সখিনার জীবনের গল্প ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সখিনার জীবনের গল্প ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি গল্প নিয়ে। আসলে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একদিন হলে ও গল্প লেখার চেষ্টা করি। আজ এসেছি সখিনার জীবন সম্পর্কে কিছু কথা নিয়ে । গ্রামের মেয়ে সখিনা,অনেক দূরন্ত সভাবের মেয়ে সে। বাবা ছিল কৃষক। চার ভাইবোনের বড় সখিনা। সখিনা মাধ্যমিক স্কুল পড়াশোনা করে মানে ক্লাস এইটে পড়ে। আবার সখিনা তার বাবার সাথে অবসর সময়ে মাঠে কাজ করে। আবার মার সাথে রান্নার কাজে সাহায্য করে। আসলে সখিনা সারাক্ষণ ছুটাছুটির ওপর থাকে, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়।
এভাবেই চলছিল সখিনার জীবন।সখিনা বাবা মা ভাইবোন সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দে ছিল। একদিন সখিনার বাবা স্টোক করে মারা যায়। তখন সখিনা একেবারে ভেঙে পড়ল। সখিনা কি করবে কিছুই সে বুঝতে পারল না। এদিকে ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনা করানো অন্য দিকে সবারই মুখে খবার যোগার করা সব মিলে যেন সখিনা পাগল হয়ে গেল। তখন সখিনা প্রতিক্ষা করল যেভাবেই হোক আমি আমার বাবার দ্বায়িত্ব পালন করব।কোন রকম চলছিল সখিনা পরিবার। এদিকে গ্রামের একজন সখিনাকে বিনা পয়সায় বিদেশে পাঠাতে চায়লো। সখিনা ও না করলো না, কিছু দিনের মধ্যে সখিনা বিদেশে পারি জমালো।
বিদেশে সখিনা এক ভালো মালিকের বাসায় কাজ করতে লাগলো। আসলে মালিক অনেক ভালো ছিল। সখিনা সেখানে খেয়ে পড়ে বিশ হাজার টাকা দেয়। আর সখিনা বিশ হাজার টাকা ধরে দিয়ে দেয় তার মা ও ভাইবোনদের। তবে দুই ভাই বড় আর এক বোন ছোট। সখিনার দুই ভাই টাকা গুলো পেয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাজে দিকে ঘুরাঘুরি করে। এদিকে সখিনার মা টাকার জন্য সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। সখিনার ভাইয়েরা তার মাকে বলে আপু টাকা পাঠায় না। একদিন সখিনা তার মায়ের সাথে কথা বললো তারপর তার মা বললো তুই কোন টাকা দিস না কেন। তখন সখিনা বললো কেন মা আমি তো প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা দিই। এ কথা শোনা সখিনার মা আকাশ থেকে পড়ল।তারপর থেকে সখিনা আর তার ভাইদের কাছে টাকা দেয় না।
এদিকে সখিনা তার মাকে সংসার চালানোর জন্য কিছু টাকা দেয়। আর সব টাকা সখিনা তার একাউন্টে রেখে দেয়। এভাবে চলে গেল দুই বছর। এখন সখিনা দেশে আসবে। কিছু দিনের মধ্যে সখিনা দেশে চলে আসল। সখিনা এসে দেখে তার দুই ভাইয়ের করুন অবস্থা। তারপর সখিনা তাদেরকে বুঝালো কিন্তু কোন কাজ হলো না।তারপর সখিনা তার ভাইদের বলল তোমরা কাজ করে খাবে। ইতিমধ্যে সখিনার গ্রামের একজন সখিনাকে বিয়ে করতে চায়লো। সখিনা রাজি ছিল না কিন্তু তার মায়ের জন বিয়ে করতে রাজি হলো। বিয়ের আগে সখিনা বেশ ভালোই জীবন কাটাতে লাগলো কিন্তু বিয়ের পরে সখিনার জীবন কেমন হবে তা জানতে হলে পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে। (চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপু আপনি খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন আর আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। যখন একজন মানুষের মাথার উপর থেকে যখন ছাদ চলে যায় তখন সেই সংসারের হাল ধরা খুবই কঠিন। হয়তো সখিনা বিদেশে না যাইলে তা সম্ভব হতো না। কিন্তু তার দুই ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠানো ঠিক হয়নি। তারা অতিরিক্ত টাকা পেয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সখিনা বিয়ের আগে ভালোই ছিল আর এখন বিয়ের পর তার জীবন কেমন হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু গল্পটা পড়ে সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।
