ভাই বোনের ভালোবাসা প্রথম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
ভাই বোনের ভালোবাসা প্রথম পর্ব
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা অনেক ভালো ভালো গল্প শেয়ার করে থাকে। তাই আমি ও সপ্তাহে একটা করে গল্প লেখার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টা থেকে আজ ও এসেছে নতুন একটি গল্প নিয়ে। আসলে ভাই বোনের সম্পর্ক হলো রক্তের সম্পর্ক। এ সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হবার নয়।যাইহোক আজ আপনাদের মাঝে নিপা ও নিরবের নিয়ে একটা গল্প লিখব। নিরব ও নিপা দুই ভাই বোন।ছোট বেলা থেকে দুই ভাইবোনের মধ্যে অনেক ভালোবাসা ছিল। এভাবে দুই ভাইবোন অনেক আদরে ছিল। হঠাৎ করেই এক রোড অ্যাক্সিডেন্টে তার বাবা মা দুজনেই মারা গেল। তখন দুই ভাই বোন অসহায় হয়ে পড়ল।তবে নিরব তখন এসএসসি পরিক্ষা দেবে আর নিপা ক্লাস ফাইভে পড়ে। তবে তার বাবার বেশ টাকা পয়সা ছিল। নিরব তার মামার সহযোগিতায় এসএসসি পাশ করে গেল।
নিরব তার বোনের সব দেখা শোনা করে। নিরব কলেজে যাবার সময় বোনকে স্কুলে দিয়ে আসে আবার ফিরার পথে দিয়ে আসে। এভাবে চলছিল তাদের জীবন। এভাবে কয়েক বছর পেরিয়ে গেল। নিপা এবার এসএসসি পরিক্ষা দেবে আর নিরব অনেক ভালো একটা ব্যাংকে চাকরি করে। নিরব তার বোন ছাড়া আর পৃথিবীর কাউকে ভালোবাসতে পারেনি। একদিন নিরবের সাথে একটা মেয়ে দেখা হলো। নিরব মেয়েটাকে দেখেই ভালোবেসে ফেলল।নিরব তখন মেয়েটাকে তার জীবনের সব কথা খুলে বললো।বাসায় এসে দেখে তার বোন নিপা তাঁর ওপর রাগ করে আছে। তখন নিপাকে জিজ্ঞাসা করলো তুই রাগ করে আছিস কেনো।নিপা বললো তুমি আগের মতো আমাকে সময় দেও না কেনো ভাইয়া। নিরব বললো আসলে অফিসে কাজের চাপ অনেক তাই তেমন সময় দিতে পারি না।নিপা বললো তাহলে একজন মানুষ এনে দেও আমি সারাদিন তার সাথে কথা বলবো।
একথা শোনে নিবর সেই মেয়েটার কথা ভাবতে লাগল। পরের দিন অফিসে গিয়ে মেয়েটার কথা ভাবতে থাকলো।অফিস থেকে আসার পথে মেয়েটার সাথে দেখা হয়ে গেল।তখন নিবর মেয়েটাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল।মেয়েটাও নিরবের প্রস্তাবে রাজি হলো। তবে মেয়ের পরিবারের সবাইকে বলে তারা দুজনে দিন তারিখ ঠিক করলো। আসলে নিরব তার বোনকে বিয়ের কথা বলেনি। নীরব চেয়েছিল তার বোনকে সারপ্রাইজ দিতে । প্রতিদিনের মতো সেদিনও নিরব অফিসে চলে গেল। তবে সেদিন নিরব অফিসে যায়নি নিরব গিয়েছিল বিয়ে করতে। তারপর নিরব প্রতিদিনের মতো যখন অফিস শেষ হয় তখন বউকে নিয়ে বাসায় আসলো।এসে কলিং বেল দিতেই নিপা দরজা খুলে দিল। নিরবের সাথে মেয়েটাকে দেখেই নিপা জিজ্ঞেসা করলো মেয়েটাকে। নিরব বললো তোর ভাবি, আর এ কথা শোনে নিপা রেগে আগুন হয়ে তার রুমে চলে গেল।(চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন আপনি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমি মনে করে এই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক হল ভাই-বোনদের সম্পর্কে। যদিও রাগ অভিমান থাকে কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী। আসলে নিরব কাজটি ভুল করেছে বোনকে না জানিয়ে বিয়ে করলো সেটা। বোনের রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু গল্পটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্! দারুণ একটি গল্প শেয়ার করেছেন তো আপু। আসলেই পৃথিবীতে ভাই বোনের সম্পর্ক হচ্ছে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। নীরব খুব ভালো একটি কাজ করেছে বিয়ে করে। এতে করে তার বোন কথা বলার একজন মানুষ পেল। নিপা রাগ করে তার রুমে চলে গেলেও, একটু পর সব ঠিক হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।