সূর্যের আলো বঞ্চিত মিরপুর-১৪
সেখানকার মানুষজন দিনে দিনে নানা রকম সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। সূর্যের আলো প্রবেশ না করার বেশ কিছু শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো না পেলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিবে। আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, আপনি বিষণ্ণতায় ভুগবেন, আপনার ঘুমের সমস্যা হবে। মিরপুর ১৪ এলাকার বাসিন্দাদের ভেতরে ইতিমধ্যে এই সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে। এখন প্রশ্ন এই সমস্যার জন্য দায়ী কে ? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আমরা সকলেই দায়ী। এই সমস্যার জন্য যেমন ভবন মালিক দায়ী ঠিক তেমনি ভবনগুলো যাদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হওয়ার কথা ছিলো সেই সংস্থাগুলো সমান ভাবে দায়ী। আমরা যখন বাড়ি নির্মাণ করতে যাই তখন চেষ্টা করি নিজেদের সমস্ত জায়গা জুড়ে বাড়ি করতে। এক ইঞ্চি জায়গা ছাড় দিতেও আমাদের অনিহা থাকে। আবার এই বাড়ি নির্মাণ করার সময় যে সমস্ত সংস্থার তদারকি করা দরকার তারাও যথাযথ তদারকি করে না। ঘুষ খেয়ে তারা এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যায়।
তার ফলে যেটা হওয়ার সেটাই হয়েছে। শহরের একটি এলাকা সূর্যের আলো বিহীন হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার বিল্ডিং গুলোর শুধু উপরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছায়। নিচের অংশগুলির বাসিন্দারা দিনের পর দিন সূর্যের আলোর সংস্পর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এরকম সমস্যা যদি এখনও চলতে থাকে তাহলে একটা সময় এমন হবে যখন শহরের বেশিরভাগ অঞ্চলের অবস্থা এমন হয়ে পড়বে। যদিও বর্তমানে নতুন হওয়া আবাসিক এলাকা গুলো এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্ত। কারণ আমি খেয়াল করে দেখেছি আবাসিক এলাকা গুলোর ভেতরে খেলার মাঠ বা জলাশয় এগুলো না থাকলেও রাস্তাঘাট মোটামুটি রয়েছে। যার ফলে বিল্ডিং গুলোতে সূর্যের আলো পৌঁছায়। ঢাকা শহরে এমনিতেও সমস্যার অন্ত নেই। হাজারো সমস্যার ভিড়ে এই শহর কখন জানি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আসুন আমরা সেই সময় আসার আগেই সচেতন হই। অন্তত সূর্যের আলো পৌঁছানোর মতো নূন্যতম মৌলিক চাহিদা থেকে যেন আর কেউ বঞ্চিত না হয় সেজন্য আমরা সবাই সচেষ্ট হই।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90
---|---
স্থান | ঢাকা
জনসংখ্যা ঘনত্বের দিক থেকে ঢাকা শহর যেমন এগিয়ে ঠিক তেমনি দূষিত শহরের তালিকাও ঢাকা শহর এগিয়ে। মিরপুর ১৪ তে সূর্যের আলো তেমন একটা পৌঁছাতে পারেনা বিল্ডিং এর ঘনত্বের কারণে। মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বিশেষ করে ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত রোগগুলোতে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা শহর এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে।