আমেনার জীবনের গল্প ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
আমেনার জীবনের গল্প
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার জন্য। সেই চেষ্টা থেকে আজ ও একটা গল্প নিয়ে এসেছি।আসলে আমাদের চারপাশে তাকালে দেখা যায় বৃদ্ধরা কতটা অসহায়। সত্যি বলতে আমি আজ বাস্তব একটা গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।আসলে আমাদের চারপাশে তাকালে দেখা যায় সব কিছু থাকা সত্বেও বৃদ্ধরা অনেক অসহায়। আসলে আমাদের যখন শরীরে শক্তি থাকে তখন আমরা পিঁছে ফিরে থাকায় না।আসলে সময় থাকতে আমরা সময়ের মূল্য দিতে চাই না।
আমেনা নামক এক মহিলার গল্প। আসলে আমেনা ছিল অনেক সুন্দর তবে তার বাবার আর্থিক তেমন ভালো ছিল না। যাইহোক সুন্দর চেহারা দেখে আমেনাকে এক সরকারি চাকরি লোক বিয়ে করে নেয়।আমেনা শশুড় বাড়িতে বেশ ভালোই আছে।আসলে আগের দিনে মানুষের তো অনেক বাচ্চা হতো।আমেনার তেমনি দশ বছরে দশটা বাচ্চা হয়েছে। আসলে পাঁচটা ছেলে ও পাঁচটা মেয়ে হয়েছে। তবে দুটি বাচ্চা মারা গেছে। আর বাচ্চা গুলো নিয়ে আমেনা বেশ ভালোই ছিল। আসলে আগের দিনে তো এমন টাকা পয়সা ছিল না। তবে এখন সবকিছু পাওয়া যায় ও সবাই অনেক টাকা পয়সা খরচ করে ।
যাইহোক তখনকার দিনে একজন সরকারি চাকরি জীবির বেতন তেমন ছিল না। আমেনার যেহেতু অনেকগুলো ছেলে মেয়ে তাই কোনরকম সংসার চলতো।আমেনার বাচ্চারা যখন স্কুলে যেতে লাগলো তখন আমেনার স্বামী কার এক্সিডেন্টে মারা গেল।আসলে এমন সময় মারা গেছে তখন আমেনার বাচ্চা গুলো নিয়ে কিছুই করার ছিল না। আমেনা বাচ্চাদের ভালো মতো খেতে দিন পারত না।আসলে আমেনার জন্য সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ল।তারপরে ও আমেনা হাল ছাড়েনি।সে নিজেই স্বামীর পেনশিয়ানের কিছু টাকা আর মানুষের বাড়ি থেকে ভাতের মাড় চেয়ে এনে বাচ্চাদের খাওয়াতো।যাইহোক এভাবেই বাচ্চা গুলো বেড়ে উঠলো। তবে আমেনার সব কয়টা বাচ্চা পড়ালেখা করছে।
এভাবে চলে গেলে বেশ কিছু বছর। আমেনা মেজো ছেলের এসএসসি পাস করার পরেই পুলিশের চাকরি হয়ে গেল। তারপর আমনার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল। ইতিমধ্যে বড় ছেলে সংসারের হাল ধরল। কয়েক মাস পরে আমেনার সেজ ছেলে ডিবি লাটারি পেয়ে আমেরিকার চলে গেল। এদিকে দেখতে দেখতে আমেনার মেয়েদের সবারই বিয়ে হয়ে গেল। আমেনার আরেকটা ছেলে ও আমেরিকার চলে গেল। আমেনার সুখের শেষ নেই। আমেনা এখন অনেক ভালো। আমেনার তিন ছেলে আমেনাকে অনেক টাকা পয়সা দেয়।তবে আমেনার বড় ছেলে সংসারের হাল ধরেছি সে ভাইদের তা নিয়ে এখন বসে খাই।তারপর ছেলেরা সবাই একা একা বিয়ে করে নিয়েছে।তবে আমেনার কোন কিছুতেই আপত্তি নেই। আমেনার ঘরে এখন যেন সুখে ভরে আছে।আমেনাকে তার সেজ ছেলে আমেরিকা নিয়ে গেল।আসলে আমেনার জীবনে এখন সুখের শেষ নেই। তবে এই সুযোগ আমেনার জীবনে কতদিন থাকবে তা জানতে হলে পরর্বতী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।( চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আমেনার স্বামী ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে মারা যাওয়ার পরও আমেনা খুব সুন্দর ভাবে বাচ্চাগুলোকে মানুষ করেছে। আসলে স্বামী ছাড়া একা সংসার সামলানো খুবই কষ্টকর। ছেলে মেয়েদের পেছনে অনেক কষ্ট করেছে জন্য বৃদ্ধ বয়সে আমেনার সুখের শেষ নেই এখন শেষে টুইস্ট রেখে দিলেন। আমেনার কি হয়েছিল জানার অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটি পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমেনার জীবনের গল্পটি খুব ভালো লাগলো।ঠিক বলেছেন আগেরকার দিনে সরকারি চাকুরী জীবিতদের বেতন তেমনটা ছিলো না। আমেনার বরের কার এক্সিডেন্টে মৃত্যুটি মর্মান্তিক। তবে আমেনা বেশ সাহসী। জেনে ভালো লাগলো আমেনা তার ছেলেমেয়েরকে নিয়ে বেশ ভালো আছে এবং মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে ছেলেরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ সুন্দর একটি বাস্তব ঘটনার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব।
এরকম একটা সময়ে আমেনার স্বামী মারা গিয়েছে শুনেই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আপু। তবে এটা কিন্তু ঠিক, আগের দিনে মানুষের অনেক বাচ্চা হতো। আর তেমনি আমেনার দশটি সন্তানের থেকে দুজন মারা গিয়েছিল। অন্যগুলো বেঁচে ছিল এবং তারা খুব ভালো পর্যায়ে গিয়েছিল দেখছি। আমিনা হাল ছাড়েনি আর সন্তানদের জন্য সবকিছুই করেছিল। যার কারনেই আমেনা তার প্রত্যেকটা সন্তানকে পড়ালেখা করতে পেরেছিল এবং তাদের ভালো চাকরি হয়েছিল অন্য ছেলেরা বিদেশে গিয়েছিল এবং মেয়েদেরও ভালো জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। আর আমেনাকে তার ছেলে বিদেশ নিয়ে গিয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমেনার জীবনের গল্পের প্রথম পর্ব টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে পুরোটা খুব ভালো লেগেছে। আমিনার হাজব্যান্ড ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে রেখে মারা গিয়েছিল জেনে, সত্যি অনেক বেশি খারাপ লাগলো। তবুও কিন্তু আমেনা হাল ছাড়েনি। সে নিজের গতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সন্তানদেরকে নিয়ে এবং ভালোভাবে পড়ালেখা করিয়েছে তাদেরকে। যার কারনেই তো এরকম ফল পেয়েছে। প্রত্যেকটা সন্তান এরকম পর্যায়ে গিয়েছে শুনেই খুশি হলাম। তার জীবনের পরবর্তীতে কি হলো এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
জি ভাই শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করব ধন্যবা।
আমেনার হাসবেন্ড মারা যাওয়ার পর, আমেনা তো তাহলে এতগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে একেবারে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। আমেনা অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করায় এবং বড় করে। আমেনার কষ্ট একেবারে সার্থক হয়েছে। এখন তো আমেনার সুখের কোনো শেষ নেই। এখন শুধু দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াবে আমেনা। যাইহোক আমেনার সাথে এরপর কি কি ঘটলো, পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানা যাবে তাহলে।