জসিম পল্লী মেলায় মোগলাই ও ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
জসিম পল্লী মেলায় মোগলাই ও ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে
আজ এসেছি ফুসকা ও মোগলাই খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে জসিম পল্লী মেলায়। আসলে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী মেলা জসিম পল্লী মেলা। মেলা প্রতি বছর মেলে, অবশ্যই প্রতি বছরি মেলাতে যাওয়ার চেষ্টা করি।যাইহোক কয়েক বারের তুলনায় এবার সব কিছুর দাম বাড়তি। তবে আমার কাছে মনে হয় জিনিস পত্রের চেয়ে খাবারের দাম আরো বেশি।তবে দাম যাই হোক মেলায় গিয়েছে খাবার খাব না তা কি করে হয়। যাইহোক বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলাম কি খাবে একজন বলল মোগলায় আর আরেকজন বলল ফুচকা খাবে। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
মেলাতে অনেক গুলো চটপটি ও ফুচকার দোকান বসেছে। তবে সবচেয়ে ভালো দোকান দেখে বাচ্চাদের নিয়ে বসলাম। আসলে আমি খাব না তবে বাচ্চাদের দুই প্লেট দিলে তারাও খেতে পারে না। যাইহোক কিছু সময় বসার পরে একটা মোগলাই ও এক প্লেট ফুসকা অর্ডার করলাম। আসলে আমাদের মতো অনেকে আছে খাবার অর্ডার করে বসে রয়েছে।যদিও আমরা বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম। তাই বেশি সময় লাগেনি। তারপর উনারা একটু বসতে বললো।
আমরা বসে রইলাম। আমাদের মতো অনেকেই বসে আছি খাবার অর্ডার করে। তবে আমার মেয়েরা বলছে সবাইকে খাবার দেয় আমাদের তা কই। আসলে বাচ্চারা খেতে চাওয়া পর্যন্তই কিন্তু খাবার দেবার পরে আর খাবে না। যাইহোক বাচ্চা মানুষ একটু বুঝিয়ে রাখতে হয়। আসলে তাড়াতাড়ি খেয়ে তারা আবার খেলনা কিনবে ও রাইড চড়বে।
তারপর আমরা সবাই বসে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। প্রায় পনেরো মিনিট পরে আমাদের খাবার সামনে আসলো।খাবার দেখে বাচ্চারা অনেক খুশি।আসলে যতটা খুশি হয়েছে খাবার দেখে ততটা খেলে আমি অনেক খুশি হতাম। যাইহোক খাবারটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভালো হবে।
খাবার দেওয়া মাত্রই সবাই খেতে শুরু করলাম। আসলে অনেক সময় মেলায় ঘুরেছিলাম তাই বাচ্চাদের গরম লেগেছিল। তারপর গরম মোগলাই আমি বলছি তাড়াতাড়ি খাও, তখন তারা বললো তাহলে খাব না। কি আর করা তারপর বললাম যত সময় লাগে আস্তে আস্তে খাও। যাইহোক তাদের যা খাবার খেলে এখন বাকিটা আর কি করবে রেখে চলে আসতে হলো।আসলে খাবার মোটামুটি ভালোই ছিল। যাইহোক বাচ্চারা খুশি তো আমরাও খুশি।বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
মোগলাই এবং ফুচকা আমারও ভীষণ পছন্দের খাবার। এ ধরনের ফাস্টফুড গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপু আপনি মেলাতে গিয়ে সব থেকে ভালো হোটেলে ফুচকা আর মোগলাই খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। খাবারটা খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল যেন ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জসিম পল্লী মেলায় ঘুরতে গিয়ে চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। তার পাশাপাশি সবাই মিলে মোগলাই ও ফুচকা খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে মোগলাই খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া ফুসকা আমি মাঝে মধ্যে খেয়ে থাকি। তবে ঝাল বাড়িয়ে ফুসকা খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, সব বাচ্চারাই বোধ হয় এরকমই হয়, খাওয়ার আগে খুবই আগ্রহ দেখায়, তবে খাওয়ার পরে সে আগ্রহ আর থাকে না। আমার ছেলেটা মাঝে মাঝে এমনই কাজ করে। যাইহোক আপু, মেয়েদেরকে নিয়ে মেলায় ঘোরাফেরা করেছেন সেই সাথে মোগলাই ও ফুচকা খেয়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলে ভাইয়া আমার মনে হয় সব বাচ্চাদের একই অবস্থা, ধন্যবাদ আপনাকে।