ভালোবাসা কোন বাঁধা মানে না ২য় বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

ভালোবাসা কোন বাঁধা মানে না ২য় বা শেষ পর্ব

1000013557.jpg

source

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আসলে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা অনেক ভালো ভালো গল্প শেয়ার করে থাকেন।গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি। গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে তাই আজ ও এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। সত্যি বলতে আমাদের চারপাশে যা ঘটে সেই থেকে গল্পের সৃষ্টি হয়।আসলে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বলার মতো নয়। কিছু কিছু ভালোবাসায় মিলন হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর কিছু কিছু ভালোবাসায় মিলন হলে দেখলেও খারাপ লাগে। ভালোবাসা পবিত্র জিনিস। ভালোবাসা শুধু পাওয়ার জন্য তা কিন্তু নয় অনেক সময় না পেয়ে ও ভালোবাসার স্মৃতি নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে আজীবন।সত্যি ভালোবাসা এমন জিনিস যা কোন কিছুই বাধা মানে না। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

তন্নীর স্বামী যখন মারা গেল তখন তন্নী শোকে আত্মাহারে হয়ে পড়লো।আসলে এতো দিন সংসার করছে একটু হলেও মায়া তো আছেই। তবে তন্নীর মনে হয় স্বামীর থেকে শাহিনের প্রতি ভালোবাসা বেশি ছিল।যাইহোক তন্নীর হাজবেন্ড মারা যাওয়ার সাথে সাথে তন্নী বাচ্চাদের নিয়ে ঢাকায় চলে গেলেন। আসলে তন্নীর বাচ্চারা ম্যাচ ওয়েট তাই তন্নীর ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। যেহেতু শাহিনের সাথে তন্নীর সব সময় যোগাযোগ ছিল তবে কম আর বেশি।

এখন যেহেতু তন্নী একদম ফ্রি কারণ তার মেয়ে আমেরিকায় আর ছেলে ভার্সিটিতে পড়ে। তবে তন্নী সারাদিন ফোনে সময় কাটায় বিশেষ করে শাহিনের সাথে বেশি।আসলে তন্নী তো ফ্রি কিন্তু শাহিন তো আর ফ্রি নয়। এভাবে চলে গেল ছয়মাস। যেহেতু তন্নী ও শাহিন দুজনেই ঢাকায় থাকেন তাই তারা মাঝে মাঝে দেখা করতে যায়।এদিকে তন্নীর মেয়ে বড় হয়েছে তাকে ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ে দেবে তার খবর নেই কিন্তু নিজেই আবার প্রেম করছে। আসলে তন্নীর ছেলে ও মেয়ে সবাই মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে তন্নীর সাথে। এদিকে শাহিন ও বেড়াতে এসেছে তাদের গ্রামের বাড়িতে। তারপর তন্নী ও শাহিন বিকেল বেলা মাঠে ঘুরছে।আসলে ঢাকার শহরে কেউ ঘুরলে তেমন পরিচিত মানুষ পাওয়া যায় না কিন্তু গ্রাম তো গ্রামি। এখানে বের হলেই পরিচিত মানুষের অভাব নেই। তাদের দুজনের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল এটা গ্রামের অনেকেই জানতো।দীর্ঘ (২৫-৩০)বছর পরে আবার যখন দুজনকে দেখতে পেল তখন গ্রামের মানুষ ধ্বিকার জানালো তন্নীকে।

এদিকে তন্নীর ছেলে মেয়ের গ্রামে মুখ উচ্চ করে আর কথা বলার সুযোগ রইল না।আসলে তন্নী অনেক অপমানিত হয়ে মেয়েদের রেখে ঢাকায় চলে গেল। এদিকে শাহিন ও ঢাকায় গিয়ে তন্নীর ফ্লাটে উঠলো।তারপর দুজনে মিলে বিয়ে করে ফেললো।আসলে তাদের কাছে সব কিছুর চেয়ে তাদের ভালোবাসাটাই মেইন।তবে তন্নী বিয়ে করেছে তার স্বামী নেই দেখে কিন্তু শাহিনের স্ত্রীর বেহাল অবস্থা। এভাবে বেশ কিছু দিন তারা গোপনে দেখাশোনা করতো।আসলে কথায় আছে না সত্য কখনো গোপন থাকে না।তারপর একদিন শাহিনের বড় ভাই গ্রামের কয়েক জনকে বললো তন্নী আর তার ভাইয়ের বিয়ের কথা। আসলে তারা এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তবে তারা কেন গ্রামের অনেকেই তন্নীকে খারাপ নজরে দেখছে।আসলে সব ভালোবাসা পূর্ণতা পেলে ভালো লাগে না। এদিকে তন্নীর মেয়ে আমেরিকার গিয়েছে আর আসবে না। ছেলে ও পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতে শুরু করলো।ছেলে মেসে থাকে এখন বাসায় তন্নী আর তার নতুন স্বামী পুরাতন প্রেমিক শাহিনের সাথে থাকে। ছেলেমেয়ে কোন কিছু তন্নীর দরকার নেই শাহিন ছাড়া।আসলে এমন ভালোবাসা সত্যি অনেক জগন্য।গ্রামের কেউ তাদের আর আগের মতো মূল্যায়ন করে না।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর


1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76576.73
ETH 3043.84
USDT 1.00
SBD 2.62