অঙ্কন-মুক্তি(১০% @shy-fox এবং ৫% @abb-charity এর জন্য)
তারিখ-১৮.০১.২০২৩
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলের খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। অন্তত স্বাভাবিক জীবনে আবার ফেরার চেষ্টা করছি।অনেক কিছুই অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পথে। তাই ধীরে ধীরে সমস্তটা গুটিয়ে নিয়ে ঈশ্বরের কৃপা মনে করে এগিয়ে চলেছি। আর এই স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখার জন্য নিজের কর্ম ক্ষেত্রেও স্বাভাবিকত্ব আনার চেষ্টা করছি। পুরোটা এখনই করতে পারছি না। তবে জানুয়ারি মাস শেষ হতে হতে আশা করি পুরোটা গুটিয়ে নিজেকে আবার আগের মত আমার বাংলা ব্লগে সচল হতে পারব। এখন আমার পক্ষে ডিসকর্ডে একটিভ থাকা বা কমেন্টে একটিভ থাকা কোনমতেই সম্ভব হচ্ছে না। তবে চেষ্টা করছি পোস্টগুলো মোটামুটি রেগুলার করার। জানি সম্পর্ক খানিকটা সকলের সঙ্গে ছিন্ন হয়েছে। কিন্তু আবার আশা করি পুনরায় সকলের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কে ফিরে আসতে পারবো। শুধু আপনাদের সহযোগিতার হাত আর কিছুটা দিনের জন্য প্রয়োজন। আর আমি এখানে কাজ করে বুঝেছি আপনারা খুবই সাহায্য পরায়ন। আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা অংকন নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি অংকনটি আপনাদের ভালো লাগবে। অন্তর্নিহিত অর্থ খুবই গভীর এই ছবির।বদ্ধ জীবন থেকে একটা পাখি যেমন মুক্তি পেলে তার আনন্দের শেষ থাকে না, তেমন মানবক্ষেত্র একই জিনিস দেখা যায়। একঘেয়ে বদ্ধ জীবন যখন আমাদের তিতি বিরক্ত করে তোলে, ঠিক তখনই সেই বদ্ধ জীবনটাকে ভেঙে আমাদের মন যখন উড়ে যায়, আমাদের আনন্দের শেষ থাকে না। ছবির ধাপগুলো আমি আপনাদের সঙ্গে নীচে ভাগ করে নিচ্ছি।
ক্রমিক | উপকরণ |
---|---|
১ | খাতা |
২ | স্কেল |
৩ | কালো পেন |
৪ | মার্কার |
৫ | পেন্সিল |
৬ | ইরেজার |
প্রণালী
প্রথম ধাপ
একটি খাতায় পেন্সিল দিয়ে বাল্ব এঁকে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার বাল্বের নিচের হোল্ডার আটকানোর অংশটুকু এঁকে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এবার বাল্বের আউটলাইন টাকে কালো কালির পেন দিয়ে আরও প্রমিনেন্ট করলাম এবং একটু মোটা করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
পুরোটা আউটলাইন করা হয়ে গেলে উপরের একটা নির্দিষ্ট অংশ ফাঁকা রেখে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এবার হোল্ডারের অংশটাকে মার্কার দিয়ে পুরোটা কালো রং করে নিলাম এবং নিচ থেকে শিকড়ের মতো ঝুলিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
সমস্ত বাল্বের গায়ে চেক এঁকে নিলাম এবং নিচে খানিকটা অংশ ঘাস এঁকে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
এবার যেখানে ঘাস এঁকেছিলাম, সেখান থেকে পেন্সিল দিয়ে একটা গাছের আউটলাইন করে নিলাম।
অষ্টম ধাপ
এবার গাছটাকে মার্কার দিয়ে রং করে নিলাম।
নবম ধাপ
এবার বাল্বের প্রান্ত গুলোতে গাছের শাখা প্রশাখা আরো ঘন করে দিলাম।
দশম ধাপ
এবার গাছের মধ্যে কিছু পাখি একে দিলাম এবং বাল্বের খোলা মুখটা দিয়ে কিছু পাখিকে আকাশে উড়িয়ে দিলাম। আর নিচে নিজের সিগনেচার করে দিলাম।
আমার এই অন্যরকম ড্রয়িং এর প্রচেষ্টাটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে।সকলে খুব ভালো থাকবেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸
পরিচিতি
আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
আপু আপনার এত সুন্দর আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার কাছে আপনার এই আর্ট অনেক ইউনিক লেগেছে। ঠিক বলেছেন আপু অন্তর্নিহিত অর্থ খুবই গভীর এই ছবির। তবে আর্ট দেখে এতটুকু বুঝা যাচ্ছে পাখি মুক্ত আকাশে উড়ে যাওয়ার জন্য বদ্ধ জীবন ত্যাগ করেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দিদি পাশে থাকার জন্য।