সকালে সরিষা ফুল ক্ষেতে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সকালে সরিষা ফুল ক্ষেতে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি সরিষা ফুল দেখতে গিয়ে ঘোরাঘুরি। আসলে আরো দুই দিন আগে আমি গিয়েছিলাম আমার বাবার বাড়িতে। আসলে দুূদিন ধরে তেমন রোদ দেখা যায় না। আবার ঠান্ডা অনেক বেশি। তবে বাচ্চারা সকালে অনেক সময় ঘুমিয়ে থাকে কিন্তু নানু বাড়িতে যাওয়ায় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা গেল।তারপর আমার ছোট মেয়ে আমার ভাজতির সাথে মাঠে চলে গিয়েছে। আসলে সে মাঠে গিয়েছে সরিষা ফুল আনতে।তারপর দু জনে কয়েকটি ফুল এনে কুয়াশায় ভিজে গিয়েছে। সেই ফুল গুলো নিয়ে দুবোন ঝামেলা করছে।আসলে ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে। তারপর আমি বললাম আমি মাঠে যাব তখন দুবোন ইচ্ছে মতো ফুল আনতে পারবে।তাই আরকি সরিষা ফুল দেখতে যাওয়া। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমরা বাইরে বের হলাম সকল নয়টা সময়।আসলে নয়টা বাজলে কি হবে কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। রোদের ছিটেফোটাও নাই কোথাও। যাইহোক আমরা প্রথম ঢুকলাম সরিষা ফুলের খেতে। যাবার সময় কুয়াশা আর ঠান্ডার জন্য যেতে ইচ্ছে করেছিল না। তবে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে মাঠ ভরা হলুদের সমরোহ দেখতে কার না ভালো লাগে। তবে আমরা প্রথমেই যে সরিষা ক্ষেত্রে গিয়েছি সেগুলো ফুলের থেকে সরিষা বড় হয়ে গিয়েছে। আবার পাশের ক্ষেতে অনেক বেশি ছোট। কেবলমাত্র ফুল ধরছে তবে গাছ গুলো ছোট ছোট মাঝে মাঝে ফুল ধরেছে দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে বাচ্চারা ক্ষেতে গিয়ে ফুল তুলবে আমি বললাম সামনে আরো ক্ষেতে আছে সেখান থেকে তুলবে ।
তারপর আমরা আরো কিছু দূর এগিয়ে গেলাম। আসলে আমাদের মাঠ সবাই আগে সরিষা ভুনেছে তাই অনেক সরিষা বড় হয়ে গেছে। আমরা কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক দিন পরে এভাবে সরিষা বড় হওয়া দেখলাম। তারপর আমরা কিছু সরিষা তুললাম। তবে বাচ্চারা শুধু ফুল নেবে। আসলে সরিষা গুলো যখন বের করা হলে তখন ছোট ছোট সরিষা দেখে বাচ্চারা আরো নেবে।মানুষের সরিষা গুলো এভাবে নষ্ট করলে কেমন হয়। তাই বাচ্চাদের বললাম আমাদের সরিষা ক্ষেত থেকে সরিষা তুলব।আসলে বাচ্চাদের কি বলব আমার কাছে ও সরিষা গুলো নিতে ইচ্ছে করেছিল।
তারপর আরো কিছু দূর এগিয়ে পেয়ে গেলাম আমাদের মানে আমার ভাইয়ের সরিষা ক্ষেত।আসলে আমাদের সরিষা ক্ষেত্রে ফুলের সমরোহ আামাদের ক্ষতে মাত্র সরিষা ফুল ফোটেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে। আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল সমস্ত মাঠ হলুদে পরিপূর্ণ। তবে বাচ্চারা তাদের মনের মতো ফুল পেয়ে অনেক খুশি। আমার দুই মেয়ে ও আমার দুই ভাজতির এমন ফুল পেয়ে ক্ষেতে নেমে পড়ল। তারা ইচ্ছে মতো ফুল নিচ্ছে। আসলে তার নিজের মামার ক্ষেত তাই তাদের কোন পিঁছু টান নেই। যাইহোক আমার কাছে ও অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এমন ঠান্ডার সময় হলুদের সমরোহে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি সকাল সকাল এভাবে ঘুরতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। এমনিতে বছরের প্রথম দিন তার পর সকাল সকাল এমন ভাবে ঘুরতে পেরে আসলে মনটা ভরে গেল। এভাবেই বছরটা পার করতে পারি।বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
ইস সরিষার ফুলের ক্ষেত দেখেই তো মনে হচ্ছে এখনি চলে যায়।আপনি বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপু সরিষার ক্ষেতে।কুয়াশার মধ্যে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির গ্রাম্য পরিবেশে ক্ষেতে যাওয়ার মজা অন্যরকম ছিল নিশ্চয় আপু আপনার।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিমূলক পোস্টটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সময় করে একদিন চলে আসবেন, অনেক ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপু।
