খাঁটি দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
খাঁটি দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর রেসিপি
১.দুধের সর
২.কড়াই
৩.ব্লেন্ডার
৪.পানি
ধাপ-১
প্রথমে আমি কিছু দুধ জ্বাল দিয়ে রেখে দিই। তারপর দুধ ঠান্ডা হলে দুধের ওপর থেকে সর উঠিয়ে নিয়েছি।এভাবে আমি প্রায় দশ দিনের মতো সর জমিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।
ধাপ-২
এখন সর গুলোকে ফ্রিজ থেকে বের করে তিন ঘন্টা পরে ব্লেন্ডারের ভিতরে পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এভাবে কয়েক মিনিট ব্লেন্ডার করে নিয়েছি । তারপর মাখন গুলো আলাদা করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এভাবে পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে নিয়েছি। তারপর মাখন গুলো আলাদা করে বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়ায় হালকা গরম হয়ে গেলে ধুয়ে রাখা মাখন গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৬
মাখন গুলো দেওয়ার পরে প্রথমে কয়েক মিনিট ভারি জ্বাল দেব তারপর মিডিয়াম আচে জ্বাল দিয়ে নেব।এভাবে হয়ে আসলে আর নাড়া দেব না।
ধাপ-৭
কিছুক্ষণ পরে এভাবে হয় আসলে নামিয়ে নেব। তারপর একটি ছেকনি দিয়ে ছেঁকে বাটিতে তুলে নিয়েছি। তারপর ঘির কৌটায় ভরে রেখে দিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবর দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ঘি দিয়ে ভাত খেয়েছি এবং মেয়েরা আসলেই প্রায় সময় ঘি দিয়ে ভাত খায়। এটা আলাদা ধরনের একটা স্বাদ কাজ করে। আমারও অনেক ভালো লাগে। প্রতিটা মানুষ ঘি পছন্দ করে আর খিচুড়ির মধ্যে দিল তো অনেক টেস্ট লাগে। তারপর আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন এবং প্রতিটি ধাপ খুব দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অনেক ভালো ছিল।
জি ভাইয়া খিচুড়ি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
ঘি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে এটি যেমন পুষ্টিকর তেমন খেতে সুস্বাদু।
বিশেষ করে ঘি দিয়ে কোন কিছু ভাবি করলে অথবা গরম গরম খিচুড়ি ভাতের সাথে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
দশ দিন ধরে স্বর জমিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘি প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে মজা হবে।
জি ভাইয়া খেতে অনেক মজা হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ! একদম অন্যরকম একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এখানে আপনি যেসকল উপকরণ ব্যবহার করেছেন তা একদমই ইউনিক। এরকম ইউনিক উপকরণ দিয়ে ইউনিক রেসিপি তৈরির মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিভাকে খুবই ভালোভাবে তুলে ধরেছেন।
প্রশংসনীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু, ঘি নামটি শুনলেই যেন আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করে। কেননা গরম গরম ভর্তা ভাত কিংবা খিচুড়ির সাথে ঘি খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। আবার ঘি দিয়ে যদি পরোটা ভেজে খাওয়া যায়, তাহলে তা খেতে আমার কাছে অমৃত মনে হয়। আমার মা খুব সুস্বাদু করে ঘি তৈরি করতে পারে। আপনার তৈরি ঘি দেখে মায়ের হাতের ঘিয়ের স্বাদ মনে পড়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, ঘি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া নিজের হাতে তৈরি করা ঘির মজাই অন্য রকম, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন নিজের হাতে কিছু বানানোর মজাই আলাদা। ঘি ভাত খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমরা খুব সহজে ঘি বানানো শিখে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি ঘি দিয়ে ভাত খেতে অনেক মজা, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ অসাধারণ তৈরি করলেন আপু বেশ ভালো লেগেছে। তবে আমিও চেষ্টা করি দুধের সর জমিয়ে রেখে ঘি তৈরি করার। বাচ্চারা যেহেতু দুধের সর একদম খেতে চাই না। তাই আমি দুধের সর গুলো জমিয়ে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিই। যখন বেশি হয়ে যায় তখন এক সাথে ঘি তৈরি করি। তবে প্রয়োজনীয় ঘি গুলো আমি ঘরের মধ্যে পেয়ে যাই। আসলে অনেক ভালো লাগে ঘরের তৈরি ঘি। মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত যখন প্রয়োজন হয় তখন বাজার থেকে নিয়ে আসি।
জি আপু বাচ্চারা সর খেতে চায় না তারজন্য সর জমে থাকে, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাসায় কখনো ঘি তৈরি করা হয়নি। আপনার পোস্টটা দেখে শিখে নিলাম। আমি অবশ্যই একদিন এটা তৈরি করব। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
জি আপু এভাবে অনেক সহজে ঘি তৈরি করতে পারবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
সবকিছু বানানের ট্রাই করলেও কখনও ঘি বানানোর চেষ্টা করা হয়নি।কারন খাঁটি দুধ হাতের নাগালে পাওয়া হয়নি।আপনি চমৎকার ভাবে ঘি বানানোর প্রসেস গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। কি সুন্দর ঘি করে ফেললেন।ভীষণ ভালো লাগলো দেখে।বাসায় এতো সুন্দর ঘি হলে বাজার থেকে কিনে আনার কি দরকার আর। খুবই সুন্দর হয়েছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু আমি এভাবে মাঝে মাঝে হাতে তৈরি করি বেশ ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
আপনার ঘি বানানোর পদ্ধতিটা আমার বেশ কাজে লাগবে। কেননা আমিও কিছুদিন যাবত দুধের স্বর সংগ্রহ করে রাখছি।আর কিছুদিন জমিয়ে রাখার পর আমিও ঘি বানাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু নিজের হাতের বানানো ঘি অনেক মজার, ধন্যবাদ আপু।