জেনারেল রাইটিং : চোর ধরার কাহিনি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি অন্য রকম একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে কয়েক দিন আগে আমার ননদের বাসায় এক চালাক চোর ধরা পড়েছে। সেই ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আসলে আমি জানতাম চোর চুরি করে পালিয়ে যায়।কিন্তু এই চোর চুরি করেছে ঠিকই কিন্তু পালিয়ে যায়নি। এমন চোর সহজে দেখা যায় না। আমার সেজ ননদের বাসায় তিনতলার কাজ করছে। তাই প্রতি দিন বাজার থেকে কিছু রাজমিস্ত্রি তাদের সাথে কাজ করার জন্য যোগাইলে নিয়ে আসে ।
প্রতি দিনের গত রবিবারে ও মিস্ত্রি আাসার সময় বাজার থেকে কিছু যেগাইলে নিয়ে আসল।আসার পর মিস্ত্রি তাদের কাজে লাগিয়ে দিল।সবাই বেশ মনযোগ দিয়ে কাজ করছে।এভাবে দুপুর গড়িয়ে গেল। দুপুরে খাবার পরে সবাই বসে কথা বলছে।সেজ আপা তার রুমের দরজা চাপিয়ে রেখে ওপরে গেল কাজ দেখার জন্য। উনি যখন ওপরে গেল তখন এক যোগাইলে নিচে নেমে আসলো। সবাই ভাবছে হয়তো কোন কাজে গিয়েছে। কিছু ক্ষণের মধ্যে ফিরে এলো।তারপর আপা প্রায় এক ঘন্টা যাবত উনাদের কাজ দেখে রুমে আসলো।এসেই তার ফোন খুঁজতে লাগলো।ফোনটা যাবার সময় ওয়াশিং মেশিনের উপর চার্জে রেখে গিয়েছিলাম। এসে আর ফোন পায় না। তারপর অন্য রুমে গিয়ে ভাইয়াকে ডাকলো, আসলে ভাইয়া একটু অসুস্থ তাই দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর কেউ ছিল না বাসায়।
তারপর ফোনে ফোন দিলেও ফোন ঢুকে না । পড়েগেল মহাবিপদে। তারপর তারাতাড়ি করে তার ছেলে ও ছেলের বউকে ফোন খুঁজতে বললো।অবশেষে হঠাৎ করে মনে পড়লো সে ওপরে থাকা সময় একজন যোগাইলে নিচের দিকে নেমে এসেছিল।তারপর সবাই তাকে ফোন নিয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করল।কিন্তু যে চোর সে কিছুতেই স্বীকার গেল না। চোর বলেছে আমি ফোন নিলে চলে যেতাম না আমি তো এখানেই কাজ করছি। আসলে তাকে তো আর কেউ চেনে না সকালে এনেছে আবার বিকেলে চলেযাবে।
এভাবে অনেক কথা বলার পরে তার বাড়িতে কে কে থাকে জিজ্ঞেস করে আসতে বললো।কিছু সময়ের মধ্যে অনেক লোক জড় হলো।তারপর এলাকার লোকজন ধরে বেশ মারধর করলো, আবার ভয় দেখালো পুলিশে দেবে।তারপর ও স্বীকার করছে না। চোরের মা আরো দুই একজন এলো। তারপর চোরের মা বললো আমার ছেলেকে ছেড়ে দেন,ওর বাবা অসুস্থ। অবশেষে মায়ের দিকে তাকিয়ে স্বীকার করলো সে ফোন নিয়েছে। নিচে একটা ট্রাক রাখাছিল তার নিচে রেখে গিয়েছে। আসলে এমন ভাবে রেখেছিল ধরার কোন উপায় ছিল না।আসলে কথায় বলেনা মারির ওপর ঔষধ নেই। যাইহোক আসলে দুমাসের মতো হবে ফোন কিনেছে। অবশেষে ফোনটা পেয়েছে এটাই অনেক। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
বিষয় | 'চোর ধরা পড়ার কাহিনি ' |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
বাহ আপনার চোর ধরার কাহিনীটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে একবার কোন জিনিস হারিয়ে গেলে সে জিনিস সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না । আপনার ননদের তো কপাল ভালো দেখছি হারিয়ে যাওয়া ফোনটি ফিরে পেয়েছেন ।অবশ্য উনার চালাকির কারণেই ফোনটি পাওয়া গেল । একটা লোক যে নিচে নেমেছে এটা উনি খেয়াল করেছেন বিধায় তাকে সন্দেহ করেছেন। যার কারনেই ফোনটি পাওয়া গেল।
ঠিক বলেছেন হারিয়ে যাওয়া জিনিস সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না, ধন্যবাদ আপনাকে গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্! আপনার চোর ধরার কাহিনী পড়ে খুব ভালো লাগলো। চোর চুরি করে পালিয়ে যায়, অথচ এই চোর চুরি করে সেখানেই রয়ে রইলো। তবে ওনার মাথায় খেয়াল ছিল যে কেউ নিচে নামছে এই জন্য চোরটা ধরতে আরো সহজ হয়ে গেছে। আপনি ঠিক বলছেন মারের উপর কোন ওষুধ নাই। তবে চোরের বাবা অসুস্থ এই কথা শুনে আমারো মন গলে গেছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
জি ভাইয়া খেয়াল ছিল বিধায়, ধরতে পেরেছে, ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে এখনকার সময়ে কোন জিনিস হারিয়ে গেলে তা খুব সহজে পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ সময় দেখেছি চোর চুরি করে পালিয়ে যায় কিন্তু এই চোরটি সেখানে রয়ে গেল। এবং থেকে যাওয়ার কারণে তাকে খুব সহজে ধরতে পেরেছে। যাইহোক অবশেষে ফোনটি পেয়েছে সেটাই অনেক।এত সুন্দর একটি কাহিনী শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু থেকে যাওয়ার কারণে তাকে সহজে ধরতে পেরেছে, ধন্যবাদ আপু।
চোর চুরি করার পরে যদি স্বীকার করত তাহলে তো সে চুরি করত না আপু। যার ফোনটি প্রথমে চুরি হওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত যে ফোনটি ফেরত পেয়েছেন এটাই অনেক কিছু। চোরের মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তাকে একটু হলেও উচিত শিক্ষা দেয়া উচিত ছিল কারণ সে পুনরায় এধরনের কাজ যেন না করতে পারে তার জন্য।
আসলে ভাইয়া তার বাবার অসুস্থতার দিকে তাকিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা চোর ধরার কাহিনী পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে চোর যদি চুরি করার পরে শিকার খেতে তাহলে তো সে আর চুরি করতে আসত না। আসলে আপু আপনার ননদের অনেক কপাল ভালো হারিয়ে যাওয়া ফোনটি আবার ফিরে পেল। শেষ পর্যন্ত চোখটি ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু পরে আবার জানতে পারলাম চোরের বাবা অসুস্থ তাই একটু মন খারাপ হয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চোরের বাবাও অসুস্থ জেনে চোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
চোর ধরার গল্পটি শুনে খুবই ভালো লাগলো। তবে শেষমেষে মোবাইলটা চোরের কাছ থেকে উদ্ধার করতে পেরেছেন এটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে চোরটা বেশ চালাক ছিল । কিন্তু বুদ্ধি করে মোবাইলটা বের করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।
জ্বী ভাইয়া ফোনটা পেয়েছে এটাই অনেক, ধন্যবাদ আপনাকে।