শখের জিনিস হারিয়ে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
শখের জিনিস হারিয়ে যাওয়া
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।সত্যি বাচ্চাদের হাসি দেখলে যেমন ভালো লাগে তেমনি কান্না দেখলে অনেক খারাপ লাগে। সত্যিই বাবা মার কাছে সন্তানের মুখের হাসিই সব।আসলে কয়েক দিন আগে আমি বাচ্চাদের নিয়ে মার্কেটে গিয়েছিলাম । আমার বড় মেয়ের খেকনা দেখলে হুশ থাকে না। তার খাওয়া দাওয়া পোশাক আশাক কোন কিছুর প্রতি কোন লোভ নেই শুধু খেলনা দেখলে কিনবে।আমি যত বারি মার্কেটে যায় তার জন্য কিছু না কিছু খেলনা অবশ্যই কিনতে হয় । আসলে তেমন দামি খেলনা না, আর দামি খেলনা হলে হয়তো সব সময় কেন অসম্ভব হতো না। বর্তমান সবকিছু দাম উর্ধ্বে তবে ছোটখাটো খেলনা কিনতে গেলে ২০০ টাকার নিচে কোন খেলনা নেই। যত ছোটই কিনতে চাই কিনা।বেশ কিছুদিন ধরে মেয়েটা প্লেন কিনবে বলেছিল আমাকে। আমি বললাম যখন আবার মার্কেটে যায় টাকা থাকে তোমাদের কিনে দিব। সেই অপেক্ষায় আছে কবে আমি মার্কেটে যাব। তবে কয়েকদিন আগে বাচ্চার ড্রেস কেনার জন্য গিয়েছিলাম। সে ড্রেসের এর আগে খেলনা কিনবে। আসলে ড্রেস কেনার পরে যদি খেলনা না কিনে দেই তাই সে আগে প্লেন কিনবে। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
তারপর আমি আগে একটা ড্রেস কিনে নিলাম। তারপর আমরা চলে গেলাম প্লেন কিনার জন্য। আসলে বাচ্চাদের দেখলে দোকানদারা একদাম চেয়ে বসে থাকে। ওপরের যে প্লেন গুলো দেখতে পারছেন এগুলোই আমরা এনেছি। আসলে আমি প্লেন কিনব তিনটা। আমার দুই মেয়ের জন্য দুটি ও আমার দেবরের ছেলের জন্য একটা। যদি একজনকে বাদ রেখে কিনি তাহলে আরে জন সেই জিনিস ব্যবহার করতে পারবে না।তিনজন মারামারি করেই অস্হির। তারপর ছোট মেয়েকে বললাম তোমাকে একটা পুতুল কিনে দেই কিন্তু সেই প্লেন কিনবে। কি আর করা তারপর দোকানে গিয়ে প্লেন দেখতে লাগলাম। আমরা তিন রঙের তিনটি প্লেন দাম করলাম। দোকানদার বললো একেকটা ৫০০ টাকা করে। আসলে আমরা তিনটা নেব তারপর ও দাম একটু কমাবে না। যাইহোক আমরা অনেক দামাদামির পরে তিনটা প্লেন ১২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।দোকানদারকে টাকা দিয়ে প্লেন নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। প্লেন পেয়ে বাচ্চারা মহাখুশি। আসলে টাকার চেয়ে বাচ্চাদের খুশিই অনেক দামি।
যাইহোক আমরা সেই দিন আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হয়ে গেল। তাই এসে তারা প্লেন তেমন চালাতে পারেনি। আবার সকালে উঠে স্কুল তারপর আবার প্রাইভেট পড়ে সন্ধ্যার আগে একটু সময় পেল তখন প্লেন নিয়ে বের হলো।আসলে বাচ্চা মানুষ ঠিক মতো রিমোট কন্ট্রোল করতে পারে না। মাত্র চালানো শিখছে।তারপর একজন ওদের দেখিয়ে দিল এভাবে চালাতে। সে রিমোট ঠিক করে দিয়ে ওদের বলে চলে গেল।ওরা আনন্দের সাথে প্লেন চালাতে লাগলো।প্রথমে প্লেন এভাবে আস্তে আস্তে ওপরে উঠতে লাগলো। আমি ও চলে এসেছি শুধু বাচ্চারা ছিল দুটি প্লেন এভাবে উড়তে উড়তে অনেক ওপরে ওঠে গিয়েছে। তখন হাজার চেষ্টা করেও আর রিমোট কন্ট্রোল করতে পারছিল না। তারপর দুজনে কান্না করা দেখে আমরা তারাতাড়ি গেলাম, আমরা যাবার পরে দেখি অনেক ওপরে চলেগিয়েছে।