Better Life with Steem|| The Diary Game|| 17th March 2024
![]() |
|---|
Hello Friends,
এখন বাংলাদেশ সময় দুপুর বারোটা, আমি সবেমাত্র পোস্ট লিখতে বসেছি। আমার মা বাড়িতে না থাকায় এদিক ওদিক একটু বেশি খেয়াল রাখতে হচ্ছে। যেটা আমার কাছে বিরক্তিকরই মনে হচ্ছে। তবে এটা ভালো যে মা কতো কাজ করে, সেইটা হয়তো উপলব্ধি করাটাও সম্ভব না।
আমি পূর্বেও অনেকবার বলেছি যে আমি প্রকৃতি প্রিয় মানুষ। তাই মা বাড়িতে না থাকার কারণে গতকাল ২/৩ বার আমাকে ধানক্ষেতে যেতে হয়েছিল। তবে আমি ধানক্ষেতে পৌঁছানোর পরে ইচ্ছে করেই বিলম্ব করেছিলাম। যাইহোক, এখন আমি আমার দিনলিপিতে চলে যাবো।
Morning
![]() |
|---|
গতকাল আমার ঘুম ভেঙ্গেছিল কাজিন রূপমের ডাকে। কারণ আমার মা- রূপম ও মিতাকে সাথে করে নিয়ে যাবে আমার বোনের বাড়িতে। সকলেই নাছোড়বান্দা, তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রস্তুত। রূপম তো রীতিমতো আমাকে টেনে হিঁচড়ে ঘুম থেকে তুলেছিল। যাহ্! বাবা সকাল সকাল একটি হলুদ গোলাপ নিয়ে হাজির।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মনে হয় আমার জন্য। কিন্তু না রূপম বলল ঐটা আমার ভাগ্নির জন্য ছাদের ফুল বাগান থেকে তুলে নিয়ে এসেছে।
![]() |
|---|
গতকাল আমার দিনটি শুরু হয়েছিল সকাল নয়টা থেকে। আমি প্রথমেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম। তারপর সকালের খাবার শেষ করে সকলকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য বাজার পর্যন্ত গিয়েছিলাম।
Noon
তারপর আমি বাড়ি ফেরার পথেই শুনলাম আমাদের মন্দিরের মাঠে নাকি একজন পিঠা বিক্রেতা এসেছে। আমি তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু পৌঁছে দেখলাম অন্য কিছু। ঐ লোকটি পিঠা বিক্রেতা না। বরং তিনি মেশিনের দ্বারা সিদ্ধ চাল দিয়ে কি যেন একটি পিঠা সকলকে তৈরি করে দিচ্ছিলেন।
এক কেজি চালের এই পিঠা বানানোর জন্য ঐ লোকটিকে পঞ্চাশ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এটাতো তেমন ভিন্ন কিছুই ছিল না। আমি এক বৌদির থেকে কিছু পিঠা নিয়ে মুখে দিতেই চালের মিষ্টি ঘ্রাণ পেয়েছিলাম। তবে সত্যি বলতে আমি এটাতে তেমন কোনো বিশেষত্ব খুঁজে পাই নি।
ওহ! কি খুশি, সকলে?
আমাদের পাড়ার অনেকেই গতকাল এই পাঠা বানিয়েছিলেন। এটার স্বাদ যেমনই হোক না কেন; সকলে ভীষণ খুশি এটাই বড় ব্যাপার।
![]() |
|---|
আমাদের বাড়ি মন্দির থেকে কাছাকাছি, তাই আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরে একটু ধানক্ষেতে গিয়েছিলাম। আমার বড় কাকুও ছিল ধানক্ষেতে। তাই আমি কাকুকে দেখে বিলম্ব না করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
![]() |
|---|
এই হাঁসের বাচ্চা গুলোর বয়স সবেমাত্র ৬দিন হয়েছে। যেহেতু, মা বাড়িতে নেই তাই আমিই গতকাল খাবার খেতে দিয়েছিলাম। হাঁসের বাচ্চা গুলো অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিল। তাই খাবার দিতেই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল খাবারের ওপর। তারপর আমি স্নান শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।
Afternoon
![]() |
|---|
আমি দুপুরের খাবার শেষ করেই আবার ধানক্ষেতে গিয়েছিলাম। তবে মাঝখানে একটু বিশ্রাম ও নিয়েছিলাম। তাই ধানক্ষেতে যেতে যেতে সময় হয়েছিল বিকেল তিনটার মতো।
হঠাৎ পথেই চোখে পড়েছিল, আমাদের সজনে ডাটা গাছের দৃশ্য। আমাদের সজনে ডাটা গাছের ফলন বেশ ভালো এবার। একজন সজনে ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই বাবাকে ক্রয়ের জন্য অফার ও করেছে।
তারপর ধানক্ষেতে পৌঁছে আমি চারপাশে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেছিলাম। আমি কয়েক জায়গায় নোটিশ করেছিলাম ইঁদুরের সদ্য গর্ত করা মাটি। এদিকে নজর না রাখলে ইঁদুর ধান খেয়ে সাবাড় করে দিতে পারে।আমি মূলত, গরু দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ আশে পাশে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য কেউ কেউ বেঁধে রাখে। তবে দেখলাম এরকম খুব কাছাকাছি কোনো গরু নেই। তারপর আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
আমি বাড়িতে ফিরে কিছু সময় বিশ্রাম করেই কমিউনিটির কিছু পোস্ট পরিদর্শন করতে বসেছিলাম। পাশাপাশি একটি পোস্ট লিখেছিলাম। এভাবেই যেন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল।
Evening
যেহেতু, মা বাড়িতে নেই তাই কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। তাই বাবাকে বলেছিলাম, আমিও বাবার সাথে বাজারে যাবো। আমিও বাবা বাজারে পৌঁছে চায়ের দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার চা খেতে ইচ্ছে করছিল না।
তাই পাশের অন্য একটি দোকানে গিয়ে আমি পিঁয়াজুও আলুর চপ খেয়েছিলাম। দুটোই ভীষণ মজা হয়েছিল। এরই মধ্যে দেখলাম আমাদের কো-এডমিন ম্যাম আমাকে মেনশান দিয়েছেন। তাই আমি দেখামাত্রই ডিসকর্ড ভয়েসে যোগ দিয়েছিলাম। ঐভাবে কথা বলতে বলতেই একটি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
আজ এখানেই লেখাটি সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।













দিদি, আপনাদের এখানে এই মেশিন এর মাধ্যমে চাল দিয়ে পিঠা তৈরি করছে তবে এই মেশিন আমিও দেখেছি কিন্তু তারা চালের পরিবর্তে গম দিচ্ছিলো। খেতে বেশ মিষ্টি মিষ্টি লাগে। আমাদের এখানেও এবার সজনে খুব ভালো পরিমানে হয়েছে। আর সজনে আমার খুব প্রিয়। মা বাবা বাড়িতে না থাকলে আসলেই সব কিছু ফাকা ফাকা লাগে।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
গম দিয়ে ও পিঠা বানানো হয় যেটা আপনার কাছ থেকেই আমি জানতে পারলাম ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই এই তথ্যটি উপস্থাপন করার জন্য এবং আমার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
মেশিন দিয়ে বানানো এমন চালের পিঠার স্বাদ কেমন সেটা আমার জানা নেই তবে গমের পিঠার স্বাদ অনেকটাই মিষ্টি।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।।।
We support quality posts anywhere and with any tags.
@solaymann,
Thank you so much for your encouraging support. 🙏