বাসন্তী//দূর্গা পূজার পূর্ব প্রস্তুতি।

in Incredible Indialast year (edited)
1678342652588.jpg

Hello Everyone,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলেই ভালো রয়েছেন। আমি ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতে। আজ আমি উপস্থাপন করতে চলে এসেছি আমার গ্রামের বাৎসরিক সর্বজনীন দুর্গাপূজা সম্পর্কে।

প্রথমেই অগ্রিম নিমন্ত্রণ বাসন্তী পূজার। সবার মনে এক আনন্দ ঘুরঘুর করছে। চৈত্র মাসে আমাদের গ্রামের সার্বজনীন দুর্গমন্দির প্রাঙ্গনে, বছর ঘুরে আবারো চলে আসছে সেই আনন্দঘন মুহূর্ত।

PXL_20230310_143719735.jpg
PXL_20230308_114911232.jpg

কিছু কাজ রয়েছে যেখানে বড়রা কখনোই নাক গলায় না। যেমন দেখুন ফটোগ্রাফিতে একজন বয়স্ক মানুষ আর সাথে রয়েছে একটি যুবক ছেলে। এদেরকে হাতে ধরে শেখানো হচ্ছে এই কার্যক্রম গুলো।

কারণ আমরা জানি আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর এই কথা মাথায় রেখে এই শিশুর যুবকদের পথে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে সকল কার্যক্রম।

PXL_20230308_114944960.jpg

ফটোগ্রাফি তে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে ছেলে- মেয়ে, নারী-পুরুষ ও ছোট বড় সবাই অংশগ্রহণ করেছে এই প্রতিমা গঙ্গায় দেওয়ার কাজে।

PXL_20230308_114854058.jpg
PXL_20230308_114820051.jpg

গণেশের বাহন হিসেবে তৈরি করা হয়। দুর্গা মায়ের প্রতিমা গঙ্গায় দেওয়ার সাথে সাথে এই ইঁদুর কেউ দেওয়া হচ্ছে গঙ্গায়। দেখুন কত ছোট্ট একটি শিশু কিন্তু সেও অংশগ্রহণ করেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

তাকে কিন্তু আসলে কেউ জোর করেনি। এবং এই শিশুটি আমাদের মন্দিরে যখন প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। তার যেন বাদ্যযন্ত্রের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ।

বড়রা যখন মন্দিরে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ আরাধনার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরকে কেন্দ্র করে গান পরিবেশন করেন, তখন এই শিশুটি তার মত করে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর চেষ্টা করে।

PXL_20230308_114804179.jpg

বিগত বছরের মায়ের প্রতিমা রয়েছে মন্দিরে। নতুন করে আবার ভাস্কর দুর্গা মায়ের প্রতিমা প্রস্তুত করছেন। তাই বিগত বছরের প্রতিমা গঙ্গায় দেওয়ার মুহূর্তে কিছু ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করলাম।

গ্রামের ছোট বড় যারা রয়েছেন প্রায় সবাই উপস্থিত হয়েছেন এই প্রতিমা গঙ্গায় দেওয়ার জন্য। মোটামুটি করে সকল বিধি-বিধান অনুসরণ করে পাজল প্রদী প নিয়ে মায়ের প্রতিমা গঙ্গায় দেওয়া চলছে।

গ্রামের সবাই এই পূজার অংশীদার। ইতোমধ্যে একটি সভা পরিচালিত হয়েছে। যেখানে আমাদের পূজা কমিটির সভাপতি আমার এক জ্যাঠাবাবু এবং সম্পাদক আমার বড় কাকু।

মোটামুটি সীমানার মধ্যে রেখে সবার জন্য একটি চাঁদা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও পূজা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে সামাজিক যাত্রাপালা ও বেহুলা-লক্ষিণদর ধর্মীয় যাত্রাপালা।

সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে পূজার সময়, আপনজন যারা দূরে রয়েছে বিভিন্ন কাজে এবং আত্মীয়-স্বজন সবাই চলে আসবে। সন্ধ্যা বেলার সন্ধ্যা আরতি। আবার গ্রামের সবাই মিলে অষ্টমীর দিনে অঞ্জলি দেওয়া দুর্গা মায়ের উদ্দেশ্যে।

রাস্তার দুপাশ দিয়ে অনেক দোকানের মেলা বসবে। ফুচকা, বাদামসহ নানা রকম ফাস্টফুড খাবারের সমারোহ। অনেকদিন পর দেখা হবে অনেক আত্মীয়-স্বজনের সাথে।

গ্রামের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ভ্রাতৃত্ববোধ। শুধুমাত্র ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না পুরো গ্রামটার প্রতিটি মুখ যেন যেটা চেনা। আর এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাদের সাথে দেখা হবে দীর্ঘ এক বছর পর।

