সুস্বাদু পাটিসাপটা পিঠা বানানোর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সুস্বাদু পাটিসাপটা পিঠা বানানোর রেসিপি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে শীতে বাঙালির ঘরে ঘরে চলে পিঠাপুলির উৎসব। এ সময় নানা ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয় ঘরে ঘরে। বিশেষ করে কৃষকদের ঘরে ঘরে নবান্ন ধানের উৎসবে নানা রকমের পিঠা তৈরি করে থাকে। আসলে শীতকাল হলো পিঠার সময়, এ সময় বাংলার প্রায় ঘরে ঘরে দেখা যায় পিঠা তৈরি। তবে বর্তমান শহরের পিঠা কম তৈরি হয় বলেই চলে। আসলে পিঠা হলো বাঙালির ঐতিহ্য। আবার শহরের গেলে দেখা যায় রোডের পাশে বসে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা । তবে বর্তমান সবাই পিঠা তৈরি করে খেতে চায় না। আসলে পিঠা তৈরি ঝামেলার কাজ তবে খেতে অনেক মজা। আসলে একটু কষ্ট হলে ও নিজের হাতে তৈরি করা জিনিসের স্বাদ অন্যরকম হয়। বিশেষ করে নিজের হাতে তৈরি জিনিসগুলো স্বাস্থ্যকর হয়। যাইহোক আমি কিন্তু অনেক পিঠা তৈরি করি।শীতে প্রায় অনেক পিঠা খাওয়া হয়েছে। যাইহোক গতকাল কিছু পাটিসাপটা পিঠা বানিয়েছিলাম অনেক মজা করে সবাই খেয়েছে। আসলে এই পিঠা গুলো অনেক মজার। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট ।
১.চালের গুঁড়ো
২.নারকেল
৩.চিনি ও গুড়
৪.দুধ
৫ এলাচ,দারচিনি
৬.চালের সুজি
৭ লবন
৮.তেল
ধাপ-১
প্রথমে আমি চালের সুজি রান্না করে নিয়েছি। দুধ নারকেল , চিনি দিয়ে সুজি রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-২
তারপর চালের গুড়া এভাবে গুলিয়ে নিয়েছি।এর ভিতরে একটু চিনি ও দুধ দিয়ে গুলিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এখন চুলায় একটি ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিলাম। তারপর গুলিয়ে রাখা গোলা এক চামচ করে ফ্রাই প্যানে দিয়ে দেব।
ধাপ-৪
এখন রান্না করে রাখা সুজি রুটির ওপর দিয়ে দেব।এখন এভাবে আস্তে আস্তে মুড়িয়ে নেব।
ধাপ-৫
সম্পূর্ণ মুড়ানো হয়ে গেলে আমার পিঠা রেডি।এভাবে আমি অনেক গুলো পিঠা তৈরি করে নিয়েছি। এখন গরম গরম পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
পাটিসাপটা পিঠা আমার কাছে খুবই প্রিয় একটি পিঠা। যেহেতু আপনি শীতকাল সিজনে তৈরি করলেন। অনেক ভালো লাগবে খেতে তবে প্রায় সময় তৈরি করে থাকি আমিও। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু শীতকালে মনে হয় পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে ধন্যবাদ আপু।
এই পিঠাটা মিষ্টি একটু বেশি হলে আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। এটা পাটিসাপটা পিঠা কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে অনেকে বলে থাকে জড়া পিঠা। যাইহোক চমৎকার ভাবে আপনি কিন্তু পিঠা তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অতিশয় লোভনীয় ছিল আপনার এই শীতকালীন পিঠা।
আসলে ভাইয়া নাম যাই হোক পিঠাটা কিন্তু অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুস্বাদু পাটিসাপটা পিঠা বানানোর রেসিপি টা আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি দারুন দক্ষতায় এটি সম্পূর্ণ করেছেন। এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। কনটেস্টে অনেক কালারিং ভাবে বানিয়েছিল সেটা দেখতে চমৎকার লাগছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শীত আসলেই যাবতিয় পিঠার আয়োজন শুরু হয়ে যায়।বিভিন্ন ধরনের স্বাদের পিঠা পাটি শাপটা তার মধ্যে একটি।খুবই সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শীত মানেই নানান রকম পিঠা।শীত মানেই সুস্বাদু খাবার।সত্যি পিঠা তৈরি করা একটি ঝামেলার কাজ।আপনি খুব সুন্দর ও লোভনীয় করে পিঠা তৈরি করেছেন।ধাপে ধাপে সুন্দর ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা করেছেন বানানোর যা বেশ ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
পাটিসাপটা পিঠা দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনি এত সুন্দর ভাবে পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। পাটিসাপটা পিঠা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ঠিক করেছেন আপু আমরা সবাই পাটিসাপটা পিঠা খেতে অনেক পছন্দ করি।ধন্যবাদ আপু।
এই শীতকালীন সময় পাটিসাপটা পিঠা খেতে সবারই ভালো লাগে৷ আজকে যেভাবে আপনি পাটিসাপটা পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ ইচ্ছে করছে এখনি এটিকে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলতে। এটি দেখেও মনে হচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু হবে৷
জি ভাইয়া অনেক সুস্বাদু হয়েছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।
পাটিসাপটা পিঠা আমার খুব পছন্দের একটি পিঠা। শীতের সকালে গরম গরমে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। একটু বেশি করে নারকেল আর খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি করলে খেতে অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সু স্বাগতম আপু। আপনার সুস্থতা কামনা করছি
শীতের মধ্যে এই পাটিসাপটা রেসিপি গুলো খেতে খুবই মজা লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আজকের এই রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে পাটিসাপটা পিঠা আমার প্রিয় পিঠা। আর এই রেসিপির পরিবেশন দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রিয় পিঠা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাটিসাপটা পিঠা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। কিন্তু নিজে কখনো তৈরি করা হয়নি। বাহির থেকে খেয়েছি কিংবা মায়ের হাতের পিঠা খেতে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার পিঠা দেখে জিভে জল চলে আসলো। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদিন তৈরি করে খাবেন অনেক ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপু।