সজীবের পরিবর্তন ১ম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

সজীবের পরিবর্তন ১ম পর্ব

cloud-2436676_1280.jpg

source

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি প্রতি নিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে নতুন নতুন কিছু নিয়ে আসার জন্য। আর সেই চেষ্টা থেকেই প্রতি সপ্তাহে একটা গল্প লিখে যাচ্ছি।আর গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগে। আর আপনাদের উৎসাহ পেলে সত্যি লেখার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। আজ এসেছি বাস্তব একটা গল্প নিয়ে। আসলে আমার নিকটতম এক প্রতিবেশির গল্প নিয়ে।

সবীজরা দুই ভাই এক বোন।সজীব হলো দুই নম্বর। তার বাবা একজন অটোরিকশা চালক।তবে দুই ভাই কিছু একটা করতে পারে।তবে তারা তেমন কিছু করে না।তেমন পড়াশোনা ও করেনি। তার বাবা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তাদের খাবার যোগার করে। সজীবের বাবা অনেক পরিশ্রম করে। কিন্তু সজীবের বাবা মাঝে মাঝে লোন উঠায়। এদিকে পাঁচ জন মানুষের খাবার যোগার করা অন্য দিকে কিস্তি ঢানা। সবকিছু মিলে সজীবের বাবার পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়লো।মাঝে মাঝে কখনো অসুস্থ হলে তাদের পরিবারের সবাই না খেয়ে থাকতে হয়। সব মিলে বেশ কষ্টে আছে।তবে সজীবের বাবা একদিন কাজ না করলে সবাই তাকে রাগ করে।

এদিকে সজীবেরা দুটি ভাই কিছু করবে না তবে বসে বসে ভালো ভালো খাবার খাবে। সব মিলে সজীবের বাবা পড়লো মহা বিপদে।আসলে সজীবের বাবা ঘরজামায় থাকে। তাই সজীবের মা আরো অনেকজন মিলে ঠিক করল সজীবকে বাইরে পাঠিয়ে দেবে।সজীব ও রাজি বাইরে যাবার জন্য। এখন কথা হলো বাইরে রাষ্ট্রে যেতে হলেই তো অনেক টাকার দরকার। কিন্তু এতো টাকা কয় পাবে। পাশের বাড়ির এক ভাই উদ্যোগ নিল যেভাবে হোক সজীবকে বিদেশ পাঠিয়ে দেবে।ভাইয়া থাকে আমেরিকার মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসে।যাইহোক নিতে চায়লে তো আর হয় না। এদিকে টাকা লাগবে আবার অন্য দিকে ভাগ্য থাকাটাও জরুরি। যাইহোক অনেকে মিলে চার লক্ষ টাকা যোগার করল। সজীবের বাবা আবার লোন উঠালো কিছু টাকা।

সব কিছু জমা দেওয়া হয়েছে এখন শুধু তারিখ ফেলনে যাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রায় বছর ঘুরে এলো কোন খোঁজ খবর পেল না। এদিকে মানুষের কাছ থেকে টাকা এনেছে অন্য দিকে কিস্তি সব মিলে আরো ঝামেলায় পড়ছে সজীবের বাবা। আসলে ছেলেরা সব কিছু করতে পারে কিন্তু কিছুই করবে না। আবার এদিকে বিদেশে ও যেতে পারছে না। সব মিলে সজীবের বাবা মহাবিপদে আছে।অনেকে বলছে এই ছেলে বিদেশে গিয়ে ও ঘুরে বেড়াবে। আসলে সজীব ভালো ড্রাইভার। সে ভালো গাড়ি চালাতে পারে। আগে কয়েকবার চালিয়েছে। কিন্তু বিদেশ যাবে বলে চালানো বাদ দিয়েছে। এদিকে না পাড়ছে বিদেশ যেতে অন্য দিকে কিছু করছে না।এভাবে বসে বসে শুধু ভাবতে লাগল কখন সে বাইরে যেতে পারবে।দুই দিন আগে হঠাৎ ফোন এলো সজীবের বাইরে যাবার টিকিট কনফার্ম। রাতে ফোন এসেছে সকালেই ঢাকা যেতে হবে, রাতে ফ্লাইট । (চলবে)

আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।


TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScQy7C44Q43NAfhUa73Y1nHv3cvSKChk62pnPhuqhkLAnzA47j47NEp6Q4f9dRCvyy31KSeqyMAMi2Tg2svDUEiUHJR3KGZmtezgQhN2HrwQ.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আপনি অনেক সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বাবা পরিশ্রম করে সংসার চালাচ্ছে অথচ তার ছেলেরা ঘরে বসে খাচ্ছে। সবশেষে দেখছি সজীবের টিকিট কনফার্ম হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা দেখার জন্যই অপেক্ষায় থাকলাম।

 last year 

জি আপু পরবর্তী পর্ব তারাতাড়ি নিয়ে আসব,ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আমার তো মনে হচ্ছে সজীবের পরিবর্তন হবে। আর সে অনেক কর্মঠ হবে। সজীবের পরিবর্তন গল্পটার প্রথম পর্ব অনেক সুন্দর ছিল। তবে তার বাবার একা পরিশ্রমের কথা শুনে খারাপ লেগেছে। দুই ভাই চাইলেই বাবার সাথে পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করে সংসার চালাতে পারতো। এখন আমি তো ভাবছি পরবর্তীতে কি হতে চলেছে?

 last year 

সত্যি ভাইয়া তাদের বাবার পরিশ্রম দেখে সত্যি অনেক খারাপ লাগত,ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

এমন অনেক পরিবার আছে যারা শুধু বাবার উপর নির্ভর করে থাকেন। আসলে ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেলে একটু স্বাবলম্বী হতে হয়। তাছাড়া পাশাপাশি মা-বাবাদেরকে একটু সাপোর্ট করতে হয়। কিন্তু সজীব তো একদমই তা করল না বাবার উপর ভর করে চলতে লাগলো। পরবর্তী পর্বে কি রকম হয় পড়লে বুঝতে পারব আশা করি সজীব বিদেশে যেতে পারলো কিনা।

 last year 

আসলে আপু এখনকার ছেলেমেয়েরা বাবা-মার কষ্ট হয় একেবারে বোঝনা। ধন্যবাদ আপু পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

 last year 

সজীবের বাবা যেহেতু এতো কষ্ট করে তাদের সংসার চালায়, সজীব এবং তার ভাইয়ের অবশ্যই উচিত কিছু না কিছু করার। কারণ ৫ জনের সংসার চালাতে সজীবের বাবার খুব কষ্ট হয়ে যায়। সন্তানদের উচিত নিজের বাবার পাশে দাঁড়ানো। যাইহোক অবশেষে সজীবের বিদেশ যাওয়া কনফার্ম হলো। কিন্তু যাওয়ার পর মনে হচ্ছে সজীব পরিবর্তন হয়ে যাবে। তার পরিবারকে অর্থনৈতিক ভাবে তেমন সাহায্য সহযোগিতা করবে না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

পরবর্তী পর্ব অনেক তারাতাড়ি নিয়ে আসব,ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপু বর্তমান সময়ে সবটুকু সত্য কথাগুলা ফোনে এখানে তুলে ধরেছেন। সজীবের মতো অনেক মানুষ হয়েছে যারা লোন উঠাচ্ছে। যাদের জীবন ধারণা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সবশেষে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। নিজেকে একটু ভালো থাকার জন্য মানুষ কত কিছুই না করছে। আপনার গল্পটি বাস্তবমুখী। পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জি ভাইয়া গল্পটি আসলেও বাস্তব ধন্যবাদ ভাইয়া পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65769.61
ETH 2674.27
USDT 1.00
SBD 2.86