বাচ্চাদের স্পোর্টস দেখার অনুভূতি ২য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বাচ্চাদের স্পোর্টস দেখার অনুভূতি ২য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি বাচ্চাদের স্পোর্টস দেখার অনুভূতি ২য় পর্ব নিয়ে। সত্যি বলতে স্পোর্টস মেইন আর্কষণ থাকে যেমন খুশি তেমন সাঁজো। আসলে ছোট ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের জিনিস সেঁজেছিল সেগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও সব গুলোর সাজা আমি দেখিনি আসলে অনেকে অনেক ধরে সাঁঝ দিয়েছিল। সত্যি সাঁজ গুলো অনেক সুন্দর ছিল।তবে আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগেছিল কারণ আমি অনেক দিন পরে এই খেলা দেখেছিলাম। তারপর আবার ছোট বাচ্চাদের সাঁজ দেখতে ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। আর বাচ্চারা যেন মন খারাপ না করে তার জন্য সব বাচ্চাদের শান্তনামূলক পুরষ্কার ছিল। সেই জিনিসটা সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমি যখন গিয়েছিলাম তখন দেখলাম নাচ হচ্ছে। যদিও আগে আরো অনেক সাঁজ হয়েছে। যাইহোক আমার দেখা নাচের কথায় বলি।আসলে প্রথমে আসলো আমার মেয়ের বান্ধবী নাচ নিয়ে। তারপর গান ছেড়ে দিল সে অনেক সুন্দর করে নাচছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তারপর শিশু শ্রেণির বাবুটা নাচ করলো।এভাবে আরো কয়েক জন নাচ করেছিল। দশক সারির লোকজন মনযোগ দিয়ে দেখছিল সেটা অনেক ভালো লেগেছিল।
নাচের শেষে চলে আসলো মুক্তিযোদ্ধার মা। আসলে যেকোন স্পোর্টস এ মুক্তিযোদ্ধার দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে মুক্তিযোদ্ধার মায়ের বক্তব্যটাই মেইন।এই মুক্তিযোদ্ধার মা ১৯৭১ সালে তার অনেক সন্তান হারিয়েছে।তবে মুক্তিযোদ্ধার মা এর সাঁজের চেয়ে বক্তব্যটা অনেক ভালো ছিল। ছোট বাচ্চা হিসেবে বেশ ভালো বলেছে।তারপর আসলো একাত্তরের মুক্তিযোদ্ সেজেছিল। ছেলেটা বেশ ভালো অভিনয় করেছে।আসলে সে হাতে বন্ধুক নিয়ে যুদ্ধ করেছিল আর অন্য জন এসে তার বুকে গুলি ছুড়লো। এই অভিনয়টা বেশ ভালো ছিল। তারপর এলো বাংলার কৃষক। আসলে কৃষকের জন্যই আমরা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারি।সত্যি কৃষক ছোট হলেও অভিনয় দারুণ ছিল। সাঝ গুলো বেশ ভালো লেগেছিল।
যাইহোক সব খেলাধুলা শেষ হবার পরে চলে আসলো প্রাইজ দেবার পালা।আসলে যারা খেলায় ভালো করেছে তারা অপেক্ষায় আছে কখন পুরষ্কার হাতে পাবে।সব পুরষ্কার স্টেজে আনার পরে বাচ্চাদের মন আনন্দে ভরে উঠলো।প্রথমে বাচ্চাদের 'ঙ' দলের পুরস্কার দেওয়া হলো। আসলে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি চলে এসেছিলাম তাই বাচ্চাদের পুরষ্কার দেওয়া দেখিনি। যাইহোক কিছু কিছু পুরষ্কার দেওয়া দেখেছি।
যাইহোক আমি গিয়ে দেখেছিলাম বর্তমান সভাপতি সাভেক সভাপতিকে পুরষ্কার দিচ্ছে।সত্যি পুরষ্কার ছোট হোক বড় হোক পুরষ্কার পেলে অনেক ভালো লাগে। এভাবে কয়েকজনের পুরষ্কার দেওয়া দেখলাম। সেই মূহুর্তটা অনেক ভালো লেগেছিল।সত্যি স্পোর্টস দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাচ্চাদের স্পোর্টস দেখার অনুভূতি ২য় বা শেষ পর্ব। যখন নাচ হচ্ছিল তখন আপনি সেখানে গিয়ে পৌঁছেছিলেন জানতে পারলাম। স্কুলে থাকা অবস্থায় এগুলো বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করতাম। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মুক্তিযোদ্ধা সাজা দেখতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার স্পোর্টসের অনুভূতি পড়ে আমারও ছোটবেলায় স্কুলের স্পোর্টসের কথা মনে পড়ে গেল ।তখন প্রধান আকর্ষণ ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো ।সেই বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতাম এটা দেখার জন্য ।সত্যি এই বিষয়টা বেশ উপভোগ করতাম।আপনার পোস্টটি পড়ে পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল ।ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন খেলা গুলো দেখার সময় কিছু সময়ের জন্য ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।