জেনারেল রাইটিং :- শৈশব স্মৃতি কলা চুরি করে খাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
জেনারেল রাইটিং :- শৈশব স্মৃতি কলা চুরি করে খাওয়া
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের সবারই শৈশব অনেক সুন্দর। সত্যি শৈশবের কথা মনে পড়লে এখন শুধু হাসি পায়। তবে গতকাল হঠাৎ করেই একজন কলা চুরি করে নিয়ে এসেছে। তারপর আমাদের সামনে পড়ল তখন সে বলল আমরা কয়েক বন্ধু মিলে চুরি করেছি। আসলে এই চুরি কিন্তু চুরি করার চোর নয়।এটা শৈশবের একটা রোগ।তার কলা চুরি করে দেখে আমার শৈশবের কথা হঠাৎ মনে পড়ে গেল।তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।যাইহোক যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করে দিলাম শৈশব নিয়ে লেখার। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে আমরা চারজন ছিল একদলে। আমরা দুই ভাইবোন আর আমার চাচাতো ভাই আর অন্য আর একটা চাচাতো বোন।তবে দুঃখের বিষয় আমার চাচাতো ভাই আজ আমাদের মাঝে নেই। চাচাতো ভাইয়ের নাম ছিল বাসার। আসলে আমাদের দলের লেডার ছিল বাসার। আমরা চারজন সব সময় এক সাথে খেলাধুলা থেকে শুরু করে সব কিছু করতাম। যাইহোক মূল কথায় আসি।আমার অন্য চাচার একটা কলার বাগান ছিল। তবে বিভিন্ন ধরনের কলার বাগান ছিল পাশাপাশি। আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে না।কিন্তু চাচার ছিল এক ছেলে, তবে চাচার অনেক কিছু ছিল কিন্তু কাউকে তেমন দিতে চাইতো না।চাচার ছেলে পড়াশোনা করত তাই সে কিছুই দেখতো না। তবে কলার বাগানে লোক রাখা ছিল।
আমরা চারজন মিলে কলার বাগানের পাশ দিয়ে খেলছিলাম। হঠাৎ দেখি অনেক কলা পেকে আছে। তবে চাচার কেয়ারটেকার কলা কান ধরে কাটছে।এক জায়গায় প্রায় বিশ কান কলা কেটে রেখেছে। তখন বাসার গিয়ে বললো চাচা আমাদের কয়েকটি কলা দিন আমি আপনার সাথে কাটতে সাহায্য করব।কিন্তু কেয়ার টেকার চাচা আমাদের সাথে অনেক খারাপ আচারণ করলো। আসলে বাসার অনেক রাগী ছিল। চাচার কথায় অনেক খারাপ লেগেছে। তখন আমরা চারজন মিলে কলার বাগান থেকে সরে অন্য জায়গায় গিয়ে পালিয়ে রইলাম। তারপর কেয়ারটেকার চাচা কলা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান আনতে গেল। আর এই সুযোগে আমরা চারজন মিলে গিয়ে দুই কান কলা নিয়ে আসলাম। আসলে পাকা কান আমরা বসে সাথে সাথে খেয়ে ফেললাম আর আধাপাকা কলা গুলো একটা খেড়ের ভিতরে সামলিয়ে রাখলাম। তারপর আমরা চলে আসলাম।
চাচা ভ্যানওয়ালা লোককে বললো বিশ কান কলা আছে নিয়ে যাও।তবে ভ্যান ওয়ালা লোকটি আঠারো কান কলা পেল।তারপর চাচাকে ডেকে বললো এখানে আঠারো কান কলা আছে। কেয়ারটেকার চাচা অবাক হয়ে গেল। আসলে মাত্র আমি রেখে এলাম গেল কই।তখন বাসার আমরা গোসল করছি পুকুরে। কেয়ারটিকার চাচা গিয়ে মালিক চাচাকে বললো।কেয়ারটিকার চাচা বলেছে বাসার তার কলা চুরি করেছে।তাই চাচা গিয়ে তারাতারি বাসারের বাবা মার কাছে গিয়ে বললো, তখন বাসারের বাবা মার সাথে তুমুল ঝড়গা লাগলো।ইতিমধ্যে আমরা গিয়ে উপস্হিত হলাম। তখন আমাদের জিজ্ঞাসা করলো।আমরা সবাই মিলে বললাম আমরা নেইনি।তখন চাচা কেয়ারটেকার চাচাকে অনেক রাগ করলো। যাইহোক তখনকার মতো আমরা সবাই বেঁচে গেলাম। তারপর কেয়ারটেকার চাচাকে বাসার বললো কলা আমরা নিয়েছি। তুমি কেমন অপমান হলে, আগে কয়েকটি কলা দিলে এমন করতাম না।সত্যি কেয়ারটেকার চাচাকে অনেক হয়রানি হতে হয়েছিল। আসলে সেই সব কথা মনে পড়লে অনেক হাসি পায়। সত্যি আমাদের শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
