জেনারেল রাইটিং :-শৈশব স্মৃতি কুঁড়িয়ে পাওয়া টাকা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
শৈশব স্মৃতি কুঁড়িয়ে পাওয়া টাকা
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের সবারই ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে। সত্যি শৈশবের স্মৃতি মনে পড়লে অনেক হাসি পায় । তবে শৈশব নিয়ে আমাদের লেখার জন্য দাদা যেহেতু সুযোগ করে নিয়েছেন।তাই শৈশব নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি।আসলে শৈশবের স্মৃতি অনেক মধুর হয়। তবে গতকাল আমি যখন মেয়েকে স্কুলে দিতে গিয়েছিলাম তখন দেখি দুটি টুতে পড়া বাচ্চা টাকা নিয়ে মারামারি করছে। তখন আমি তাদের জিজ্ঞেসা করলাম কেন মারামারি করছো। তখন তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম পাওয়া টাকা নিয়ে মারামারি ।আর বাচ্চাদের মারামারি দেখে ঠিক আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। তাই চলে আসলাম শৈশব স্মৃতি নিয়ে লেখার জন্য।
আসলে আমার বয়স যখন (৩-৪)বছর হবে। তবে এখনকার বাচ্চাদের মতো আমি এতোটা চালাক ছিলাম। আমার বড় ভাই বোন ও ছিল। যাইহোক আমি তখন টাকা ভালো ভাবে চিনতাম না। আসলে শুধু দশ টাকা আর বিশ টাকা ছাড়া আর কোন টাকা চিনতাম না। আমি আমার মায়ের সাথে গিয়েছিলাম আমার নানা বাড়িতে। নানার বাড়ির সামনেই ছিল নদী। তখন সবাই নদীতে গোসল করত। তাই আমি আমার মামাতো বোনের সাথে নদীতে গিয়েছিলাম। ওরা সবাই গোসল করছে আর আমি নদীর পাড়ে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি নদীর পাড়ে কিছু টাকা পড়ে আছে। তিনটি নোট, দশ টাকার ৫০ টাকার ও ৫০০ টাকার নোট। তবে আমি শুধু দশ টাকা চিনতাম আর কোন টাকা চিন্তাম না
আবার কুঁড়িয়ে পাওয়া টাকা যে নিতে হয় না সেটাও ভালো করে বুঝতাম না। তারপর পাওয়া টাকা গুলো আমি হাতে নিয়ে নিলাম। যখন আমার মামাতো বোনের গোসল শেষ হলে তখন আমি তাকে বললাম আপু আমি তিনটি টাকা পেয়েছি।আসলে সেই তেমন বড় না তবে টাকা ভালো করেই চেনে।তারপর আপুটা বললো কই টাকা গুলো আমাকে দে।আমি সাথে সাথে তাকে দিয়ে দিলাম। সে আমাকে বললো তুই কাউকে বলবি না। বিকেলে আমরা দোকানে গিয়ে চিপস কিনে খাব।আমি ও তার সাথে রাজি হয়ে গেলাম। সত্যি আমি চিপস এর লোভে কাউকে বলিনি।তারপর বিকেল বেলা আপুর সাথে গিয়ে চিপস কিনে আনলাম।
সে আমাকে দশ টাকার একটা চিপস দিয়ে আর টাকা নিজের কাছে রেখে দিল। দুদিন পরে আমরা যখন চলে আসব তখন আমার মায়ের কাছে পাঁচশত টাকা দেখে, আমি জিজ্ঞেসা করলাম এটা কয় টাকা? আমার মা বললো পাঁচশত টাকা। তখন আমি বলে দিলাম আপু সাথে নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন এমন টাকা পেয়েছি। তখন আমার মা বললো কই টাকা। আসলে চিপস খাওয়া শেষ তাই বলে দিয়েছি। আমি বললাম আপুর কাছে।তখন মা জিজ্ঞেস করলো তুই টাকা কি করছিস।। তখন সে বললো আমি সব স্কুলে গিয়ে খেয়ে ফেলেছি।তখন মা বললো তুই বড় হয়ে টাকা গুলো কেন নিলি। এই টাকা গুলো মসজিদে দিয়ে আসবি। তখন সে বললো ফুফি আমার ভুল হয়ে গেছে।আসলে টাকা গুলো ছিল আমার মামার। এদিকে মামা টাকা গুলো খুঁজছে। আর অন্যদিকে আমি পেয়েছি কিন্তু তার মেয়ে ভাঙছে। সত্যি এমন ঘটনা মনে পড়লে অনেক হাসি পায়। আসলে শৈশব স্মৃতি গুলো সব সময় মধুর হয়। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আব৭দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার লেখা পড়ে ফিরে পেলাম সেই অতীতের স্মৃতিগুলো। ঠিক মনে করলাম আমার জীবনে এমন টাকা পাওয়ার স্মৃতিগুলো। আমি একবার দুইবার নয় বেশ অনেকবার টাকা পেয়েছি কিন্তু মাঝেমধ্যে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাইহোক অতিথিরিতি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে আপনি চিপসের লোভে কাউকে কোন টাকার কথা বলেননি৷ তবে যখন আপনার চিপস খাওয়া শেষ হয়ে গেল তখন আপনি আপনার মাকে সকল টাকার কথা বলে দিলেন৷ খুবই ভালো লাগল এরকম একটি জেনারেল রাইটিং পড়তে পেরে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার জন্য
