বীট গাজর আলু ভাজা
বন্ধুরা,
আশাকরি আপনার সকলেই খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।আর আজকের দিনটা আপনাদের ভালো কেটেছে।
আজ আমার শরীর একটু ভালো আছে। ওষুধ খাওয়ার পর আমি একটু ভালো আছি।
আজ বাড়ির সামনে থেকে একটু সবজি বাজার করলাম। আমরা শীতকালে কিছু কিছু সবজি বেশি দেখি । কিন্তু এখন কার দিনে বাজারে সব রকম সবজি সব সময় পাওয়া যায়।
আজ আমি বীট, আর গাজর নিয়েছি সবজি ওয়ালার কাছ থেকে।
তাই বীট, গাজর আর আলু ভাজা করেছি। সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
আসুন যেনে নেওয়া যাক কি ভাবে এটি তৈরি করলাম।
বীটের উপকারিতা:-
1)অ্যানিমিয়া, হাই ব্লাড প্রেশার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
2)বীট ডায়বেটিস রোগিদের জন্য খুব উপকারী।
3)যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদের জন্য বীট খুব উপকারী।
4)বীটের মধ্যে রয়েছে নাইট্রেট নামক একটি উপাদান।এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
5)ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে।
6)বীটে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
7)বীট শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
8)বীট ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে।
উপকরন:-
1)আলু=১টা বড়ো সাইজের (ঝিরি ঝিরি করে কাঁটা) ।
2)গাজর=১টা(ঝিরি ঝিরি করে কাঁটা)
3)বীট=১টা ছোট সাইজের(ঝিরি ঝিরি করে কাঁটা)
4)পেয়াজ= ১টা ছোট সইজের(কুঁচিয়ে নিতে হবে।)
5)নুন=স্বাদ মত
6)চিনি=স্বাদ মত
7)হলুদ=১চা চামচ
8)সাদা তেল=পরিমান মত
পদ্ধতি:-
1)প্রথমে একটা পাএ নিতে হবে।
2)তারপর তারমধ্যে বীট, গাজর, আলুআর পেয়াজ ঝিরি ঝিরি করে কেটে নিয়ে একটা পাএে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
3)এবার সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
4)এরপর গ্যাসে মাঝারি আঁচে কড়াইটা বসিয়ে দিতে হবে।
5)যখন কড়াই গরম হয়ে যাবে তখন তারমধ্যে তেল দিয়ে দিতে হবে।
6)এবার তেল গরম হয়ে গেলে তারমধ্যে বীট,গাজর, আলু আর কুঁচানো পেয়াজ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
7)এরপর তারমধ্যে নুন, হলুদ আর মিষ্টি দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে নিয়ে কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রাখতে হবে।
8)তারপর কিছুক্ষণ বাদে ঢাকনা খুলে দেখতে হবে সবজি গুলো সেদ্ধ হয়ে গেছে তারপর গ্যাসটা বাড়িয়ে সেটা ভালো করে ভাজা ভাজা করতে হবে।
9)ভাজাটা লাল লাল হয়ে গেলে সেটা একটা পাএে নামিয়ে পরিবেশন করুন। এই রান্নাটি সাধারনত রুটিও গরম ভাত দুটো দিয়েই ভালো লাগে।
আমার রান্না আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শুভরাএি।
এগুলো কি সেই বনগাঁ থেকে নিয়ে আসা বিট? এইভাবে এখা খেতে একটুও লজ্জা করলো না দেখে অবাক লাগছে, আরো বেশি করে খাওয়াবো শুঁটকি মাছ।
আমি ছোটোবেলা থেকেই এই ভাজা খেতে খুব ভালোবাসি, তার কারণ হলো বেশ লাল লাল রং লাগে আর ভাতের সাথে মাখালে ভাতটাও লাল দেখায় সেই মজা করে খেতাম।
এটি খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পদ। বাচ্চাদের যদি এই পদটি খাওয়ানো যায়, তাহলে সেটা কিন্তু ওদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।