দুই বান্ধবীর ভালোবাসা ১ম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

দুই বান্ধবীর ভালোবাসা ১ম পর্ব

1000008621.jpg

source

বরাবরের মত আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছে একটি গল্প নিয়ে।গল্প লিখতেও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । তাইতো সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করি। আসলে কিছু কিছু বন্ধু-বান্ধবী আছে আপনের চেয়েও অনেক বেশি করে। আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটে তা থেকেই গল্পের শুরু। আজকের গল্পটা যদিও কাল্পনিক। তবে বর্তমান ইন্টারনেটের মাধ্যমে এমন ঘটনা আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে চলে। যাই হোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের গল্প।


নীলা ও মেঘলা দুজনে খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। তবে মেঘলা দের অবস্থা ছিল মোটামুটি আর নীলাদের অবস্থা ছিল বেশ ভালো। মেঘলার বাবা ছিল একজন দিনমজুর। তবে মেঘলা দেখতে বেশ সুন্দর। মেঘলা যখন ক্লাস টেনে পড়ে, তখন মেঘলা দেরে পাশের এলাকায় একটা ছেলে অনেক বড়লোক নাম তার হৃদয় মেঘলা কে পছন্দ করে। মেঘলার পিছে অনেক দিন ঘুরতে ঘুরতে মেঘলা হৃদয় কে পছন্দ করে। মেঘলা ও হৃদয়ের মধ্যে অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়ে যায়। ইতিমধ্যে মেঘলা এস এস সি পাশ করে তবে হৃদয় তখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়তো। হৃদয় তার বাবার একমাত্র পুত্র। হৃদয় আর মেঘলার মধ্যে এমন সম্পর্ক হয়ে যায় যে হৃদয় মেঘলাকে ছাড়া বাঁচবে না। এদিকে নীলা ক্লাস নাইন থেকে তার বাবা মার সাথে ঢাকায় চলে গিয়েছিল। নীলা ঢাকায় গিয়ে বেশ ভালো একটা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তবে মেঘলা আর হৃদয়ের সম্পর্ক নীলা জানতো না। যাইহোক হৃদয় যখন মেঘলা কে ছাড়া বাঁচবে না একথা হৃদয়ের বাবা-মা জানলো।


যেহেতু হৃদয় তার বাবা-মার একমাত্র ছেলে সে বলেছে মেঘলাকে বিয়ে না করলে সে মারা যাবে। তাই হৃদয়ের বাবা-মা বাধ্য হয়ে মেঘলা সাথে হৃদয়কে বিয়ে দিল। তবে বিয়ে দিয়েছে ঠিকই তারা মেঘলাকে কখনো মেনে নেয়নি। যাইহোক মেঘলা কে নিয়ে তারা ঢাকায় চলে গেল। তবে হৃদয় মেঘলা কে বেশ ভালোবাসে। ইতিমধ্যে মেঘলা নীলাকে জানালো যে আমার বিয়ে হয়ে গেছে।তবে হৃদয়ের বাবা-মা মেঘলাকে কখনো মানেনি শুধু হৃদয়ের সামনে অভিনয় করে চলেছে । এভাবে বেশ কিছু দিন পার হয়ে গেল। হৃদয়ের বাবা মা হৃদয় কে বাহিরে পাঠিয়ে দিল। মাহিরে যাবার কিছুদিন পর হৃদয়ের সাথে মেঘলার যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। তারপর মেঘলা কে বলল তুমি গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসো। মেঘলা তার বাবার সাথে গ্রামের বাড়িতে চলে আসলো।আসার কয়েক দিনের মাঝে বাবা হঠাৎ ফোন দিয়ে মেঘলা কে জানানো হৃদয় বিদেশে মারা গিয়েছে । এই কথা শুনে মেঘলা যেন আকাশ থেকে পড়লো।


এদিকে হৃদয়কে বললো তুই চলে যাবার পরে মেঘলা অন্য ছেলের সাথে চলে গিয়েছে। যাইহোক হৃদয়ের বাবা হৃদয়ের মনে মেঘলার প্রতি ঘৃণা ধরিয়ে দিল। মেঘলা তার বাবার বাড়িতে একটা ছোট চাকরি নিল। আর সিদ্ধান্ত নিল জীবনে কখনো বিয়ে করবে না।এভাবে চারটি বছর পার হয়ে গেল । এদিকের হৃদয়ের জন্য তার বাবা মেয়ে দেখতে শুরু করলো। হৃদয়ের জন্য হৃদয়ের বাবা নীলাকে পছন্দ করলো। তারপর দুই পরিবার কথা বলে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করল। এদিকে নীলা ও হৃদয় দুজনেই ফোনে কথা বলতে থাকলো। নীলা মেঘলাকে তার বিয়ের কার্ড পাঠালো ঢাকায় যাওয়ার জন্য। মেঘলা বিয়ের আগের দিন নীলাদের বাসায় গিয়ে পৌঁছালো। বিয়ের দিন যখন বর পক্ষ আসল। তখন নীলা মেঘলাকে তার বরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য নিল । (চলবে)


প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  
 4 months ago 

গল্পটি পড়লাম খুব জঘন্য একটি খারাপ কাজ করল মেঘলার সাথে তার শশুর শাশুড়ি। এমন মানুষ পৃথিবীতে আছে আসলে গল্প পড়লে বুঝা যায়। তবে লাস্টের মুহূর্তটি কেমন হয় জানিনা। কিন্তু যতটুকু পড়েছি বেশ খারাপ লেগেছে। কথাই বলে সম্পর্ক সমানে সমানে হওয়া উচিত। আসলেই সমানে সমানে হওয়া উচিত না হয় এরকম খুব খারাপ ঘটে যায় দুর্বল ব্যক্তির উপরে। পরবর্তী পর্বে দেখি কি হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57034.02
ETH 3084.35
USDT 1.00
SBD 2.41