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাপরে আপনার স্মৃতিশক্তি দেখছি অনেক ভালো, তিন চার বছর বয়সের কথা বেশ স্পষ্ট মনে আছে দেখছি। আমি তো অনেক কিছুই মনে করতে পারি না। যাইহোক এরকম টাকা আমিও পেয়েছি তবে বেশিরভাগ সময় মাকে দিয়ে দিয়েছি, আসলে টাকার গুরুত্ব বুঝতাম না। তবে এখন বুঝি টাকা কি জিনিস। যাইহোক আপনার স্মৃতিটুকু পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
ভালো কি না জানি না, তবে কথা গুলো ভালোই মনে থাকে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু ছোটবেলার এমন মজার ঘটনা গুলো মনে পড়লে সত্যিই বড্ড হাসি পায়। আপনি টাকা কুড়িয়ে পেলেন আর আপনার মামাতো বোন সেই টাকা নিজেই নিয়ে নিল। তবে অত ছোট বয়সে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিতে হয় না, এমন ধারনা না থাকারই কথা। শুধু আপনার নয় আপু, এরকম ঘটনা আমার জীবনেও ঘটেছে। কোন একদিন সময় সুযোগ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আপু আপনার মজার স্মৃতিটুকু পড়তে গিয়ে শেষে যখন জানতে পারলাম, সেই কুড়িয়ে পাওয়া টাকা আপনার মামার ছিল, আর সেই টাকা আপনার মামাতো বোন খরচ করে ফেলেছে। কথাটি শুনে সত্যি আমারও ভীষণ হাসি পেয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, শৈশব স্মৃতি কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিয়ে মজার ঘটনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া কথা গুলো মনে পড়লে হাসি পায়, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ চমৎকার স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আপনার শৈশবের টাকা পাওয়ার স্মৃতির কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমি যেন শৈশবে হারিয়ে গেলাম। আমি মাত্র একবার টাকা পেয়েছি ছোট বেলায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত চমৎকার শৈশবের স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার শৈশবের স্মৃতির এই গল্পটা পড়ে আমার অনেক হাসি পাচ্ছিল। বেশ মজা পেয়েছি আপনার এই স্মৃতিময় এই গল্পটা পড়ে। আসলে ছোটবেলায় আমরা কেউই সব টাকা চিনতাম না। আর আপনি তো তখন অনেক ছোট ছিলেন। টাকা পেয়েছিলেন আপনি, আর ভেঙে ছিল আপনার মামাতো বোন, আর টাকা হারিয়েছিল আপনার মামার, সত্যি বিষয়টা অনেক মজার।
জি আপু বিষয়টা অনেক মজার ছিল, ধন্যবাদ আপু।
আপনার শৈশবের স্মৃতিময় এই পোস্টটা পড়ে আমার তো নিজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে। আসলে ছোটবেলার এরকম মজার মজার স্মৃতি রয়েছে যেগুলো এখনো মনে পড়লে হাসি পায়। আপনার মামার টাকা হারিয়ে গিয়েছিল আর আপনারা সেগুলো পেয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আপনাকে ১০ টাকার একটা চিপস দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল কোনরকম। অন্যগুলো আপনার মামাতো বোন নিয়ে গিয়েছিল তাহলে। দারুন লেগেছে এবং মজাও লেগেছে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ছোটকালে যে টাকা কুড়িয়ে ফেলে সেগুলো নিতে হয় না সে ভালো মন্দ আমরা বুঝতাম না। আপনিও ঠিক আমার মত করলেন আমিও টাকা কুড়িয়ে পেয়ে নিয়েছিলাম। তখন সেই সাথে খরচ করেছিলাম আবার কিছু দিন পর আমার থেকে দ্বিগুণ হারিয়ে গেছিল। আপনিও দেখছি সেই টাকা পেয়ে মহা খুশি। অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে পড়ে।
জি আপু টাকা গুলো পেয়ে অনেক খুশি ছিলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।