জেনারেল রাইটিং :-নারকেল কিনার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
নারকেল কিনার অভিজ্ঞতা
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের বাড়িতে বেশকিছু নারকেল গাছ রয়েছে। প্রতি বছর অনেক নারকেল ধরে। আমরা বাড়ির সবাই মিলে খেয়ে আবার আত্মীয়স্বজনকে কিছু দেওয়া হয়।তবে গত দুই বছর ধরে নারকেল কেন যেন গাছে আসছে না। যাই হোক এবার যখন গাছ পরিষ্কার করালো তখন দশ থেকে বারোটা নারকেল পেল। তবে আমাদের পাশের বাড়ির লোকদের গাছে অনেক নারকেল ধরেছে।আমি কখনো নারকেল কিনিনি। আমার বড় বোন ঢাকায় থাকেন। প্রতি বছর আমার বাবার বাড়ি থেকে নারকেল নিয়ে যায়।তবে এবার সেখানে ও নারকেল নেই। তাই আমাকে বলেছিল কয়েকটি নারকেল কিনে দিতে। তারজন্য নারকেল কিনতে যাওয়া। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক বাড়ি পরে অনেকে নারকেল বিক্রি করছে। তারপর আমি প্রথমে এক বাড়িতে গেলাম, তার কাছ থেকে নারকেল গুলো দেখে দাম শোনে চলে আসলাম। আসলে কখনো কিনিনি তাই আমি দাম ঠিক বলতে পারিনি। তাদের বাড়িতে আবার সব ঘরেই নারকেল বিক্রি করছে। তারপর আমি দেখে ফটোগ্রাফি করে নিয়ে এসেছি।সেই ছবি গুলো আমার বোনকে পাঠিয়ে দিলাম।নারকেল ছিল তিন ধরনের। তারা একটা,১৫০,১০০ও ৬০ টাকা জোড়া বিক্রি করবে। তারপর আরেক জনের নারকেল দেখতে গেলাম।
সে আমাকে নারকেল গুলো দেখালো। তারপর বড় নারকেল জোড়া দেড়শ টাকা বিক্রির কথা বললো।আমি আমার বোনের কাছ থেকে শোনে বললাম ১৪০ টাকা। কিন্তু সে আমাকে ১৪০দিতে চাইলো। তারপর আমি এসে আমার বোনকে বললাম কয় জোড়া নেবে সে আমাকে বললো আমি পাঁচ জোড়া নেব আমার আরেক বোন পাঁচ জোড়া তাহলে একজনের নারকেল সব গুলো আমরা কিনে নেব।তাকে দাম করে আমি চলে আসলাম। আমি দুই দিন পরে আনব।সে বললো ঠিক আছে আপনি দেখে বেছে নিয়ে যাবেন।
দুদিন পরে আমি যখন টাকা নিয়ে নারকেল আনতে গেলাম। তখন সেই আপুকে বললাম আমার কাছে নারকেল দিন আমি বেছে নিয়ে যায়।তখন সে বললো আমি কিন্তু ১৫০ টাকার নিচে দিতে পারব না। আমি তখন বললাম আপনি না বললেন ১৪০ টাকা। কিন্তু আনতে গিয়েছি এদিকে এ কথা বলছে। আসলে তখন আমার অনেক রাগ হয়ে গেল। যে মানুষ আমার কাছে দাম করে আসলো অথচ এখন দেবে না।এ কথা শোনে আমি আনতে চায়নি তবে আমার বোনের কথা ভেবে এনেছি। আসলে তারপর আমি দশ জোড়ার জায়গায় পাঁচ জোড়া কিনে এনেছি।যদিও আমার আনতে ইচ্ছে করেনি। আসলে দশ টাকা কম বেশি কোন ব্যাপার নয় তবে মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখে না। সামান্য দশ টাকার জন্য কথা ভঙ্গ করতে হবে। এই ছিল আমার নারকেল কিনার দারুণ অভিজ্ঞতা।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
ঠিক বলেছেন টাকা বিষয় নয় কথা না রাখলে রাগ হয় তখন এক টাকাতেও বেজে যায়।সব জায়গায় এমন অবস্থা নারিকেলের ফলন নেই বল্লেই চলে।তবে আপনার এলাকায় এতো কম দাম আমাদের এলাকায় বড়ো নারিকেল ৩৫০টাকা জোরা,মাঝাড়ি ২৫০ও ছোট সাইজের দাম ২০০।আপনার নারিকেল কেনার অভিজ্ঞতার পোস্ট টি খুব ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
দুই এক বছর ধরে নারকেলের যা দাম বলার মতো না। এক জোড়া নারকেল আমরা ৩০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে কিনে খাচ্ছি। তবে গ্রামে গেলে কিছু নিয়ে আসার সুযোগ হয়। কিন্তু শহরে থাকলে তো বাধ্য হয়ে কিনতে হয় করার কিছুই থাকেনা। আসল কথা হচ্ছে ১৪০ টাকা করে দিবে বলছে। কিন্তু পরবর্তীতে যেয়ে আবার ১০ টাকা বাড়িয়ে দিল। আসলে এমন বাটপার কথা দিয়ে কথা রাখে না এমন মানুষের কাছে না যাওয়াই ভালো। যাক অবশেষে আপনি ৫ জোড়া নিয়ে চলে আসলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনার অনুভূতিটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না তাদের কাছে না যাওয়ায় ভালো। ধন্যবাদ আপু।
কিছুদিন আগে আমিও নারকেল কিনতে বাজারে গিয়েছিলাম। তবে আমাদের এদিকে নারকেলের দাম অনেক বেশি। তাই বাজার থেকে না কিনে গ্রামের বড়ি থেকে কিনে এনেছিলাম। আপনি দেখছি অনেকগুলো নারকেল কিনেছেন। যাইহোক আপু নারকেল কেনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।