সামনে পূজা আর তাই প্রতিটি পরিবারের মধ্যে চলছে একটা সাজানো গোছানো প্রবণতা। এই অনুভূতিটা প্রতিটি পরিবারের কাজ করে সমানভাবে। আর এই প্রস্তুতিটা এমন আন্তরিকতার সাথে হচ্ছে দেখে মনে হয় যেন দীর্ঘ এক বছর পর বাবার বাড়িতে তার কণ্যা আসছে।

আরো একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাদেরই পূজাতে কিন্তু স্থানীয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা আনন্দ উপভোগ করে।

PXL_20230308_114923089.jpg

ফটোগ্রাফি দেখ না দেখতে পারছেন প্রতিভা প্রস্তুতির প্রথম অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায় শুরু করেছেন। যার জন্য তিনি উপকরণ হিসেবে ঘর ও রশি ব্যবহার করছেন।

এই ভাস্কর প্রতিবছর আমাদের প্রতিমা করে থাকেন। যদিও বর্তমান প্রযুক্তির যুগ কিন্তু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো হাতের স্পর্শ ছাড়া করা সম্ভব না। আর আপনারা দেখুন ভাস্কর হাতের ব্যবহার করে কিভাবে প্রতিমা প্রস্তুত করছেন।

আমি আসলে আজও উপস্থাপন করেছি আমার গ্রামের বাৎসরিক বাসন্তী পূজা চৈত্র মাসে এবং যেটার পূর্ব প্রস্তুতি চলছে এখন। এই বাৎসরিক দূর্গা পূজা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য।

আমি আমার গ্রামের একটি ঐতিহ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আপনিও আপনার গ্রামের ঐতিহ্য উপস্থাপন করুন। আজ এখানেই সমাপ্ত করছি।

DeviceName
AndroidRealme8
LocationBangladesh
Shot by@piya3
Sort:  
Loading...
 last year 

আসলে দেখছি আপনারা দুর্গাপূজা নিয়ে অনেক আনন্দ উল্লাস করছেন। যেটার প্রস্তুতি খুব ধুমধাম করেই শুরু হয়েছে, সবাই প্রস্তুতি র মধ্যে অংশগ্রহণ করছে।
কিন্তু আমার কাছে ওই ছোট বাচ্চাকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন। ছেলেটা সব সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানোর প্রতি আগ্রহ দেখায়।

আর ও দেখছি আপনাদের দুর্গাপূজায় প্রস্তুতিতে সে অংশগ্রহণ করতে ভুল করেনি।

আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই আপনারা এই উৎসবগুলো খুব ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য নতুনভাবে এটাকে সাজানোর চেষ্টা করছেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।অনেক অনেক শুভকামনা রইল,আর আমার জন্য একটু দোয়া করবেন।

 last year 

একদমই সঠিক বলেছেন আপু। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি।

 last year 

বাহ..! পুজার প্রস্তুতি দেখি ভালোই চলছে আপনাদের। আসলে প্রস্তুতি গুলোও অনেক ধুমধামে হয়, এবং সেটার আনন্দও সেই হয়।

কারণ আমরা জানি আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর এই কথা মাথায় রেখে এই শিশুর যুবকদের পথে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে সকল কার্যক্রম।

  • এই কথাটা সত্যিই অসাধারণ। আমরা বড় যে কাজই করিনা কেন, ছোটদের যদি হাতেনাতে ধরে শিখিয়ে দেই, তাহলে কিন্তু তারাও আমাদের সময়ে এসে তারা এই কাজটি পারবে। আর ভবিষ্যতেও ছোটবেলার শেখা কাজগুলো করতে পারবে। তাই আমাদের সবার উচিত ছোটদের হাতে নাতে শিখিয়ে দেওয়া। ভালো থাকবেন।

Hola 🙂
Tu post ha sido votado por @colombiaoriginal dentro del marco de Make Noise Project Week 42, que impulsa @alejos7ven.
Sigue con el buen trabajo.

Te invitamos a seguir las redes sociales para Steem y Steemit:

image.png image.png image.png

Si no lo has hecho, Te invitamos a votar por @cotina y @bangla.witness como Witness, sino sabes como hacerlo, podrías revisar esta publicación: https://steemit.com/hive-113376/@colombiaoriginal/colombia-original-apoyando-a-cotina-como-witness.


We stopped by to tell you that we have come to vote for your publication.🙂

অনেক সুন্দর দিদি

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.13
JST 0.032
BTC 65231.30
ETH 2943.84
USDT 1.00
SBD 3.66