রিনাকে ভূতে ধরার গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
রিনাকে ভূতে ধরার গল্প শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে বর্তমান ব্যস্ততা এতো পরিমাণে বেড়ে গেছে বলার মতো নয়। শত ব্যস্ততার মধ্যে চেষ্টা করি কমিউনিটির কাজ গুলো করার জন্য। যাইহোক আজ এসেছে্ি রিনাকে ভূতে ধরার গল্প নিয়ে। আসলে আমরা যতই বলি না কেন ভূত বলতে কিছু নেই তবে চোখের সামনে যখন এমন জিনিস দেখা যায় তখন অবিশ্বাস কি করে করি।যাইহোক চোখের দেখাও অনেক সময় ভুল হতে থাকে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
হজুর যখন জেনকে হাজির করলো, তখন জেন সব বলে দিল কিভাবে এসেছে।রিনার ঘাড়ের ভূতের সাথে যখন হুজুর কথা বলছিল তখন ভুতকে বারবার জিজ্ঞেসা করা হয়েছিল সে কেন আসলো।আর ভূত বলছিল আমার সামনে গিয়ে পড়লে আমি কি করব। আমি কি ওর কাছে গিয়েছি নাকি।তারপর হুজুর বললো তাহলে এখন তুমি বলে যাও।ভূত বলছে এতো সহজ নাকি আমি অনেক কষ্ট করে পেয়েছি এখন কি করে যায়।আমি রিনার সাথে থাকব কিন্তু কোন ক্ষতি করব না। হুজুর বললো যেহেতু তুমি কোন ক্ষতি করবে না তাহলে থেকে কি করবে। তখন বললো আমি রিনার সাথেই থাকতে চায়।
তারপর হুজুর বললো তুমি যাইবলো ভাই তোমাকে তো রিনার ঘাড় ছাড়তেই হবে। হুজুর বললো তুই সহজে ঘাড় না ছাড়লে আমি তোমাকে জোর করে ছাড়াব।তারপর হুজুর বেশ কিছু লাঠি নিয়ে আগুন ধরারো।তখন বললো দেখ তুমি যদি এমনিতে না যাও তাহলে তোমাকে আগুন দিয়ে পুড়াব। তখন বলছে না আমি যাব তবে আমার কিছু শর্ত আছে তখন হুজুর বললো কি শর্ত বলো।তখন বললো রিনাকে যদি আমি আবার পায় তাহলে তার ঘাড়ে আসব।যাইহোক হুজুর বললো তুই আর কখনো রিনার কাছে আসবি না। যদিও সে যায় নাই, তারপর হুজুর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল। আর সাথে সাথে রিনার ঘাড় থেকে পড়ে গেল। তবে কি যে পুড়লো সেটা আমরা কেউ বুঝতে পারি নি।যাইহোক অবশেষে রিনা ভূতের হাত থেকে বেঁচে গেল। রিনার এখন আগের মতো সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে এমন কিছু আছে এটা অবশ্যই ঠিক। যাইহোক আমাদের সবারই উচিত একটু সাবধানে থাকা। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
কি ভয়ংকর কাহিনী। এগুলো সামনাসামনি দেখলেও তো ভয় লাগার কথা।ভুত রিনাকে ছাড়তেও চাচ্ছে না। এর আগে এরকম ভুতের অনেক গল্প শুনেছি। আগেকার দিনে এগুলো বেশি হতো। এখনো যে এরকম হচ্ছে জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। এজন্যই আমাদের সব সময় মাথায় কাপড় দিয়ে বাইরে যাওয়া উচিত।
ধন্যবাদ আপনাকে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রিনাকে ভূতে ধরার গল্পের শেষ পর্বটা পড়ে ভয় পেয়েছিলাম যে, রিনার ঘাড় দেখে ভুত টা গিয়েছে নাকি যায়নি। ভূতটা তো দেখছি যায়নি। আর এর কারণে হুজুর ভূত টাকে পুড়িয়ে দিয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। ভূতটাকে পুড়িয়ে দেওয়ার পর রিনা পুরোপুরিভাবে আগের মত সুস্থ হয়ে গিয়েছিল এটা শুনেই ভালো লেগেছে। আসলে কিছু ভালো জ্বীন রয়েছে, আবার কিছু খারাপ জ্বীন রয়েছে। ভাগ্য ভালো যে রিনাকে ওরকম খারাপ জ্বীনে ধরেনি। এটা এত সুন্দর করে লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু রিনা এখন পুরোপুরি সুস্থ, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
রিনাকে ভূতে ধরার গল্পের আগের পর্ব পড়া হয়েছিল। আর আজকের পর্ব টা পড়ে তো আরো ভালো লেগেছে। হুজুর অনেক চেষ্টা করার পর ওই ভূত টাকে রিনার ঘাড় থেকে দূর করতে পেরেছিল তাও আবার পুড়িয়ে। শেষ পর্যন্ত রিনা ভূতের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল এটা দেখে ভালো লাগলো। কাহিনীটা সত্যি অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল। পুরো কাহিনী অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
রিনা কে ভুতে ধরার গল্পের প্রথম পর্বটিও আমি পড়েছিলাম আজকেও পড়ে আমার কাছে বেশ ভয় লেগেছে। আগের দিনে এগুলা আসলে বেশি শোনা যেতো এখন তেমন একটা শোনা যায় না। যাইহোক হুজুর চেষ্টা করার পর রিনার ঘাড় থেকে ভূত টাকে নামাতে পেরেছে এবং রিনা সুস্থ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এর আগের পর্ব গুলো পড়ি নাই আপু শেষ পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। যেহেতু রিনাকে ভূতে ধরেছিল কিন্তু খুব সহজেই নামছিল না। অবশেষে হুজুর পুড়িয়ে মারল সেই ভূতকে। যেহেতু রিনার ঘাড়ের উপর উঠেছিল রিনাকে শেষ করে দিতে। ভাগ্যিস হুজুরের কাছে নিয়ে আনছিল রিনাকে তাই প্রাণে বেঁচে গেল।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
এই গল্পের অনেকগুলো পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর শেষ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। এর শেষ পর্বের অপেক্ষায় আমি অনেকদিন ছিলাম। রিনাকে ভুতে ধরার পর তার এই আর নামছিল না। তখন হুজুর সেই ভুতকে পুড়িয়ে ফেলেছে শুনে খুব ভালো লাগলো। ফলে তার জীবনও বেঁচে গেল।
জি ভাইয়া ভূত গিয়েছে এটাই অনেক, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই ধরনের গল্প গুলো আসলে ছোটবেলায় ঠাকুরমার মুখে শুনতাম, যে ঘাড়ে ভূত চেপেছে। তারপর সেগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ঘাড় থেকে নামানো হয়েছে। রিনার জীবনের এই ভূতে ধরার গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যে ঘাড় থেকে ভূত নেমেছে, এটাই সবথেকে বড় বিষয়। ভালো লাগলো আপু গল্পটা শেষ পর্যন্ত পড়তে পেরে।
জি ভাইয়া অবশেষে ঘাড় থেকে নেমেছে এটাই অনেক বড় কথা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই গল্পের আগের পর্ব পড়ে বেশ ভালো লেগেছিল। এই পর্বটি পড়েও ভীষণ ভালো লাগলো। কারণ আমার কাছে এই ধরনের গল্প পড়তে বরাবরই খুব ভালো লাগে। যাইহোক রীনা তাহলে হুজুরের মাধ্যমে ভূতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এমনটা আগের দিনে অনেক বেশি ঘটতো। তবে এখন এসব ঘটনা শোনা যায় না। অবশ্যই আমাদের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য