সখিনা জীবনে সংগ্রাম করতে করতে বিদেশ গেল। বিদেশ যাওয়ার পর তার জীবনে একটু সুন্দর হলো কিন্তু তার বড় ভাইদের জন্য টাকা পয়সা অনেক নষ্ট হয়ে গেল। তারপর সে বিদেশ থেকে ফিরে এলো যখন তার বাবা মা বলল বিয়ে দিয়ে দিবো প্রথমে রাজি হয়েছিল না কিন্তু তার মায়ের কথায় রাজি হলো কিন্তু বিয়ের পর যে তার জীবনটা কেমন হবে সেই আশায় বসে আছি।
আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাগ্য ভালো সকিনা মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছিল যে তার ভাইয়েরা টাকাগুলো তার মাকে দিচ্ছেনা। তা না হলে তো তার মা কষ্ট করে যেত আর ভাইরা টাকাগুলোও খারাপ কাজে নষ্ট করত। বেশ ভালই তো যাচ্ছিল সকিনার জীবন। কিন্তু বিয়ের পরে কি হল জানার আগ্রহ বেড়ে গেল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য।
সখিনার জীবনের গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সখিনার বাবা মারা যাওয়ার পরে সে সংসারের হাল ধরার জন্য বিদেশে পাড়ি দিলেন। কিন্তু ভালো ভালো ইনকাম করার পরেও ভাইদেরকে মানুষের মত মানুষ করতে পারল না। ছকিনা মায়ের সাথে কথা বলায় বেশ ভালোই হয়েছে জানতে পেরেছে ভাইয়েরা যে তার মাকে কোন টাকা দেয় না। যাইহোক বিদেশ থেকে এসে মায়ের কথায় রাজি হয়ে বিয়ে করে বেশ ভালোই সংসার করছে। পরবর্তীতে কি হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
পরবর্তী পর্ব হয়তো তারাতাড়ি নিয়ে আসব, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সখিনার বাবা মারা যাওয়ার পর সখিনা সংসার চালানোর জন্য বিদেশে পাড়ি জমালো,কিন্তু তার ভাইয়েরা বাজে পথে চলে গেল। সখিনার শরীরের রক্ত পানি করা টাকা তার ভাইয়েরা বাজে পথে নষ্ট করলো,এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে পরিবারের মানুষ যদি একে অপরের কষ্ট না বুঝে তখন কিছুই করার থাকে না। সখিনা তার দায়িত্ব পালন করার যথেষ্ট চেষ্টা করেছে, কিন্তু তার ভাইয়েরা নিজেদের জীবন নিজেরাই নষ্ট করছে। তবে বিয়ের পর সখিনার জীবন কেমন হবে সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
জি ভাইয়া খুব তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব,ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুব অল্প বয়সে সখিনার বাবা মারা যাওয়ায় সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল এবং সংসার চালানোর জন্য তাকে দেশের বাহিরে যেতে হয়েছিল। অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে বাড়িতে পাঠালে সেই টাকা ভাইয়েরা নষ্ট করতো। অবশেষে সখিনা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।অতঃপর দেশে আসার পর তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর তারা জীবনের কি মোড় নিবে সেটা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।প্রথম পর্বটি খুব ভালো ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব, আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।