আবৃত্তি-দুই বিঘা জমি(১০% @shy-fox এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
তারিখ-১৩.০১.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালোই আছি। আগের দিন কোন পোস্ট দিতে পারিনি। কারণ আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন আমি বর্তমান একটু ব্যস্ত আছি। কারণ একটাই যে আমার মাসতুতো ভাই, মাত্র ১৭ বছর বয়স তার একটা অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়ে ভীষণভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং মানসিকভাবে একদমই ঠিক পরিস্থিতির মধ্যে নেই। সেই কারণেই গতকাল একটাও পোস্ট করতে পারিনি। আজও যে পোস্ট করতে পারব সেটা ভাবিনি। কারণ আজই তার অপারেশন ছিল। সকাল থেকে সারাটা দিন হসপিটালে কাটিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে পরে কোন একদিন ভাগ করে নেব। এই হুজ্জুগি আরও বেশ কিছুদিন চলবে।যতক্ষণ না ও সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসছে। আরো মোটামুটি তিন চার দিন আমি এভাবেই ব্যস্ত থাকবো। আমি জানি আপনারা সব সময়মতো এখনো আমায় সেভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন। খুব শিগগিরই আবার ছন্দে ফেরার চেষ্টা করব। আজ আমি আপনাদের সামনে একটি আবৃত্তি পরিবেশন নিয়ে এলাম। আবৃত্তিতে করেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুই বিঘা জমি কবিতা।

b454e232-e84d-4840-962d-db5273fac3af.jfif

আপনাদের মাঝে যেকোনো কিছু ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে কোথাও যেন একটা নিজের মনের মধ্যে সাহস পাই। দীর্ঘদিন ধরেই কবিতা আবৃত্তি বা ছবি আঁকা, বা গান করার সবকিছুর সঙ্গে ই সম্পর্ক ছিন্ন ছিল। কিন্তু আপনাদের সব সময়ের মতো উৎসাহ দেওয়ার কারণে সেই সাহসটা নিজের মধ্যে জোগাতে পেরেছি। আর কথা না বারিয়ে আবৃত্তিটা ভাগ করে নিলাম। আপনাদের মাঝে আমি একজন কাঁচা মানুষ।দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন আর আমি জানি আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। আর সাথে আরো উৎসাহ দেবেন। সেটুকু ভরসা আপনাদের প্রতি তৈরি হয়ে গেছে।

রইল কবিতা-

শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।’
কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই।
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।’
শুনি রাজা কহে, “বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখান
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা–
ওটা দিতে হবে।’ কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজল চক্ষে, “করুণ বক্ষে গরিবের ভিটেখানি।
সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!’
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে,
কহিলেন শেষে ক্রূর হাসি হেসে, “আচ্ছা, সে দেখা যাবে।’

পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে–
করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।
এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি–
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য!
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।
হাটে মাঠে বাটে এই মতো কাটে বছর পনেরো-ষোলো–
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়ই বাসনা হল।

নমোনমো নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি,
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ,
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল– নিশীথশীতল স্নেহ।
বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে–
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে–
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি রথতলা করি বামে,
রাখি হাটখোলা, নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।

ধিক্‌ ধিক্‌ ওরে, শতধিক্‌ তোরে, নিলাজ কুলটা ভূমি!
যখনি যাহার তখনি তাহার, এই কি জননী তুমি!
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফল ফুল শাক পাতা!
আজ কোন্‌ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ–
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন–
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!
ধনীর আদরে গরব না ধরে ! এতই হয়েছ ভিন্ন
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সেদিনের কোনো চিহ্ন!
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ি, ক্ষুধাহরা সুধারাশি!
যত হাসো আজ যত করো সাজ ছিলে দেবী, হলে দাসী।

বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি–
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে, সেই আমগাছ একি!
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালক-কালের কথা।
সেই মনে পড়ে জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা-পলায়ন–
ভাবিলাম হায় আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন!
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে,
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।
ভাবিলাম মনে বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা,
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা।

হেনকালে হায় যমদূত-প্রায় কোথা হতে এল মালী,
ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।
কহিলাম তবে, “আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব–
দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব!’
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ–
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ-সাথে ধরিতেছিলেন মাছ।
শুনি বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, “মারিয়া করিব খুন!’
বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।
আমি কহিলাম, “শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!’
বাবু কহে হেসে, “বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়।’
আমি শুনে হাসি আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে–
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে!

