গরীবের ছেলের ভালোবাসা তৃতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
গরীবের ছেলের ভালোবাসা তৃতীয় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি গরীবের ছেলের ভালোবাসা গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে। সত্যি বলতে গল্প লিখতেও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাইতো সপ্তাহে একদিন হলেও গল্প লেখার চেষ্টা করি। যাইহোক এখন চলে আসি গল্পের মূল পর্বে।আসলে আদিবার অনেক অহংকার ছিল তাই সে শুধু অনিক না গবীব কাউকে পছন্দ করত না।আর ভার্সিটিতে এক পর্যায়ে অনিকের সাথে যুদ্ধ চলছিল তার। এভাবে অনিক ও আদিবার মধ্যে সম্পর্ক চলছিল। অবশেষে অনিক যখন আদিবাকে বাঁচাল তখন আদিবা অনেক লজ্জা পেল।আদিবা তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা মনে করতে লাগলো। আসলে আদিবা ভাবতে পারছে না যে অনিক থাকে মহা বিপদ থেকে বাঁচাল।সত্যি বলতে আদিবা হলে হয়তো কখনো অনিককে বাঁচাত না। যাইহোক অবশেষে কিন্তু আদিবা অনিকে কি বলবে ভাষা খুজে পাচ্ছিল না। তারপর অনিক আদিবাকে বাসায় পৌঁছে দিল।
পরের দিন অনিক যথারীতি ভার্সিটিতে গেল। কিন্তু লজ্জায় আদিবা আর কলেজে আসেনি। এভাবে প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল আদিবা কলেজে আসে না। আদিবা নিজের কাছেই অনেক লজ্জা পাচ্ছে তার কুকর্মের জন্য। এদিন আদিবা অনিকের ফোনে ফোন দিল, তখন ফোন রিসিভ করে অনিক ও আদিবার মধ্যে অনেক কথা হলো। আদিবা তার অতীতের সকল ভুলের জন্য ক্ষমা চাইল অনিকের কাছে। পরের দিন আদিবা কলেজে আসলো এখন দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্বের পরিণত হলো। বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হলো আদিবা অনিকে অনেক ভালবেসে ফেলেছে। তবে অনিক আদিবাকে ভালো বাসলেও বলার মতো কোন সাহস পেল না।আসলে অনিক ভাবতে লাগলো আমি আদিবাকে এভাবে রাখতে পারব না। আসলে আদিবার বাবার মতো টাকা তার নেই। এভাবে দেখতে দেখতে আদিবা অনিক দুজনে মাস্টার্স পাশ করলো। অনিক ফাস্ট ক্লাস পেল আর আদিবা সেকেন্ড ক্লাস পেল।
এখন অনিক বিসিএস এর জন্য প্রেপারেশন নিল।এদিকে আদিবার বাবা আদিবাকে বিয়ে দেবে কিন্তু আদিবা অনিককে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে নারাজ। তারপর আদিবা তার বাবাকে অনিক সম্পর্কে বললো।আদিবার বাবা একদিন তার বাসায় অনিককে ডেকে পাঠালো। অনিক ও নিমন্ত্রণ পেয়ে আদিবাদের বাসায় গেল।তারপর অনিককে আদিবার বাবা জিজ্ঞেস করল তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে কর।কিন্তু অনিক বিয়ে করতে রাজি না। তখন আদিবার বাবা কেন তুমি বিয়ে করবে না। আসলে অনিক বললো আমি আদিবাকে আপনার মত রাখতে পারবো না কখনো। আপনার মত এমন অর্থ আমার নেই। তবে আমার ভালোবাসা আছে অনেক। তখন আদিবা বললো আমার অর্থ লাগবে না শুধু ভালোবাসা থাকলেই চলবে। অনিক এখনো বেকার সে বলল আমি একটা চাকরি পায় তারপরে বিয়েটা করব।যাই হোক প্রথম বিসিএস দিয়েই অনিক টিকে গেল । আসলে অনিক তার পরিশ্রম ও সততার জন্য আজ বিসিএস ক্যাডার হয়েছে।
এখন আদিবার বাবা অনিকের বাবাকে বলে বিয়ের ব্যবস্হা করল। মহা ধুম ধাম করে দুজনের বিয়ে হয়ে গেল।আসলে অনিক আদিবাকে পেয়ে অনেক খুশি। যাইহোক এখন দুজনে বেশ ভালোই আছে। তবে আদিবার মতো অহংকার কারো না হওয়া অনেক ভালো। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
অনিক আদিবার সুন্দর এক কাহিনী আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই ঘটনাটা পড়তে পেরে যেখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভার্সিটির ঘটনার আর এদের প্রণয়ের।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এর আগের পর্বটি আমি করেছিলাম। শেষ পর্বটি পরে বেশ ভালো লাগলো।অবশেষে অনিক এবং আদিবার ভালোবাসা পূর্নতা পেলো।অহংকার করা মোটেই ভালো না।সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু অহংকার করা মোটেও ভালো নয়, ধন্যবাদ আপু।