সজীবের পরিবর্তন তৃতীয় বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

সজীবের পরিবর্তন তৃতীয় বা শেষ পর্ব

cloud-2436676_1280.jpg

source

সজীবের পরিবর্তন তৃতীয় বা শেষ পর্ব।আসলে সজীবের বাবা মা যখন বিয়ে ঠিক করে ফেলল, তখন সজীব ও বিয়েতে রাজি হয়ে গেল। যাক মোটামুটি ভাবে তাদের বিয়ে হয়ে গেল। এভাবে চলে গেল এক সপ্তাহ। সজীব বউকে রেখে চলে গেল গাড়ী চালানোর জন্য। সজীবের বউ ও শশুড় শাশুড়ি সবারই সাথে মিলে মিশে থাকতে লাগলো।আসলে নতুন বউ তারপর আবার স্বামী কাছে নেই সব মিলে বেশ ভালো রয়েছে। মাঝে মাঝে বলতে এক সপ্তাহ পরে সজীব আসে।এভাবে চলতে থাকলো। তবে সজীব বেশ ভালোই ইনকাম করছে। এখন সজীবের বাবা একটু শান্তিতে থাকতে থাকলো। আসলে সজীব ও তার বউ বাবামা সবারই সাথে চলতে থাকলো। এভাবে চলে গেল ছয় মাস।

এদিকে সজীবের বোনকে ও বিয়ে দেবি পাত্র দেখছে। তবে সজীব অনেক ভালো ইনকাম করছে।সজীব বাবা মা ভাইবোন সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই আছে।ইতিমধ্যে সজীবের বউ প্রেগন্যান্ট হলো। তাই সজীবের বউ তেমন খাওয়া দাওয়া করতে পারে না,আবার কিছু করতে ও পারে না। তারজন্য সজীবের শাশুড়ি তার মেয়েকে কিছু দিনের জন্য তার কাছে রেখে দিল। সজীব ও মাঝে মাঝে বউকে দেখার জন্য যেত আবার কিছু টাকা পয়সা দিয়ে আসত।এদিকে সজীবের শাশুড়ী তার মেয়েকে বুঝাতে লাগলো তোর স্বামীর টাকা তুই সংসারে দিবি না। আস্তে আস্তে সব কিছু নিজের করে নিবি।তানাহলে দেখবি পরবর্তীতে তোর স্বামীর কিছুই থাকবে না। আসলে কেউ যদি সব সময় কানপরা দেয় অনেকে বাধ্য হয় সেই কাজ করতে।


প্রায় দুইমাস পরে সজীব তার বউকে শশুড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসলো। এদিকে সজীবের বোনের বিয়ে ঠিক হলো। আসলে সজীবের বাবা যা ইনকাম করে তা বাজার করতে শেষ হয়ে যায়।এখন সজীব সংসারের হাল ধরেছিল। কিন্তু সজীবের শশুড় বাড়ি থেকে কানপরা দেওয়াতে সজীব আস্তে আস্তে কেমন যেন হয়ে পড়লো।সে একেবারে বাড়িতে টাকা পয়সা দেয় না।সজীবের এমন পরিবর্তন দেখে সবাই অবাক হতে লাগলো। আসলে বউয়ের কথা শুনলে কি হয় এটা সজীবের হয়েছে।


সজীব বাড়িতে আসলে আলাদা করে বউ এর জন্য সব নিয়ে আসে। এদিকে সজীবের বোনের বিয়ে তার বাবা অনেক কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছে সজীব এক টাকা ও দেয়নি।অথচ সজীবের অনেক টাকা পয়সা। আর সজীব তার বউকে বেশি ভাগ সময় শশুড় বাড়িতে রেখে আসে আর সব টাকা পয়সা শশুড় বাড়িতে দেয়। এদিকে সজীবের বাবার আবারো যেন কষ্টের শেষ নেই। মেয়েটা বিয়ে দিয়ে অনেক দেনা হয়েছে। তারপর সজীব ও ফিরে তাকায় না। সব মিলে সজীবের বাবা অনেক কষ্টে আছে।এদিকে সজীব শশুড় বাড়িতে মহাসুখে আছে। আসলে এমন পরিবর্তন কেউ না হওয়ায় ভালো। যাইহোক আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা সজীবের মতো হয়ে যায় ।

