বিস্কুট দিয়ে কেক বানানোর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বিস্কুট দিয়ে কেক বানানোর রেসিপি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ কয়েক দিন ধরে মেয়ে দুই টির অনেক জ্বর। তবে আজ ভালো আছে। জ্বরের কারণে কিছুই খেতে চায় না। তাই ছোটমেয়ে বললো আমাকে একটু কেক বানিয়ে দেবে। আবার বড়জন বললো বিস্কুট দিয়ে বানিয়ে দেও। আসলে বিস্কুট দিয়ে আমি আগে কখনো বানাইনি। যাইহোক দুই প্যাকেট বিস্কুট নিলাম কেকে তৈরি করার জন্য। তবে মেয়েরা ক্রিম গুলো আগেই কেকের ওপরে দেওয়াতে ক্রিম গলে গিয়েছে। তবে কেক অনেক মজার হয়েছিল। আসলে আমি ভাবলাম আগে কম প্যাকেট দিয়ে বানিয়ে দেয় যদি খায় তাহলে আবার বানিয়ে দেব। তবে আমার দুই মেয়ে ও আমার দেবরের ছেলে মিলে মূহুর্তে শেষ করে দিয়েছে। সত্যি বলতে পুরো কেক নামানোর পরে পিস পিস করে কেটেছি আর ওরা খেয়েছে। তাই পিস পিস করা কেক গুলোর ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। আপনারা চাইলে এভাবে তৈরি করে খেতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
১.কোকোলা বিস্কুট
২.দুধ
৩.চিনি
৪.ব্রেকিং পাউডার
ধাপ-১
প্রথমে আমি দুই প্যাকেট কোকোলা বিস্কুট নিয়েছি। তারপর প্যাকেট গুলো খুলে বিস্কুট থেকে ক্রিম গুলো আলাদা করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এখন বিস্কুট গুলো ভালো করে ব্লেন্ডার করে নিয়েছি। তারপর ব্রেকিং পাউডার ও চিনি দিয়ে দিয়েছি ।
ধাপ-৩
এখন দুধ দিয়ে একটা বেটার তৈরি করে নিয়েছি। তারপর অন্য একটি বাটিতে তেল ব্রাশ করে বেটার ঢেলে দিয়েছ।
ধাপ-৪
এখন ক্রিম গুলো ও কেকের উপর দিয়েছি।তারপর চুলায় একটি কড়ার ভিতরে স্টেন বসিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
এখন সেই স্টেনের উপর কেকের বাটি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম ৩০ মিনিটের জন্য।
ধাপ-৬
ফিরে এলাম ৩০ মিনিট পর।তার পর ঢাকনা খুলে দেখলাম আমার কেক সম্পূর্ণ রেডি। এখন একটা হাফ প্লেটে পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবর দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আসলে কেক ছোট-বড় কমবেশি সবারই পছন্দের। কেক খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে বিস্কুট দিয়ে এভাবে কখনো কেক তৈরি করা হয়নি। তৈরি করার ধাপ গুলো দেখে শিখে নিলাম। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু একদিন অবশ্যই ট্রাই করবেন অনেক ভালো লাগবে,ধন্যবাদ আপু।
কেক বানানোর চেষ্টা বহুবার করেছি কিন্তু কখনো সফল হয়নি। তাই কেক বানানোর আশা ছেড়ে দিয়েছি। আপনি দেখছি বিস্কুট দিয়ে অনেক সুন্দর একটি কেক তৈরি করেছেন আপু। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার আবার কেক বানানোর ইচ্ছা জাগছে। অনেক ধন্যবাদ বিস্কুট দিয়ে কেক বানানোর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি ও আগে পারিনি এখন সব ভাবেই তৈরি করতে পারি। আমি আশাকরি আপনি ও আবারো চেষ্টা করবেন। অবশ্যই সফল হবেন আশাকরি। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মেয়েরা অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। আপনার মেয়েদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই সময় জ্বর সর্দি হলে খুব সহজে ভালো হতে চায় না। যাইহোক আপু বিস্কুট দিয়ে কেক তৈরির পদ্ধতি দেখে অনেক ভালো লাগলো। কেক আমার খুবই প্রিয়। একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব আপু।
জি আপু অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে,ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি আইডিয়া দিলেন আপু আমার অনেক বেশি কাজে লাগবে। কারণ বাচ্চারা প্রায় সময় চকলেট কেক খেতে চাই। কিন্তু প্রায় সময় তো বাইর থেকে নিয়ে এনে খাওয়া সম্ভব না। তো এভাবে যদি চকলেট বিস্কুট দিয়ে চকলেট কেক বানানো যায় তাহলে বেশ ভালো হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি অনেক ধন্যবাদ।
জি আপু বাচ্চারা সব সময় চকলেট কেক খেতে চায়,আসলে আপু মাঝে মাঝে বানিয়ে দেবেন খেতে অনেক মজার।ধন্যবাদ আপু।
আমিও মাঝে মাঝে বাসায় কেক বানাই। বিস্কিট দিয়ে বানানো হয়নি আপু। আপনি এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে এটা তুলে ধরলেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে আমরা এটা বাড়িতে বানাতে পারবো। আপনি যেভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশনও করেছেন এবং এটা কেমন স্বাদ হয়েছে মনে হচ্ছে। অনেক সুস্বাদু হয়েছে
আমি প্রতিনিয়ত বাসায় কেক বানাই।তবে বিস্কিট দিয়ে কখনো বানাইনি।খুব সুন্দর করে কেক টি করে দেখালেন।ভালো ই হয়েছে।আশাকরি মেয়েরা খুব মজা করে খেয়েছে।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।