আসলে তখন বেটারি খোলে ফেলার পরেও কোন কাজ হলো না।দুটি প্লেন উড়ে কোথায় গিয়ে পড়েছে আর পাওয়া যায়নি।প্লেন হারিয়ে যাওয়ার পরে তাদের অনেক মন খারাপ ছিল অনেক কান্না করেছে।শুধু আমার ছোট মেয়ের প্লেনটা আছে।আসলে শুধু বাচ্চারা কেন নিজের জিনিস হারিয়ে গেলে কেমন লাগে। আর বাচ্চাদের তো কষ্ট হবেই। শখ করে কিনেছে তবে একদিন ও ব্যবহার করতে পারলো না।যাইহোক আমি বলেছি আবার কিনে দেব।আসলে বিপদ তো কখনো বলে কয়ে আসে না। আপনারা সবাই দোয়া করবেন বাচ্চাদের জন্য। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আমার ছেলেরও এমন প্লেন ছিল তার মামা কিনে দিয়েছে। কিন্তু সে ছোট তো কয়েকদিন ভালোই খেলেছিল এরপর খেলতে খেলতে ভেঙ্গে গিয়েছে। এই প্লেন শুধু রিমোট দিয়েই চলে না,হাতের স্পর্শেও চালানো যায় আর বেশি বাতাসেও খুব ভালো চলে। যেহেতু আপনার মেয়েরা প্লেন গুলো বেশি উপরে উঠিয়েছে তাই এটা বাতাসে উড়তে শুরু করেছিলো। সেজন্য ব্যাটারি খোলার পরেও আর ফিরে আসেনি। এই প্লেনের অনেক দাম আর আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। বাচ্চা মানুষ তো তাই শখের জিনিস চলে যাওয়ায় খুব কষ্ট পাচ্ছে।
সত্যি আপু বাতাসের সাথে উড়ে চলে গিয়েছিল,ধন্যবাদ আপু।
আসলে বাচ্চারা যদি কোন কিছুর বায়না করে তাহলে সেটা যতক্ষণ না দেয়া হবে ততক্ষন তারা থামেনা। আর এইসব দেখে বাবা-মায়ের ও ভালো লাগেনা তাই বাধ্য হয়ে তাঁদেরকে সেটা দিতে হয়। যাই হোক আপনি আপনার দুই মেয়ে এবং আপনার দেবরের ছেলের জন্য তিনটে প্লেন কিনে এনেছিলেন এবং একদিন খেলতে না খেলতেই দুইটা প্লেন হারিয়ে গিয়েছে বিষয়টা জেনে খারাপ লাগলো। আসলে এই ধরনের প্লেনগুলো এরকমই হয় বেশি উপরে গেলে আর কন্ট্রোল করা যায় না। আমি তো একবার একটি প্লেন কে নারিকেল গাছের বাধিয়ে ফেলেছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তবে প্লেন যেমনি হোক দুই একদিন খেলতে পারলে ভালো হতো ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু আপনার গল্পটা যখন পড়ছিলাম প্রথম থেকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমার মেয়েটাকেও যখন বাজারে নিয়ে যাই, সে তখন খেলনা কিনবে বলে। আসলে সব বাচ্চারাই এখন খেলনার জিনিসগুলো কিন্তু বেশি পছন্দ করে। আপনি কি সুন্দর বাচ্চাদেরকে খেলনা কিনে দিলেন, যাতে কেউ কারোরটা নিয়ে টানাটানি না করে তাই জন্য তিনটা কিনলেন। কিন্তু প্রথম দিনেই যখন প্লেনগুলো হারিয়ে গেল সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো। আমার কাছে পোস্ট করেই খারাপ লাগলো আর আপনাদের কাছে তো লাগবেই। যাইহোক পরবর্তীতে যেহেতু কিনে দিবেন বলেছেন এটাই ভালো হয়েছে।
সত্যি আপু একটু খেলতে না খেলতেই উড়ে গেল, আসলে অনেক খারাপ লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু।
