আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেই ঘুরা যদি কোন উপলক্ষে হয় তাহলে তো কথায় নেই। কয়েক দিন আগে আমরা সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম শিশু পার্কে। আসলে হঠাৎ করে যাওয়া তবে উপলক্ষ তো থাকেই।এবার শিশু পার্কে বেশ কিছু সময় ছিলাম। আর পছন্দের অনেক জিনিস দেখেছি।আস্তে আস্তে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।এবারের পর্বে রয়েছে শিশু পার্কের ভিতরের চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি ।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

বাচ্চারা রাইডে চড়ার পরপরই চলে যাবে চিড়িয়াখানায়।আসলে আমরা বেশ কয়েক জন গিয়েছিলাম পার্কে।আর ভিতরে গিয়ে যার যার মতো ঘুরতে লাগলাম। তবে পার্কের ভিতরে সবাই যখন চিড়িয়াখানায় ঢুকতে গিয়েছিলা।তখন কয়েক জন ভয়ে আর ভিতরের দিকে এগিয়ে যেতে পারিনি।

যাইহোক আমি সবার আগে চিড়িয়াখানার ভিতরে গিয়েছিলাম। তারপর আমার সাথে আরো কয়েক জন গিয়েছিল।প্রথমে গিয়ে দেখি হরিণ। আসলে হরিণ দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর পাশে বানর দেখে সবাই ভয়ে অস্হির হয়ে পড়ল।পাশে পুকুর রয়েছে সেখানে আমরা বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম।

সামনে এগিয়ে দেখি এক চাচা পশুপাখির জন্য খাবার তৈরি করছে।আসলে সেখানে এই চিড়িয়াখানা দেখাশোনা করে। আমাদের অনেকেই ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।তখন সেই চাচা বলেন সামনে বানর আছে।আপনাদের গায়ের ওপর বসতে পারে।এটা শোনে আমার জা আরো বেশি ভয় পেল।আর এটা দেখে আমরা কয়েক জন হাঁসতে থাকলাম। আসলে আমি জানতাম শুধু বাচ্চারা ভয় পায় এখন দেখি বড়রা ও ভয় পায় হা হা হা।

তারপর আমরা চিড়িয়াখানার ভিতরে ঘোরাঘুরি শেষ করে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। আসলে চিড়িয়াখানায় তেমন সময় দেয়নি।যাইহোক অন্য জায়গা নিয়ে আবার অন্য দিন আসব।আজ এখানেই শেষ করলাম।