আসলে সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের জন্য অনেক উপকার। আর বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটতে গিয়েছেন এবং সরিষা খেতে খুব চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন। সত্যি বলতে শীতকালের আরেক অপরূপ সৌন্দর্য হলো সরিষা ক্ষেত। চারিদিকে হলুদ ও সবুজের সমারাও থাকে দেখতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপু দুদিন ধরে রোদের দেখা নেই আর শীত পড়েছে খুব।গ্রামে সকালবেলা সরিষা ক্ষেতে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বাচ্চারা দেখছি খুবই আনন্দ করেছিল।ধন্যবাদ আপু সরিষা ক্ষেতের সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফার করার জন্য।
জি ভাইয়া বাচ্চারা অনেক আনন্দ করছে, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করে ফুল তুলতে। তা যে কোন রকমের ফুল হোক না কেন। বাচ্চারা ফুল নিয়ে ঝগড়া করছিল বলে আপনি তাদেরকে নিয়ে সরিষা ক্ষেতে গিয়েছিলেন। আর তারা দেখছি ইচ্ছে মত ফুল নিয়েছিল। শীতের সময় সকালবেলায় হাঁটাহাঁটি করলে এমনিতেই ভালো লাগে, মনটাও একেবারে ফ্রেশ থাকে। সরিষা ফুল গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। যেহেতু আপনার নিজের মামার ছিল এই সরিষা ক্ষেত তাই বেশি চিন্তা করেননি বুঝতে পারতেছি। প্রকৃতির মাঝে এভাবে হাঁটতে বের হলে ভালোই লাগে।
জি আপু এমন প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাই সকাল ৯টার সময়ও অনেক কুয়াশা থাকে।তবে সরিষা ফুলের সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে মন অনেক ভালো হয়ে যায়। আপনাদের ভ্রমনের মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে সকালের আবহাওয়াটা একদম ফ্রেশ থাকে আর এখন তো শীতের সময় সাথে কুয়াশাও থাকে।
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সবুজের প্রান্তরে সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো ও অসাধারণ দেখাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
শীতকালে বেশি সরিষার খেত দেখা যায়। এধরনের জায়গায় গেলে এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি তে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ভীষণ আনন্দ উপভোগ করতেছে। ভালো লাগলো আপু। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠান্ডার সময় এরকম হলুদের সমারোহ এর মাঝে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর সময়টা যদি সকালবেলা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। বোঝাই যাচ্ছে বাবার বাড়িতে গিয়ে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন আপনার মেয়ের সঙ্গে। সকালবেলা বর্তমান সময়ে বেশ কুয়াশা পড়ছে আর আপনারা কুয়াশার মধ্যেই মাঠে চলে গিয়েছিলেন এরকম মুহূর্ত হয়তোবা বারবার ফিরে আসবে না। সকালবেলা সরিষা ফুল ক্ষেতে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া এমন মূহুর্ত আসলে বারবার ফিরে আসে না,ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের সময় বেশিরভাগ জায়গায় শুধু সরিষার ক্ষেত দেখা যায়। সরিষার ক্ষেত দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে। সকাল সকাল উঠে আপনারা সরিষার ক্ষেতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে খুব ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন। আর বাচ্চারা দেখছি ফুল তুলতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর বাচ্চাদের ফুল তোলা দেখে আপনার নিজেরও তুলতে ইচ্ছে করছিল যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
জি ভাইয়া বাচ্চারা ফুলতোলায় অনেক ব্যস্ত ছিল, অনেক আনন্দ অনুভব করেছে বাচ্চারা, ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতকালে শিশির ভেজা ঘাসের উপর ঘোরাফেরা করতে ভালো লাগে। একটু একটু রোদ উঠলে সেই মুহূর্তটি বেশ ভালো ভাবে উপভোগ করা যায়। আপনারা তো সরিষা ক্ষেতে অনেক আনন্দ করলেন। ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করলে ভালো লাগলো।
জি আপু অনেক আনন্দ অনুভব করেছে,ধন্যবাদ আপু।