আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই তো সময় পেলেই, আর ভালো কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে মিস করি না।আজ ও এসেছি কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে। আসলে বিভিন্ন সময়ে তুলা বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি। আজ কয়েক দিন ধরে অনেক বৃষ্টি আর বৃষ্টির জন্য বাইরে বের হবার কোন উপায় নেই। তাই ফোনের গ্যালারি থেকে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। আশাকরি আপনাদের কাছে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেখে নিয় আমি কিকি ফটোগ্রাফি করেছি।

এই গুলো হয়তো আমরা সবাই চিনি আবার সবাই খেয়ে ও থাকি। এ গুলো হলো নাড়ু।এই নাড়ু গুলো খেতে অনেক মজা। কয়েক দিন আগে আমি বানিয়েছিলাম। আসলে বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে। আমি চিনি দিয়ে বানিয়েছি কিন্তু গুড় দিয়ে বানালে আরো অনেক ভালো লাগে।

এটি হচ্ছে লইট্রা শুটকি ভর্তা রেসিপি। আসলে বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই গতকাল খিচুড়ি রান্না করেছি। আর সাথে লইট্রা শুটকি ভর্তা করেছিলাম অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি শুটকি ভর্তা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

এটি হচ্ছে ফুল গাছ মানে পাতা বাহার কচুফুল গাছ।আসলে আমরা আমার ভাসুরের বাসা থেকে এই পাতাবাহার ফুল গাছ এনেছি।সত্যি এদের পাতার সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে। এই কচু পাতার সৌন্দর্য দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

এই ফুল গুলোর নাম আমার জানা নেই। আসলে এটা আমরা বেড়াতে গিয়ে এনেছি বাসার ছাদের ওপর লাগানো ছিল। আমার মেয়ে দেখে নিবেই তারপর নিয়েই এসেছে। তবে ফুল গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।

এগুলো হয়তো আমরা সবাই কম বেশি চিনি।আসলে এই তালের পিঠা খেতে অনেক মজা। তাল দিয়ে অনেক ধরনের পিঠা তৈরি করা যায়। আমার মা অনেক তালের রস দিয়েছিল। সেগুলো দিয়ে পিঠা খাওয়া হয়েগেছে। তাই বাচ্চারা আবার তালের পিঠা খাবে। তাই তাল কিনতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। সত্যি তালের খাবার গুলো অনেক মজার হয়।

এগুলো হলো কমলানেবু। আসলে আমাদের গাছে কয়েকটি কমলালেবু ধরেছে তাই বাচ্চারা খেয়েছিল অনেক ভালো লেগেছে। তাই আবার বাজারে দেখে কিনার জন্য অস্হির হয়ে পড়েছে। তার জন্য কিছু কমলালেবু কিনতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করেছি।

এই গুলো হলো চালতা। কয়েক দিন আগে মেয়ে চালতার আচার খাবে তাই কিছু চালতা কিনতে গিয়েছিলাম। তবে চালতা কিনে এনেছি আচার এখনো বানায়নি। আসলে চালতার আচার বানাতে একটু সময় লাগে। তবে চালতার আচার খেতে অনেক মজা হয়ে থাকে।

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।