জেনারেল রাইটিং :-হঠাৎ এক্সিডেন্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
জেনারেল রাইটিং :-হঠাৎ এক্সিডেন্ট
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে বোঝা মুশকিল। আসলে জীবন অনিশ্চিত। আমাদের নিঃশ্বাসের কোন বিশ্বাস নেই।গত শুক্রবারে হঠাৎ এক্সিডেন্ট হয়েছিলাম আমি ও আমার ছোট মেয়ে। সত্যি সেই মূহুর্ত মনে পড়লে মনে হয় কিসের জীবন। যে জীবনের এক মিনিট ও ভরসা নেই। আসলে ও পৃথিবীটা মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ। আমরা কেউ এই পৃথিবী ছেড়ে কখনো যেতে চাই না।তবে নিয়তির লেখা যার যখন ডাক আসবে পৃথিবীতে আর থাকা সম্ভব হবে না। আমরা যতই হুশিয়ার থাকি না কেন বিপদ যখন আসবে কিভাবে যে বেহুশ হয়ে যায় বোঝা মুশকিল। অনেকে বলে এভাবে করলে এভাবে হইতো না আসলে তার বিপদে এভাবে লেখা আছে তাই সে সেভাবে করে থাকে। যার যেখানে বিপদ আছে দৌড়ে গিয়ে সেখানে বিপদে পড়তে হয় এটাই বাস্তব। যাই হোক তাহলে চলেন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আসলে আমাদের সবারই একটা বিয়ের দাওয়াত ছিল গত শুক্রবারে, ফরিদপুর আলাউদ্দিন কমিউনিটি সেন্টারে। তাই আমরা সবাই যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।যেহেতু শুক্রবারের দিন তাই নামাজের মূহুর্তে কোন অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছিল না।আমরা সব সময় যে অটোরিকশা নিয়ে যায় তাদের কাউকে পাওয়া গেল না।তারপর বেলা বাজলো ৩ টা।আমরা সবাই এমনিতেই চলে যেতে পারতাম তবে আমার শাশুড়ি তো যেতে পারবে না।তারজন্য আমাদের সবাকে অপেক্ষা করতে হলো।ইতিমধ্যে একটা অটো পাওয়া গেল।যদিও অটোওয়ালা আমাদের এলাকার তবে তার অটোতে আগে কখনো গিয়েছি বলে মনে হয় না।
যাইহোক একটা অটো পেয়েছি তবে আমাদের সবারই জন্য অটোতে জায়গা কম ছিল। যদিও সাথে ছোট ছোট বাচ্চারা ছিল। যেহেতু বেলা তিনটা বাজে তাই আমরা সবাই অটোতে উঠলাম। তবে আমাদের বাড়ির রাস্তা থেকে মেইন রাস্তায় উঠতে একটু উচ্চ রয়েছে। অটোওয়ালা আমাদের বাড়ির ওপর থেকে সবাইকে বসিয়ে নিয়ে গেল।যদিও আমি ও আমার মেজ জা নামতে চেয়েছিলাম কিন্তু অটোওয়ালা বললো ভালো করে ধরে বসেন কিছুই হবে না।যাইহোক যেহেতু কপালে ভোগান্তি আছে তার জন্য আমরা অটো থেকে কেউ নামিনি।
আমি আর আমার ছোট মেয়ে অটোর উল্টো পাশে বসেছিলাম।আর আপনাদের ভাই মেইন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল । আসলে অটো টান দেবার সাথে সাথে আমার ছোট মেয়ে আমার কোলের ওপর বসে পড়লো।আমি আমার মেয়েকে ধরতে গিয়েছি এদিকে অটো জোরে টান দেওয়াতে আমি আর আমার মেয়ে পড়ে গেলাম।আর সাথে অটোর চাকা আমার বাম পায়ের ওপর দিয়ে উঠে গেল। আর মেয়ে রাস্তার ওপর পড়ে মাথা কেটে গেল। আমার মেয়ের মাথা দিয়ে রক্ত বের হলো। আমার পা ছেঁচে গেছে কিন্তু কোন রক্ত বের হয়নি। সাথে সাথে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হল। তারপর ডাক্তার দেখে আমারও মেয়ের এন্টিবায়োটিক দিল মলম দিয়েছে। আর আমাকে হাঁটতে কম বলেছে। আর পায়ে সব সময় Ankle পড়ে থাকতে বলেছে।আল্লাহ অশেষ রহমত আমার পা ভাঙেনি,তবে অনেক ব্যথা। এক সপ্তাহের ঔষধ দিয়েছে। আগের থেকে ব্যথা একটু কমেছে। আসলে আমার সেই দিনের কথা মনে পড়লে এখন গা শিউরে উঠে। দোয়াকরি এমন যেন আর কারো না হয়। আমাদের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