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কাহিনী হতে সংগ্রহীত)

ছোটবেলার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় মাধ্যমিকের সিলেবাসে এই কবিতাটি ছিল। যদিও পুরো কবিতা ছিল না।মাঝের থেকে কিছু অংশ বাদ দেওয়া ছিল। তবে সেটা বাদ দিয়েও বেশ বড় কবিতা। আর আমি মৌখিক পরীক্ষার সময় এই কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম। যিনি মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, সেই ম্যাডাম অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে এত বড় কবিতা আমি মুখস্ত করে রেখেছি। এখন যদিও সে মুখস্ত আর নেই। সব ভুলে খেয়ে নিয়েছি। তাই দেখেই পাঠ করলাম। কবিতা সারমর্ম আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ কবিগুরু কঠিন কঠিন ভাষায় লেখা খুব কমই লিখেন লিখতেন। সে কারণে সকলেই বুঝতে পারে।

গরিব মানুষকে সবসময়ই ধনী উচ্চ শ্রেণীর মানুষরা একইভাবে শোষণ করে যায়। একজন গরিব মানুষের মাত্র দু বিঘা জমি ছিল। কিন্তু একজন ভূস্বামী তার বাগানের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সমান করার জন্য সেই গরিব মানুষটির সমস্ত জমি বেআইনিভাবে দখল করে নেন । তারপরে সেই গরীব মানুষটি সমস্তটা ছেড়ে যখন সন্ন্যাসী বেশে ঘুরতে থাকেন,হঠাৎ করে তার জন্মভূমির কথা মনে পড়ে।তিনি ঠিক করেন যে নিজের দেশে ফিরে একবার নিজের গ্রামে এবং নিজের ফেলে আসা জমিটাকে দেখে আসবেন। গিয়ে দেখলেন তার সেই জমি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফল ফুলে রঙিন হয়ে রয়েছে। এতে সেই অভিমানী হয়ে ওঠে এবং দুঃখ প্রকাশ করে যে একদিন সে কত ভালোবেসে এই জমিকে আগলে রেখেছিল। আজ যেন সে জমি পর হয়ে গেল। তারপরে হঠাৎ করেই সেখানে একটি আম গাছ থেকে দুটো আম তার কোলের কাছে এসে পড়ে। সেভাবে যে হয়তো এতদিন পরে ফিরে আসার জন্য এটাই তার উপহার। কিন্তু হঠাৎ করেই মালির আগমন ঘটে এবং সে তাকে নিয়ে হাজির হয় ভূস্বামীর সামনে। সেই ভূস্বামী তিরস্কার করে বলে, "তুমি চোর",আমার বাগান থেকে আম চুরি করেছো। তখন সে নিপীড়িত মানুষটি মনে মনে হাসে আর ভাবে যে ভূস্বামী তার সম্পূর্ণ দু বিঘা জমি চুরি করে নিল।আজ সে ই তাকে দুটো আম নেওয়ার জন্য চোরের অপবাদ দিল।
আবৃত্তিতে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানে শেষ করছি। আবার আসবো অন্য কোন উপস্থাপনা নিয়ে। সকলে খুব ভালো থাকবেন।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

পরিচিতি

250c6bf5-0fab-4e98-b28b-2299d4f6bc0f.jfif

আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।

Facebook
Instagram
YouTube

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

Vote @bangla.witness as a witness

d3bda13e-40b1-47f0-ae6e-12bd9e3cafa7.jfif

OR

Set @rme as your proxy

79210fdd-a2bc-44f9-b76d-6aa43122ce75.jfif

4HFqJv9qRjVeVQzX3gvDHytNF793bg88B7fESPieLQ8dxHasrbANgiURdsJZbqzojRuxTqrn8BwVMhvjW2bszpJVcHcPW7rxPZLtrPVi9FWSiNoAnyKt4P3qfRidjbh5nr88gtri9qE2ohuC3tavoQ5nX9ihXXuBCWz.jfif

Sort:  
 2 years ago 

আপু আপনি আজকে চমৎকার ভাবে কবিতা দুই বিঘা জমি আবৃত্তি করেছেন। সত্যিই আপনার কন্ঠে শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার উপস্থাপনা এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। কবি গুরুর কবিতা গুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

এই দুই বিঘা জমি কবিতাটি আমি অনেকবার পড়েছি ।যেটা বারবার পড়তে অনেক ভালো লাগে ।রবীন্দ্রনাথের দুই বিঘা জমি কবিতাটি যেখান থেকে লিখেছিল সেই জায়গাটিতেও আমি গিয়েছি ।রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে সেই দুই বিঘা জমি আলাদাভাবে মার্কিং করে রাখা আছে সেখানে গেলেই জায়গাটি সম্পর্কে অনেক কিছু মনে পড়ে। খুব সুন্দর আবৃত্তি করেছেন আপু।

