পূর্ণতা পেল ভালোবাসা দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
পূর্ণতা পেল ভালোবাসা দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি পূর্ণতা পেল ভালোবাসা এর দ্বিতীয় পর্ব বা শেষ পর্ব নিয়ে। সবুজ যেহেতু ব্যাংকে চাকরি পেল। সেই ক্ষেত্রে সবুজের মনোবল আছে,সে বিয়ে করলে বউকে খাওয়াতে পড়াতে পারবে।তবে সবুজের বাড়িতে বড় কোন ঘর নেই। সবুজের আরো দুই ভাই মানুষের বাড়িতে দিন মঞ্জুর করে খায়। এদিকে হেনা সবুজকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে নারাজ। তবে হেনার বাবা বলেছে সবুজ মাত্র চাকরি পেয়েছে ওকে সব কিছু করতে অনেক সময় লাগবে। আর তুমি সবুজদের বাড়িতে গিয়ে থাকতে পারবে না।হেনা বললো আমি সবুজকে নিয়ে যেন কোন জায়গায় থাকতে পারব।
এভাবে চলে গেল বেশ কিছু দিন। এদিকে হেনার বাবা হেনার বিয়ে প্রায় ঠিক করে ফেলল।সেই ছেলে ও ব্যাংকে চাকরি করে। তখন হেনা বললো বাবা তাহলে সবুজের দোষ কোথায়। দুই জনেই ব্যাংকে চাকরি করে। আসলে সবুজের কোন দোষ নেই তবে সবুজের পরিবারের সবাই দরিদ্র তাই। তবে হেনা তার বাবার দেখা ছেলেকে বলে দিয়েছে, সে সবুজ নামে একটা ছেলেকে ভালোবাসে তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না।হেনার মুখে এমন কথা শোনে তার বাবার পছন্দ করা ছেলে পিঁছিয়ে গেল।এদিকে হেনাকে তার বাবা সব সময় হোনাকে চোখে চোখে রাখতে লাগলো।
আসলে ম্যাচুয়েট বাচ্চাদের কখনো ধরে রাখা যায় না। তারা কাছে বসেই সব করতে পারে। তারপর হেনা সাহস করে তার মাকে বলে দিল তোমরা যদি আমাকে সবুজের সাথে বিয়ে না দাও তাহলে আমি একাই বিয়ে করে নেব।তবে হেনার বাবা কিছুতেই রাজি ছিল না। হেনা অনেক ভেবে দেখল সে একা বিয়ে না করলে, সবুজকে পাবে না।তারপর হেনা আরো কিছু দিন দেখল। যখন কিছুতেই তার বাবা রাজি হলো না তখন হেনা একাই সবুজকে বিয়ে করে নিল।বিয়ের পরে সবুজ একটা বাসা নিয়ে থাকে।আসলে হেনার বাবা যখন হেনার বিয়ে ঠিক করেছিল এ কথা শোনে সবুজ মাঝে মাঝে নেশা করত। তাই বিয়ের পরে ও একদিন নেশা করে বাসায় এসেছিল। এটা দেখে হেনা অবাক হয়ে গেল, যে সে সত্যিই ভুল করলো।তারপর হেনা সবুজকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে লাইনে আনলো।আসলে একবার এক পথে চলে গেলে ফিরে আসা মুশকিল।যদি ও হেনার ফিরে আনতে অনেক কষ্ট হয়েছে, যাক ফিরে এসেছে এটাই অনেক
বিয়ের পরে হেনার বাবা হেনার সুখ দেখে হেনাকে মেনে নিল।আসলে এই মেনে নেওয়া যদি বিয়ের আগে নিত তাহলে হয়তো হেনার একা বিয়ে করতে হতো না ।সত্যি হেনার বাবার মতো কিছু কিছু মানুষের জন্য ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয় একা একা বিয়ে করতে। যেভাবেই হোক অবশেষে তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেল এটাই অনেক। আশাকরি আমার লেখা গল্পটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
যারা একবার নেশা শুরু করে তারা নেশা ছেড়ে দিলেও যেকোন বিপদে পড়লে আবার সেই নেশাকে আঁকড়ে ধরে। হেনা সবুজকে নেশা থেকে ফিরে এনেছে জেনে ভালো লাগলো বাবা-মা সবসময় সন্তানের ভালো দিকটাই চিন্তা করে। এজন্যই হেনার বাবা-মা সবুজের মত ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়নি।। যাই হোক তারা ভালো থাকলেই ভালো।
এটা সত্যি নেশা থেকে সরে আসা কঠিন ব্যাপার, তারপর হেনা পেরেছে। এখন তারা ভালোই আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে যারা একবার নেশা করে তাদের নেশা থেকে ফিরে আসাটা অনেক টাফ। তারপরও হেনা পেরেছে এ শক্তিটা অর্জন করতে। আর কারো বাবা মার্ই চায় না তার সন্তানকে কোন নেশা করা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে। তারপর হেনার জন্য তার বাবা-মা এটা করেছে। আপনি গল্পটা খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন আপু। গল্পটা পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এরকম একটা গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা আগে কেউ জানলে সম্পর্ক করত না,আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
হেনা এবং সবুজের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে কিছু কিছু বাবা মায়ের জন্য সন্তানরা পালিয়ে যায় এবং একা একা বিয়ে করে নেয় এটা সত্যি কথা। আর হেনার বাবা তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার কারণে হেনাও একাই বিয়ে করে নিয়েছিল। পরবর্তীতে তার বাবা মেনে নিয়েছিল তার সুখ দেখে এটা জেনে ভালো লাগলো। এই মেনে নেওয়াটা যদি প্রথমে করত তাহলে হয়তো এরকম কিছু হতো না। আর পরিবারের মতামত নিয়ে বিয়ে হতো তাদের।
সত্যি ভাইয়া কিছু কিছু বাবা মা একেবারেই মানতে চায় না সম্পর্ক গুলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
যেকোনো ভালোবাসায় পূর্ণতা পেলে তা সত্যি খুবই ভালো লাগে। হেনার বাবা যদি প্রথম দিকে তাদের সম্পর্কটা মেনে নিত তাহলে তারা পালিয়ে বিয়ে করত না। যাই হোক সম্পূর্ণ গল্পটা পড়ার সময় অনেক ভালো লাগছিল। আপনি অনেক সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম গল্পগুলো আশা করছি পরবর্তীতেও শেয়ার করবেন।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো,চেষ্টা করব পরবর্তীতে আরো এমন গল্প নিয়ে আসার জন্য।
আসলেই অনেক মা বাবার কারণে সন্তানদেরকে অবাধ্য হতে হয়। সবুজ এবং হেনার ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। পৃথিবীর সব প্রকৃত ভালোবাসা পূর্ণতা পাক সেই কামনা করছি। হেনার ভালোবাসা দিয়ে সবুজকে খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে, এটা হেনার জন্য আসলেই অনেক বড় একটি অর্জন। অবশেষে তাহলে হেনার পরিবারও মেনে নিয়েছে। দুই পর্বের এই গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। আশা করি নতুন কোনো গল্প নিয়ে আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই হাজির হবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বাবা-মার কারণে অবশেষে ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়, একা বিয়ে করে নিতে। গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।