আসলে শখের কোন জিনিস এভাবে হারিয়ে গেলে খুবই খারাপ লাগে আর তা যদি হয় ছোট বাচ্চাদের তাহলে তো আরো বেশি খারাপ লাগারই কথা। আপনার শখের জিনিস হারিয়ে যাওয়ার গল্পটি পড়ে আমার কাছে আপনার ছেলে মেয়ের জন্য খুবই খারাপ লেগেছে। এরকম আমিও কয়েক জায়গায় দেখেছিলাম এরকম রিমোট কন্ট্রোল প্লেনগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার ছোট ভাই এরকম প্লেন কেনার জন্য অনেক বায়না করেছিল। এখনো কিনে দেওয়া হয়নি। যাইহোক পরবর্তীতে আবার কিনে দিবেন বলছেন সেটাই ভালো তাহলে বাচ্চাদের মন আবার ঠিক হয়ে যাবে। এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু শখের জিনিস হারিয়ে গেলে এমনিতে অনেক কষ্ট লাগে। তবে এটি ঠিক বলেছেন বাচ্চারা মার্কেটে গেলে তারা খেলাধুলার জিনিস কিনতে বেশি পছন্দ করে। আপনি তিনটি প্লেন বারোশো টাকা দিয়ে কিনলেন। তবে আপনার মেয়েদের মত আমার ভাগিনারা একবার এরকম প্লেন উপরে যাওয়ার পর আর খুঁজে পেল না। আসলে পছন্দের জিনিসগুলো যখন হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তখন বাচ্চারা অনেক কান্নাকাটি করে। আপনার বাচ্চাদের জন্য দোয়া রইল।
আমার মেয়েও আপনার মেয়ের মতো অবস্থা খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ নাই শুধু খেলনা চাই।এর আগের কোন এক পোস্টে পড়েছিলাম আপনার মেয়েদের খেলনা কেনার অভিজ্ঞতা। প্লেন দুটো হারিয়ে গেছে জেনে খুব খারাপ লাগছে আপু।আসলে বাচ্চাদের খুশি দেখলে বাবা,মা খুশি হয় এবং কষ্ট কান্না দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে।
ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে কোন খেলনা জিনিস ২০০ টাকার নিচে নেই। আপনি কিনা কাটা করতে গিয়ে আপনার বাচ্চাদের জন্য প্লেন কিনলেন তিনটি। তবে এটিই ঠিক পছন্দের জিনিসগুলো যখন হারিয়ে যাই তখন বাচ্চারা অনেক কান্নাকাটি করে। হয়তোবা প্লেন গুলো অনেক উপরে যাওয়ার কারণে আর খুঁজে পেলেন না। তবে আপনি বাচ্চাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে কান্নাকাটি বন্ধ করেছেন। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার নিজের কাছেও খারাপ লাগলো প্লেন গুলো হারিয়ে যাওয়ার কারণে।খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চাদের শখের জিনিস এভাবে হারিয়ে গেলে তো তারা কান্নাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক। এখন আর কি করার, আবার তাদেরকে কিনে দিতে হবে। এটাই হয় আপু বিপদ যে কখন কিভাবে চলে আসে, বোঝা মুশকিল। এসব রিমোট কন্ট্রোল প্লেনগুলো রেঞ্জের বাইরে চলে গেলে তা আর রিমোট দিয়ে কন্ট্রোল করা যায় না।
আসলে বাচ্চারা এমনই, তারা সবসময় নতুন নতুন খেলনা কেনার জন্য অস্থির হয়ে থাকে। যাইহোক মার্কেটে গিয়ে তিনটি প্লেন কিনলেন তাহলে ১২০০ টাকা দিয়ে। বাচ্চাদের দেখলে দোকানদারেরা আসলেই দাম কমাতে চায় না। যাইহোক প্লেন গুলো চালানোর প্রথম দিনেই তাহলে দুটি প্লেন হারিয়ে গেল। আসলে বাচ্চারা রিমোট কন্ট্রোল প্লেন সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সেজন্যই প্লেন দুটি হারিয়েছে। নতুন প্লেন কেনার আগ পর্যন্ত, এক প্লেন দিয়ে তিনজন মিলে খেলুক এখন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।