শৈশবের দারুণ একটি মজার ঘটনা শেয়ার করেছেন আপু। আপনাদের কলা চুরি করে খাওয়ার ঘটনা পড়ে, ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আসলেই কেয়ারটেকার চাচা মহা ভুল করে ফেলেছিল! চার জনকে চারটি কলা ধরিয়ে দিলেই কি এমন ক্ষতি হত! তবে আপু আপনাদের টিম লিডার বুদ্ধিমান ছিল। কেয়ারটেকার চাচার দুই কান কলা সাবাড় করে দিল। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি আপু চারটা কলা দিলে হয়তো এমন চুরি করতাম না, না দেওয়া শাস্তি পেয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক মজা পেয়েছি। ভালো মনে চাচার কাছে গিয়ে গলা কাটার কথা বললেন আর তিনি রেগে গেল সেই রাগের ফল কলা চুরির মাধ্যমে দিয়ে দিলেন । সত্যিই এইরকম ঘটনা আমার জীবনেও আছে। যে বয়সে এরকম হয়ে থাকে যেটা এখন মনে পড়লে খুবই মিস করি। সবাই এখন আলাদা হয়ে গেছি যে যার কাজে ব্যস্ত অনেক ভালো লাগলো আপনার কলা চুরির গল্প পড়ে।
আসলে ভাইয়া শৈশবটাই এমন সবারই, ধন্যবাদ ভাইয়া।
শৈশবে স্মৃতিগুলো বড্ড মধুর হয়। আর যখন সেই সব স্মৃতিগুলো এখন মনে পড়ে যায় তখন সত্যিই অনেক অনেক হাসি পায়। আপনার মত আমারও অন্যের ফল চুরি করে খাওয়ার ঘটনা রয়েছে। তবে আপনি খেয়েছেন কলা, আর আমি খেয়েছিলাম লিচু। যদিও বা ওই সময় ফল চুরি করে খাওয়াটাকে তেমন একটা অপরাধ বলে মনে হতো না। তবে এখন মনে পড়লে ভীষণ লজ্জা করে। যাইহোক আপনারা যেহেতু কলা চেয়েছিলেন তবু আপনার কেয়ারটেকার চাচা কলা দেয়নি তাই উচিত হয়েছে কলা চুরি করে খাওয়া হাহাহা। শৈশবের বেশ মজার ঘটনা ছিল আপু, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া শৈশবে চুরি করাটা আমার কাছে ও অপরাধ মনে হয় না, ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার জীবনেও ছোটবেলার এই ঘটনাগুলো অনেক আছে। ছোটবেলায় কি বলছি বড় হয়েও আপু কত কিছু যে চুরি করে খেয়েছিলাম অন্যের গাছের।আপনার গল্পটি পড়ে আমারও সেইসব কথা মনে পড়ে গেল। যাইহোক ধন্যবাদ আপু শৈশবের সুন্দর একটি স্মৃতি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু ছোট বেলায় এমন কতো চুরি করেছি ফল, ধন্যবাদ আপু।
শৈশবের স্মৃতিগুলো পড়লে ও শুনলে অনেক ভালো লাগে৷ আমাদের সকলের অনেক ধরনের স্মৃতি রয়েছে এবং সেই স্মৃতিগুলো প্রতিনিয়ত শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে আপনি আপনার একটি খুব সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করেছেন এবং যেভাবে কলা চুরি করার সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ তবে আমরা বন্ধুরা মিলে কলা চুরি করে খেতাম না৷ তবে রাতের বেলা ডাব চুরি করে খাওয়াটা আমাদের জন্য একেবারেই সাধারণ ব্যাপার ছিল৷ এখনকার বাচ্চারা তো শুধুমাত্র মোবাইল নিয়ে পড়ে রয়েছে৷ তাদের এরকম স্মৃতির কথা নেই এবং যাদের রয়েছে তাদেরও খুব একটা বেশি নয়৷ আমাদের মত এত স্মৃতি এরকম হয়তো কারো ভাগ্যে নেই৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখনকার বাচ্চারা শুধু ফোন নিয়ে পড়ে থাকে, কিন্তু আমাদের মতো মজার শৈশব ওদের নেই বলে চলে।ধন্যবাদ আপনাকে।
যতোদূর সম্ভব কোন এক পোস্টে পড়েছিলাম আপনার ওই ভাই বাসার আপনাদের সাথে বড়ুই কুড়াতে গিয়ে কারেন্ট শর্ট করে মারা গেছেন। আপনাদের কলা চুরি করে খাওয়ার গল্পটি শুনে বেশ মজা পেলাম ও হাসি পেলো।আপনি সত্যি বলেছেন শৈশবের রোগ এটি।যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি শৈশবের স্মৃতিচারণ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আপনি ঠিক শুনেছেন কারেন্টের শট খেয়ে বাসার মারা গেছে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আছে বাসারের সাথে। এগুলো কখনো ভুলবার নয় ধন্যবাদ আপু।