2GZpiygLZbndtMBNRVUJ19to2HA8AJHhDzhWy6HXkpbABs3wVi77RWv7qwHBXVEN3qzVymfDrdF7YupEDxp2dxQk8bz63txFqiUxURWQ1BudgH7GRTX4aoe8KcTgjL...rqmazngaQSFCEE1jXrmR7g8aaRttRx4JkC2twxSFfTuT37LxyiG5FBmgWctHLy1bxhovdtRWRZAhst4UtrYW1GhfoWLVYrog3FtTpgC8XsdEsddY2raMrKZQgM.gif

আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScQy7C44Q43NAfhUa73Y1nHv3cvSKChk62pnPhuqhkLAnzA47j47NEp6Q4f9dRCvyy31KSeqyMAMi2Tg2svDUEiUHJR3KGZmtezgQhN2HrwQ.png

Sort:  
 11 months ago 

সজিবের পরিবর্তন এই গল্পটার আগের পর্বগুলো পড়া হয়েছিল। আর আজকে আপনি এই গল্পটার শেষ পর্ব অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আমি তো ভেবেছিলাম সজিবের পরিবর্তন হয় তো ভিন্ন ভাবে হবে। কিন্তু এখন তো দেখছি সে তার ফ্যামিলিকে টাকা দেয় না। আর তার বাবা-মা এবং বোনের পাশেও নেই। আসলে যারা এরকম কানপরা গুলো দেয় তাদের সাথে কখনো ভালো হয় না। এরকম মানুষ গুলোর জন্যই এখন সমাজের এই অবস্থা।

 11 months ago 

সজীবের পরিবর্তন এই গল্পটার শেষ পর্ব পড়ে আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। আসলে এরকম ভাবে অনেক সংসারে অশান্তি শুরু হয়। তারা কিন্তু অনেক বেশি সুখী ছিল একসাথে থেকে কিন্তু সজীবের শাশুড়ি কানপরা দেওয়ার কারণে সে এবং তার স্ত্রী অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। আপনি অনেক সুন্দর করে এই গল্পটির শেষ পর্ব সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন সব মিলিয়ে দারুণ লেগেছে পুরোটা আমার কাছে।

 11 months ago 

সত্যি আপু কিছু কিছু মানুষের কানপরার জন্য শান্তির সংসারে অশান্তি নেমে আসে।ধন্যবাদ আপু গল্পটা পড়ার জন্য।

 11 months ago 

আমাদের সমাজে এমন কুলাঙ্গার সন্তানের অভাব নেই। যারা সব সময় বউয়ের কথায় ওঠাবসা করে। তবে কাজটা একদম ভালো হয়নি কিন্তু এর পরিণাম ভালো হয় না পরিশেষে। টাকা পয়সা হলো অবশেষে পরিবারকে নিয়ে সুখে ছিল। কিন্তু মেয়েদের সংসারে যখন শাশুড়িরা নাক গলায় তখন সে সংসার আর সুখের থাকে না। অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি গল্প শেয়ার করলেন।

 11 months ago 

জি আপু শাশুড়ির কথা শুনলে সংসারে অশান্তি নেমে আসা স্বাভাবিক, ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।

 11 months ago 

গল্পের শেষের দিকে এসে মন খারাপ হয়ে গেলো। এমন পরিবর্তন কেউ চায় না আপু। আর অন্যের কান পড়ায় নিজের বিবেক বুদ্ধি বিসর্জন যেন না দেই কেউ, এটাই কাম্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

অনেক ছেলেরা শ্বশুর বাড়ির কুবুদ্ধিতে পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন বাবা মায়ের কোনো খেয়াল রাখে না। আমার কাছে মনে হয় অনেক পরিবার মেয়েকে বিয়ে দেয়, মেয়ের জামাই এর টাকা খাওয়ার জন্য। সজীবের মা বাবার কপালে সুখ বেশিদিন সহ্য হলো না। তবে সজীবের কপালে এই সুখ চিরস্থায়ী হবে না। কারণ মা বাবার অভিশাপ এমনিতেই লেগে যায়। যাইহোক গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আশা করি নতুন কোনো গল্প নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন।

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া সজীবের কপালে সুখ বেশিদিন সইবে না, ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59999.40
ETH 2646.89
USDT 1.00
SBD 2.44