 2 years ago 

ঠিকই দাদা। আমার ও ভালো লাগে।

 2 years ago 

দিদি আপনার মাসতুতো ভাইয়ের অপারেশন যেনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো ৷ তার জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা সে আবার আগের মতো ফিরে আসুক ৷
দিদি দুই বিঘা জমির কবিতা আবৃত্তি টা অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ আসলে এই দুনিয়ায় জোর যার মূলক তার ৷ আর এটা সত্য যে এখনো আমাদের সমাজে উচ্চ শ্রেনির মানুষের গরীব মানুষদের কে ছোট চোখে দেখে ৷
যা হোক আপনি ব্যস্ত সময় কাটিয়ে আবার কামবেগ করবেন এমনটাই প্রতার্শা ৷

তবে দিদি শেষে একটা বলি আপনি লেখা গুলো যদি মাঝে মধ্যে গেভ রাখেন ৷ তাহলে পড়তে ভালো লাগে ৷ যদিও এটা আমার মতামত বাকি টা আপনার ইচ্ছে ৷
ধন্যবাদ দিদি

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই। ও এখন ভালো আছে।

 2 years ago 

আপনি তো দেখছি নিজের কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুই বিঘা জমি কবিতাটি আবৃতি করে ফেলেছেন দেখেই তো ভালো লাগলো। আসলে আমি কবিতা লিখতে যেমন পছন্দ করি আবৃতি শুনতে তার চেয়ে বেশি পছন্দ করি। মনটা ভরে গেল কবিতা আবৃতি শুনে। এই কবিতাটি যে টপিক নিয়ে লেখা হয়েছিল তা একটু বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি আপনি সবসময় আমাদের মাঝে এরকম আবৃতি নিয়ে হাজির হন।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি। 💕

 2 years ago 

মাত্র ১৭ বছর বয়সে আপনার মাসতুতো ভাইয়ের অপারেশন হচ্ছে জেনে আসলেই অনেক খারাপ লাগলো ৷ যাই হোক আপনার মাসতুতো ভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল ৷ আশা করি সে খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ওঠবে ৷ তো আজকের বৃত্তি আপনার চমৎকার হয়েছে ৷ আসলে রবীন্দ্রনাথের দুই বিঘা জমি এ কবিতাটি আমার বেশ ভালো লাগে ৷আপনি সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করেছেন ৷ শুনে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

হ্যাঁ অনেক ছোট বয়সে হলো। এখন ঠিক আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আশা করছি আপনার মাসতুতো ভাই খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে আসলেই পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ থাকে নিজের কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না। খুবই খারাপ লাগে নিজের কাছে এই ভেবে যে পরিবারের কেউ একজন অসুস্থ। যাইহোক অবশেষে আপনি খুবই চমৎকার একটি আবৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই দুই বিঘা জমি কবিতাটি আমার বরাবরই অনেক বেশি ভালো লাগে। যখন স্কুলে পড়তাম আমার স্কুলের এক ম্যাম এই কবিতাটি এত চমৎকারভাবে আবৃত্তি করত যে আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি আবৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

এই কবিতাটি আমি একটি বইতে দেখেছিলাম অষ্টম শ্রেণির হতে পারে। দুই বিঘা জমি কবিতাটি কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে পড়তে এবং আবৃতি শুনতে তার চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আবৃতি করেছেন মনটা জুড়িয়ে গেল শুনে। আসলে আমি কবিতা আবৃতি শুনতে একটু বেশি পছন্দ করি। আপনার মিষ্টি কন্ঠের কবিতা আবৃতি তার চেয়ে বেশি ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আমাদের মাধ্যমিক সিলেবাসে ছিলো।

 2 years ago 

আপনার মাসতুতো ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। ও যেনো অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। যাইহোক আপু দুই বিঘা জমি নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। এই কবিতা আগে কখনো পড়া হয়নি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কবিতা আবৃতি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম থেকেই গরিব মানুষকে ধনী বা উচ্চ শ্রেণীর মানুষরা শোষন করে আসছে। আর শোষনের সুন্দর একটি চিত্র তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার “দুই বিঘা জমি” কবিতায়। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

একদম ঠিক ভাই।

 2 years ago 

দিদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমির আবৃত্তি আপনার কন্ঠে দারুন লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাবে আবৃত্তি করে গেলেন। অনেক ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি। 💕

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60352.73
ETH 2410.03
USDT 1.00
SBD 2.44