বাচ্চাদের খেলনা কেনার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বাচ্চাদের খেলনা কেনার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি বাচ্চাদের খেলনা কেনার অনুভূতি নিয়ে। আসলে বাচ্চাদের খেলনা কেনার তো আর শেষ নেই। সত্যি বলতে এবার খেলনা আমি কেনেছি কিন্তু টাকা দিয়েছে তার নানু।আসলে তার নানু বলেছিল পরিক্ষায় ভালো করলে তোমাদের খেলনা কিনে দেব।তাই কয়েক দিন আগে নানু বাড়িতে গিয়েছিল তখন তার নানুকে দুইবোন বলেছিল ভালো রেজাল্ট করলে খেলনা কিনে দিতে চেয়েছিলে এখন তো ভালো করেছি তাহলে খেলনা কিনে দাও।ছোট মেয়ে বলল আমি আপুর থেকে বেশি ভালো জিনিস পাব কারণ আমি ফাস্ট হয়েছি আর আপু সেকেন্ড হয়েছে। আসলে বাচ্চাদের আবদার না মেনে উপায় কি।তারপর তার নানু আসার সময় দুই বোনকে এক হাজার টাকা দিল।তাই দুই বোনকে নিয়ে গতকাল মার্কেটে গিয়েছিলাম খেলা কেনার জন্য। আসলে খেলনা কিনতে গেলে শুধু খেলনা কেনা হয় না আনুষঙ্গিক অন্য কিছুই কিনতে হয়।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট ।
আসলে আমরা যেহেতু বাচ্চাদের খেলনা কিনতে গিয়েছিলাম। তাই সর্বপ্রথম আমরা খেলনার দোকানে গিয়েছিলাম।আসলে খেলনা গুলো দেখলে শুধু বাচ্চারা কেন আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। তবে দাম নিয়ে তো আর কিছু বলার নেই। আসলে খেলনার দাম ও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে অনেক দিন হলো কোন খেলনা কেনা হয়নি। যাইহোক আমার এক মেয়ে নেবে প্লেন আরেক জন কিনবে তার রান্না করার জিনিস পাতি।আমরা প্রথম দুই দোকান ঘুরে দেখলাম কিন্তু তাদের মনের মতো খেলনা পেলাম না। তারপর আবার চলে আসলাম অন্য দোকানে।
এভাবে আমরা বেশ কয়েক দোকান দেখলাম কিন্তু বাচ্চারা সেটা কিন্তুে চাই তা পাচ্ছে না। তখন আমি বললাম তোমরা অন্য খেলনা কেন। আসলে আমি প্রয়োজনীয় কিছু কিনব।তবে সন্ধ্যা হলে আর কেনা সম্ভব নয়। আসলে আগে অনেক খেলনা কিনেছি তবে সেই দিনকার মতো ঘুরতে হয়নি।যাইহোক আবার চলে আসলাম অন্য দোকানে।
তবে কয়েকটি দোকান দেখার পরে আমার বড় মেয়ে তার মনের মতো খেলনা পেল। সে কিনবে প্লেন আর মুখোস। আমার তৃতীয় বার যেদোকানে গিয়েছিলাম সেখানে এই সব গুলোই আছে। তারপর ১৮০ টাকা একটা মুখোশ কিনেছে।আসলে এমন মুখোশ জীবনে কতো কিনেছে এরা।তবে ছোট মেয়ে এখনো খেলনা পায়নি।তবে দোকান দার বলল আপনারা বসেন আমি আপনাদের গোডাউন থেকে আনিয়ে দেব। তাই আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম।
দশ মিনিট পরে দেখি উনারা আমাদের পছন্দ মতো খেলনা এনেছে।আসলে আমার ছোট মেয়ে চৌধুরী বাড়ি ও খেলনার সেট নিল আর বড় মেয়ে তার প্লেন নিল।তবে ছোট মেয়ের দুটি খেলনা ৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে গেছে। তবে বড় মেয়ের প্লেন নিয়েছে ৫৫০ টাকা আর মুখোস তো বাদ।তবে যাইহোক অনেক ঘুরেছি সেই দিন খেলনা কিনতে গিয়ে। আসলে ঘুরলেও পরে বাচ্চাদের পছন্দ মতো খেলনা পেয়েছি এটাই অনেক। খেলনা গুলো বাচ্চাদের অনেক পছন্দ হয়েছে। আর বাচ্চারা খুশি হলেই আমরা খুশি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
নানুর বলা কথায় খেলনার টাকা পেয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে খেলনা কিনতে গেলেন।তবে এবার বেশ সময় নিয়েছে পছন্দের খেলনা কিনতে।যাই হোক তারপরেও পছন্দের খেলনা পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো। বাচ্চাদের আনন্দ মানেই মা-বাবার আনন্দ।দুই মেয়ে দুই রকমের খেলনা নিয়েছে। যা দেখে দারুন লাগলো। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু বাচ্চাদের পছন্দ সই খেলনা পেতে আসলে ঘুরতে হয়, ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাদের পছন্দমতো খেলনা না পেলে ওদের মন খারাপ হয়।জেনে ভালো লাগলো যে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে জন্য দু মেয়েকে তাদের নানি খেলনা কেনার জন্য টাকা দিয়েছে এবং আপনি মেয়ের কে নিয়ে গিয়ে পছন্দসই খেলনা কিনে দিয়েছেন।ধন্যবাদ আপু খেলনা কিনতে গিয়ে যাবতীয় অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।