Better Life With Steem || The Diary game || 17 November 2023|| My Lifestyle.
Hello Friends,
আজ আমি টিউটোরিয়াল নিয়ে আসি নি, আজ চলে এসেছি একটি বৃষ্টির দিন নিয়ে। শীতের আগমনী বার্তা আবার যদি বৃষ্টি হয়, সৃষ্টি হয় অন্যরকম পরিবেশ। তবে ঐ দিনের বৃষ্টিটা স্বাভাবিক ছিল না। কারণ আবহাওয়া বার্তানুসারে ৭নং সিগনাল ছিল।
যেহেতু আমি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মোংলা বন্দরের নিকটস্থ এলাকায় বসবাস করি, তাই এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বার্তা খুব সোরগোল করে প্রচার করা হয়। অন্যথায় জনগণের প্রাণ সংশয়ের আশংকা থেকেই যায়।
Morning: |
---|
একটু বিলম্ব হয়েছিল ঘুম থেকে উঠতে। বৃষ্টির শব্দে সকালে ঘুম ভেঙ্গেছিল। ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে ফ্রেশ করে ওষুধ খেয়েছিলাম। একটু বাদেই নুডুলস খেয়েছিলাম। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিল মধ্যরাত থেকে, তাই ঘরের মধ্যে থাকতে ও খুব বিরক্তি লাগছিল।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ:-
যেহেতু, আবহাওয়া বার্তানুসারে ঝড় হওয়ার কথা অর্থাৎ একটি ঝড় উঠেছিল। যেকোনো মুহূর্তে প্রবল বেগে আমাদের এলাকায় ঝড় আঁচড়ে পড়তে পারে, তাই প্রবল বাতাস হবে এটাই স্বাভাবিক।
এই বাতাসে বড় বড় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আবার অনেক গাছ ও উপড়ে পড়তে পারে। আমাদের এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের লাইন, তাই গাছ-পালার মাঝ দিয়ে বিদ্যুতের মূল লাইন টানা রয়েছে। হয়তো বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিল, কিন্তু এটা না হলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ধ্বংস যোগ্য পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। এই সব বিবেচনা করেই বিদ্যুৎ সংযোগ ঐ সময়ে বন্ধ রাখা হয়।
বাবার থেকে পূর্বেই জেনে নিয়েছিলাম, বাজারে লোকজন আছে কি না। বাবা উত্তরে বলেছিলেন, খুবই কম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পূর্বেই এক কাকুকে কল করেছিলাম। কারণ আমার অনলাইনে কিছু পণ্য অর্ডার করা ছিল। সেগুলো কাকুকে সাথে করেই বুঝে নিতে হবে।
অনলাইনে ক্যাশ অন ডেলিভারি উত্তম।
অন্যথায় মাঝেমধ্যেই রুমাল দেখিয়ে মানুষ বিক্রি করা গল্পের মতো অবস্থা হয়।
কাকু ও আমি বাজারে পৌছালাম তবে পায়ের নিম্নাংশ ভিজে গিয়েছিল। যাহ! বাবা! বাজারে পৌঁছে দেখলাম এক কথায় জনমানব হীন। অনলাইন শপ থেকে একটি কল আসছিল, আর বলল যে সন্ধ্যার দিকে পণ্য বুঝে দিবে। কারণ এই আবহাওয়াতে পৌঁছানো একটু কষ্টসাধ্য।
Noon: |
---|
হঠাৎ মোবাইলে চোখ পড়তেই দেখলাম দুপুর বারোটা বেজে গিয়েছে। কি আর করা মন খারাপ করে বাড়িতে ফিরলাম। ফিরেই দেখি ছোটরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাইরে বসে আছে।
ছোটদের সাথে নিয়ে ছাদে গিয়েছিলাম। ছাদে জল আটকে রাখা ছিল। তাই ওরা দেখলাম জল পেয়ে রীতিমতো খেলতে শুরু করেছিল। সুযোগে আমি কয়েকটি ছবি নিয়েছিলাম। তারপর আমিও কিছুক্ষণ ভিজেছিলাম।
এবার ছাদ থেকে নিচে গিয়ে স্নান শেষ করেই দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলাম। মা কুমড়ো ভাড়ি ও কৈ মাছ ভুনা করেছিল। বৃষ্টির দিনে এইধরনের খাবার খেতে ভীষণ মজা।
Afternoon: |
---|
বিকেল হয়ে গিয়েছিল, তখনও বৃষ্টি কমার নাম নেই। তবে মাঝেমধ্যেই একটু কম/বেশি মনে হচ্ছিল। কিছু শুকনো খাবার ক্রয়ের প্রয়োজন ছিল। তাই মুদির দোকানে গিয়েছিলাম।
সুযোগে আমি ফার্মেসিতেও গিয়েছিলাম। কারণ বর্তমান জ্বরের প্রবণতা খুব বেশি। এতোটাই জ্বর যে ঐ জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার কোনো অবস্থা ও থাকছে না।
তাই আমি জ্বরের জন্য কয়েকটি সাবস্টিটিউট নিয়েছিলাম। কারণ খুব বেশি জ্বর দেখা দিলে এটার প্রয়োগ করা যেতে পারে। আর খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে জ্বর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
END: |
---|
আপু বৃষ্টি সাথে আমাদের এখানে বেশ বাতাস হয়েছিল গতকাল। আর রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির তীব্রতাও বেশি ছিল। এই বাতাস আর বৃষ্টির কারনে অনেক ঠান্ডাও পড়েছিল। যার কারনে কাঁথা বদলে কম্বল মুড়িয়ে ঘুমাতে হয়েছিল তবে বেশ ভালো ঘিম হয়েছে। আর আপনি যেমন বললেন অনলাইনে কেনাকাটার বেলায় ক্যাশঅন ডেলিভারি উত্তম। আপনার লেখা বেশ উপভোগ করলাম।
দিদি, মুড়ির মোয়া খাচ্ছিলাম আর আপনার পোস্টটা পড়ছিলাম , আমাদের এখানেও প্রচুর বৃষ্টি কোন থামার নাম ছিল না গত দুদিন। সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস, আর বিদ্যুতের এই সমস্যাটা আমাদের এখানেও ছিল কারণ প্রচুর গাছপালা ভেঙেছে, পোস্টটি পরিবেশ ভালো লেগেছে সেই সাথে আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ, যাই হোক পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।