ফটোগ্রাফি||পরিবেশ ও মৎস্য চাষ সম্পর্কিত আলোচনা সভা।
Hello Everyone,
পরিবেশের এই আমূল পরিবর্তন দিন দিন সাধারণ মানুষের মনে ও বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্বেগ করছে। আর এরকমই বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত পরিবেশ সম্পর্কিত সভার কিছু দৃশ্য।
সেদিন সকালে আমার মায়ের যাওয়ার কথা আমাদের গ্রামের সর্বজনীন দুর্গা মন্দির মাঠ প্রাঙ্গণে। কিন্তু মামার বাড়িতে, বাৎসরিক কালীপূজা অনুষ্ঠান, তাই মায়ের আর এসবের কথা মনে নেই।
যেহেতু আমি মায়ের সাথে যাচ্ছিলাম মাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য, সেই সময় কিছু লোকজন এই সভার উদ্দেশ্যে আসতেছিল। তখন আমার মায়ের সেই বিষয়টি মনে পড়লো এবং আমাকে বলল আমি যেন অংশগ্রহণ করি।
এরপর আমি মাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে বাড়ির দিকে আসলাম। তারপর মন্দিরের মাঠে গেলাম এবং গিয়ে দেখলাম আমাদের পাড়ার সকল নারী-পুরুষ উপস্থিত হয়েছে সেখানে।
এরপর বেসরকারি সংস্থার যিনি প্রশিক্ষিকা হিসেবে এসেছিলেন, তিনি ছিলেন একজন নারী। তাই তিনি নারীদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে দেখলাম খুব বেশি আগ্রহী। আর গ্রামের এই নারীরাও বেশ আগ্রহ তার কাছ থেকে শিখতে।
এরপর আমিও সেখানে যুক্ত হলাম সাথে কিছু ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করলাম। এরপর দেখলাম প্রশিক্ষিকা হিসেবে যিনে এসেছেন, তিনি পরিবেশ সম্পর্কে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন।
পরিবেশের গুরুত্ব এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তিনি উল্লেখ করলেন তার প্রশিক্ষণের কথাগুলোর মধ্যে। তার সাথে দেখলাম তিনি মৎস্য চাষের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন।
সেই সাথে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম আমাদের গ্রামের নারীরা এর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে ওই নারী প্রশিক্ষিকার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। প্রশিক্ষিকা হিসেবে যিনি রয়েছেন তিনিও দেখলাম বেশ আনন্দের সাথে অর্থপূর্ণ উত্তর প্রদান করছেন।
|
---|
পরিবেশের উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। যদি আমাদের আশেপাশের পরিবেশ ভালো হয় তাহলে নিজেদের শরীর আমাদের পরিবেশের ছোট বড় সকলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
একটি শিশু ছোটবেলা থেকে যে পরিবেশে বড় হয় বড় হলে তার ভেতর সেই পরিবেশের স্বভাবগুলো বিদ্যমান থাকে।
এমনকি পরিবেশের উপর মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ও প্রভাব রয়েছে।
পরিবেশ যদি দূষণমুক্ত থাকে তাহলে সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এরপর গ্রামের পুরুষদেরকে একটি আলাদা জায়গায় বসিয়ে তাদেরকে প্রশিক্ষিকা প্রশিক্ষণ দিতে লাগলেন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল মৎস্য চাষ।
বিশেষ করে ধানেপোনা আর ধানিপোনা বলতে বোঝায় সাদা মাছ অর্থাৎ রুই মাছ বাকার জাতীয় যে মাছগুলো রয়েছে এগুলো খুব ছোট অবস্থাতে চাষ করা।
যেহেতু আমাদের এলাকাতে লবণ জলের পরিমাণ বেশি, তাই এই ধানিপোনার চাষ এক কথায় হয় না বললে চলে। তবে যদি কেউ এই ধানিপোনার চাষ সত্যিই করতে পারে তাহলে সে অনেক বেশি লাভবান হবে।
প্রশিক্ষিকা বললেন ধানিপোনার চাষের জন্য সহযোগিতা তার সংস্থা থেকে নাকি করা হবে। আর এটাতে দেখলাম গ্রামের কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বেশ খুশি হলো এবং প্রস্তাবটি গ্রহণ করল।
যেহেতু আমরা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে রয়েছি, তাই এখানে মাছ চাষের কোনো বিকল্প নেই। আর সেক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো প্রশিক্ষণ হলে সেখানে মৎস্য চাষের একটা বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়।
|
---|
প্রথমত যেহেতু এটা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের একটি অংশ তাই মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত এলাকা।
প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এই অংশের দিকে মাছের উৎপাদন বেশ ভালো।
মাটিতে যথেষ্ট পুষ্টি প্রধান বিদ্যমান তাই খাবারের খরচ ও বেশ কম।
মাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় আর যেহেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচুর মাছের চাষ হয় তাই দেখা যায় এ অঞ্চলের মানুষের অন্য কোনো কিছুর অভাব হলে প্রোটিনের অভাব হয় না।
যে ব্যক্তি মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত তিনি লাভবান হন। এবং সেই সাথে তার কাজে সম্পৃক্ত থাকে কিছু দিনমজুর যারা তার কাছ থেকে তার পরিবারের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে পারে।
সভাতে আলোচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি এবং লেখনীর মাধ্যমে। আশা করি একটু হলেও ভালো লেগেছে লেখাটি।
আপনার গ্রামে পরিবেশ এবং মৎস্য চাষ সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা জেনে অনেক ভালো লাগছে।এই সভা গুলো থেকে গ্রামের নারী-পুরুষ অনেক কিছু শিখতে পারে।
আমাদের চারপাশের পরিবেশ কিভাবে ভালো রাখা যায় সে সম্পর্কে তারা জ্ঞান লাভ করে। আবার মৎস্য চাষের গুরুত্ব বুঝতে পারে।
আপনি আপনার পোস্টে পরিবেশের গুরুত্ব এবং মৎস্য চাষের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি। ভালো থাকবেন।
আপনাদের গ্রামের এই উদ্যোগটা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে আমাদের প্রত্যেকেরই কাজ করার অধিকার আছে। সেটা নারী হোক কিংবা পুরুষ, আমি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো লক্ষ্য করে দেখলাম। যিনি প্রশিক্ষণ দিতে এসেছেন, তিনি একজন নারী, তিনি বেশ ভালোভাবে সবাইকে বোঝাচ্ছেন, এবং আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, আমাদের পরিবেশের গুরুত্ব, মাছ চাষের গুরুত্ব।
আসলে আমাদের এদিকে এমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। যদি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হতো তাহলে হয়তো বা, আমাদের গ্রামের মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হতো।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফির পোস্ট এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু।