকু, কাকিমা, কাজিন-রূপম এবং ধান মাড়াইয়ের মেশিন চালক উপস্থিত এবং ইতিমধ্যে তাঁরা কাজ ও শুরু করেছিল।
ধানের বোঝা গুলো যেখানে রাখা হয় সেটাকে পালা বলে, এটা হয়তো সঠিক শব্দ না কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রচলিত শব্দ। আমার কাকু ও বাবা ধানের বোঝা একটি একটি করে মেশিনের ওপরে রাখছিল।
এই ধান মাড়াইয়ের মেশিনটাও উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কার যেটা আমাদের কষ্ট কমিয়ে অর্ধেক করেছে। আগেরকার দিনে মানুষ গরু ও মহিষের সাহায্যে ধান মাড়াই করতো যেটা ছিল সময় সাপেক্ষ এবং অনেক কষ্টকর।
পাশাপাশি একটা কথা মনে পড়লো যে আমিও শৈশবে এই কাজে শীতের সময় আমার নোয়া ঠাকুদারকে সহযোগিতা করতাম। ঐ মুহুর্তে আমার ঠাকুরমা বলতেন আগের দিনের মানুষ খুব শক্তিশালী ছিল। কারণ আমার নোয়া ঠাকুরদার দুইটা বলদ ছিল হালচাষের জন্য। একদিন অন্যের ধানের জমিতে হালচাষ করতে গায়ে একটি বলদ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঐ মুহুর্তে আমার নোয়া ঠাকুরদা ঐ হালের বলদটাকে কাঁধে করে খাল পার করে বাড়িতে ফিরে এসেছিল।
এটা কিন্তু কোনো গল্প না বাস্তব ঘটনা। আমি ধান মাড়াইয়ের সময় এই ঘটনাটি ভাবতেছিলাম । কারণ এখন উন্নত প্রযুক্তি আমাদের জীবনধারাকে অনেক সহজ করেছে কিন্তু ঐ সময়ের মানুষ হয়তো অতিরিক্ত পরিশ্রম করার জন্যই বেশি শক্তিশালী ছিল। নচেৎ ঐ তুলনায় এখন কোনো কষ্টই করতে হয় না। অথচ আমরা যেন অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠি। সব কিছুতেই একটু সহজলভ্যতা খোঁজার চেষ্টা করি।
অন্যপাশে আমার কাকিমা ও কাজিন-রূপম ধান বস্তায় রাখছিল। আগের দিনে একবারেই এভাবে ফ্রেশ ধান পাওয়া যেত না। কুলার সাহায্যে বাতাসে ধান পরিষ্কার করা হতো।
আমার কাকু একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত। এ কারণেই কাকুর এই ধরনের পরিশ্রম করার অভ্যাস দীর্ঘদিন থেকে নেই। আমি দেখলাম আমার কাকুর সম্পূর্ণ শরীর যেন ঘেমে ভিজেছিল।
আমি কাকুকে বিশ্রাম করতে বলে নিজেও একটু সহযোগিতা করেছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আমার অবস্থাও খারাপ হয়েছিল। আমার শরীর ও ভীষণ ঘামতে শুরু করেছিল। যাইহোক, ধান মাড়াইয়ের কাজ শেষ হতেই আমি বাড়িতে ফিরে নিজেকে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
খুব ঠান্ডা খেতে ইচ্ছে করছিল তাই আমাদের স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলাম। তবে পথেই ইমন ও বাপিকে কল করে বাজারে আসতে বলেছিলাম। ইমন বাইকে নিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে এসেছিল। কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েই আমরা যে যার বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
যথারীতি অন্য সময়ের মতো নিজেকে পরিষ্কার করে আমি আমার একমাত্র ভাগ্নির সাথে শুয়ে মোবাইলে কার্টুন দেখছিলাম। কেউ ছিল না কার্টুন দেখার দলে তবে এখন আমার দলটা ভারী হয়েছে আমার ভাগ্নির জন্য।
বিকেল তিনটায় স্নান শেষ করে খাবার খেয়েছিলাম । অন্যদিকে মামা অনুপম কল করেছিল, কারণ মামার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে। আমি দ্রুত বাজারে গিয়ে একটি হেডফোন নিয়েছিলাম।
👇👇
Location | Name | BD Price | Steem Price |
---|---|---|---|
Bangladesh | Headphone | 150.00 | 05.00 |
ইতিমধ্যে আমার মামা ও চলে এসেছিল। যাইহোক, মামার বাইকে চড়ে আমি ও মামা একজন গর্ভবতী নারীকে দেখতে গিয়েছিলাম। যেহেতু, মামা একজন মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ, তাই এলাকায় মামার বেশ পরিচিতি ও আছে।
মামা ডায়াবেটিস প্রতিবেদনটি দেখিয়ে ওনাকে বলেছিলেন ইনসুলিন নেওয়ার কথা। নচেৎ সিজারের সময় অনেক বেশি ঝুঁকি থেকে যায়। যাইহোক, মামার কথোপকথন শেষ হতেই আমিও মামা বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
We support quality posts anywhere and with any tags.
এই গরমের কারণে ঘরে ঘরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। নিজের ছেলে কাশি, মাথা ব্যাথা , গলা ব্যাথায় ভুগতেছে।
আজকে আপনি সকাল বেলা দ্রুত উঠে আপনার মাকে ধান মাড়াইয়ের কাজে যেতে না দিয়ে ভালো কাজ করেছেন।
আমি ছোটবেলায় গরু দিয়ে ধান মাড়াই করতে
দেখেছি। এরকম ধান মারাইয়ের যন্ত্র গেছে মেশিন আমার অবশ্য আগে যে কখনো চোখে
পরে নাই।
আসলে যাই বলি না কেন দেশ আস্তে আস্তে এগিয়ে গেছে অনেকটাই।
আপনার ঠাকুর দাদার গল্প শুনে খানিকটা অবাকই হলাম।উনারা আসলেই শক্তিশালী ছিলেন।
ভাগনী দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে মাশাল্লাহ।
খুব ভালো লাগলো আপনার দিনেলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
এই গরমের মাঝে ধান মাড়াই এর কাজ আসলেই অনেক কষ্টজনক। আপনাদের ওদিকে দেখি ধান কাটা কাটার পাশাপাশি ধান মাড়াই এর কাজ চলতেছে। আর আমাদের এদিকে এখনো ধান কাটা শুরু হয়নি।
আপনার মামা একজন মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ। একজন রোগীকে আপনার মামা ইনসুলিন নেওয়ার কথা বলেছেন। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভবতী অবস্থায় অনেক ডায়াবেটিস বেড়ে যায়।
সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।