এইতো সেদিন আপনার সাথে ডিসকোর্ডে এসএমএস এ কথা হলো, আপনার এক্সিডেন্টের কথা কিছুটা জানতে পারলাম সেদিন। তবে আজকে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আসলে খুব খারাপ লাগলো যে অটো রিক্সা থেকে পড়ে আপনি এবং আপনার মেয়ে ব্যথা পেয়েছেন। বিশেষ করে মেয়েটার মাথা কেটে গেছে, আর আপনার পা ছেঁচে গেছে।যাক খোদার অশেষ রহমত হসপিটালে গিয়ে ওষুধ নিয়ে বাসায় এসেছেন।যাই হোক দোয়া করি যাতে মা ও মেয়ে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
জি ভাইয়া দোয়া করবেন, ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ার জন্য।
কিছুদিন আগে আপনার ভাইয়ার মুখে শুনতে পেলাম আপু আপনাদের ঘটনা। আসলে কখন কার কিভাবে এক্সিডেন্ট হয়ে যায় কেউ জানে না। তবে অল্পের মধ্যে বেঁচে গেছেন আল্লাহ আপনাদের হেফাজত করেছে জেনে খুশি হয়েছি। পথে ঘাটে চলতে গেলে অবশ্যই অনেক সাবধানতার সাথে চলতে হবে। আর এখান থেকে আমাদের অনেক সাবধানতা হওয়া প্রয়োজন।
দোয়া করবেন আপু তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।
আসলে সব সময় আমাদেরকে অবশ্যই সাবধানে থাকতে হবে। আর একটা অটোতে আপনাদের এতজন উঠা মোটেও উচিত হয়নি। আপনার মেয়ের মাথা ফেটে গিয়েছে এবং আপনার পা ছেঁচে গিয়েছে শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। তবে ওরকম কোন সমস্যা হয়নি এটা দেখে অনেকে ভালো লাগলো। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আপনারা দুজনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন পুরোপুরিভাবে। আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে হেফাজত করেছে এটাতেই অনেক। পুরোটা আমাদের মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু কপালে ভোগান্তি ছিল তার জন্য হয়তো নামিনি,ধন্যবাদ আপু।
ঐদিন আপনার সাথে কথা বলার সময়, আপনার এক্সিডেন্টের কথা শুনেছিলাম আপু। ডিসকোর্ডে যখন কথা বলছিলাম তখনই জেনেছি। আজকে পুরো কাহিনীটা ভালোভাবে স্পষ্টভাবে জানতে পারলাম। আপনারা যদি জনসংখ্যা হিসেবে রিক্সায় উঠতেন তাহলে হয়তো এত বড় একটা এক্সিডেন্ট হতো না। যাইহোক আপনি এবং আপনার মেয়ে দুজনেরই ক্ষতি হলো। আর আপনার মেয়ের মাথা ফেটে গিয়েছে। বিষয়টা আরও বড়সড়ভাবে হতে পারতো। তবে সৃষ্টিকর্তা পাশে ছিল যার কারণে বড় কিছু হয়নি। আর আপনার পা ও ভেঙ্গে যেতে পারত, সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম রহমত।
জি ভাইয়া আল্লাহ অনেক সহায় করেছে, ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু এমন ঘটনা একদিন আমার মায়ের সাথে হতে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিলাম। সেদিন আমি ও আমার মা অটোরিকশা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর আমরা উল্টো পাশে বসে ছিলাম। মা আবার উল্টো পাশে বসতে পারে না। কিন্তু জরুরি কাজের জন্য বসতে হয়েছিল। এরপর অটোরিকশা ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে মা পড়ে যেতে গিয়েছিল আর তখনই একটি মেয়ে ধরে ফেলে। তা না হলে সেদিন অনেক বড় একটি অ্যাকসিডেন্ট হতে পারতো। আপনার ঘটনা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আপনার আর আপনার মেয়ের বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। আপনাদের জন্য দোয়া রইল যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। ধন্যবাদ।
আসলে আপু আমরা কখনো বুঝতে চায় না সময়ের চেয়ে জীবনে মূল্য অনেক। ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমাদের জীবনটা একেবারেই অনিশ্চিত। কখন কি ঘটে যায় আমাদের জীবনে সেটা বলা মুশকিল। যাইহোক আপনি এবং আপনার মেয়ে অটো থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন,এটা জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো আপু। আশা করি আপনারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।