জেনারেল রাইটিং :ভাগ্যের লেখা বদলানো যায় না
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
ভাগ্যের লেখা বদলানো যায় না
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে মানুষের ভাগ্য যা আছে না চাইলে তা হবে।আমরা হাজারো চেষ্টা করে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারব না, যতক্ষণ না আমাদের সৃষ্টিকর্তা চাবেন।আসলে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষকে আল্লাহ সব শক্তি দিয়েছেন। যাইহোক আমরা সবাই চাই ভালো হতে।কয়েক দিন আগে আমার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে গেল। আসলে বর্তমান ইন্টারনেট এর মাধ্যমে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয় তবে দেখা হয় না বলেই চলে। যাইহোক কয়েক দিন আগে যখন মার্কেটে গিয়েছিলা। তখন আমার প্রিয় বান্ধবী ইতির সাথে দেখা হয়ে গেল। ইতিকে দেখে আমি পুরো অবাক। আসলে মানুষের জীবন এতো পরিবর্তন বুঝা মুশকিল । যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে আমি আর আমার বান্ধবী ইতি দুজনেই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলাম।তবে ইতি আমার থেকে অনেক ভালো পড়াশোনা পাড়ত। সে দুবার বৃত্তি পেয়েছে। ইতি বোনের মধ্যে ছোট ছিল । আমি আর ইতি সব সময় এক সাথে থাকতাম। আসলে ইতি স্কুল জীবন থেকেই অনেক সাজগোজ করত। ইতির বাবা ছিল একজন সরকারি কর্মকর্তা । যাইহোক আমি আর ইতি এক সাথে এসএসসি পাশ করেছি। তারপর আবার আমরা দুজনেই একই কলেজে ভর্তি হলাম। ইতি অনেক ভালো, সবাই বলেছে ও ভবিষ্যতে একটা কিছু হতে পারবে। ইতির বাবার ইচ্ছা ইতিকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বানাবে। আসলে ইতিকে তার বাবা সেই ভাবে গড়ে তুলছে।যাইহোক ইতি যখন কলেজে ভূতি হলো ওদের পাশের বাড়ির একটা ছেলে
সব সময় ইতির পিঁছে ঘুরতো। প্রথম দিকে ইতি কোন কান দিত না।
আসলে একটা মানুষ বারবার পিঁছে পিঁছে ঘুরলে কার ভালো লাগে। এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পরে ইতি ও ছেলেটার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ল। যাইহোক এভাবে ওদের সম্পর্কে আরো গভীরে যেতে লাগল।এদিকে ইতির সাথে যে ছেলের সম্পর্ক ছিল সে নাকি ইতির বড় বোনকে ভালোবাসত।আসলে ছেলেটা কার সাথে বাজি ধরে এমন কাজ করেছে। আর কিছু দিন যেতে না যেতেই ইতি ছেলেটার সাথে পালিয়ে বিয়ে করে নিল। এদিকে ইতির দিদি রেগে অস্হির।ইতির দিদি বাড়ি থেকে ইতির বই পত্র সব ফেলে দিল।ইতি আর সেই ছেলেটা পালিয়ে রইলো কিছুদিন। অন্য দিকে ইতির বাবার স্বপ্ন নিমেষেই শেষ হয়ে গেল।
আসলে দুজনে কিছু দিন পরে বাড়িতে আসলে। তবে প্রথম দিকে কিছু দিন ভালোই চলছিল। আসলে ভালো কর্ম না করলে ভালো ভাবে চলা মুশকিল। এদিকে ইতি যেভাবে চলত তার কাছ দিয়ে নেই।সামনে এইচ এসসি পরিক্ষা, পরিক্ষাটা ও দিতে পারেনি।আসলে যে মেয়ে দুবার বৃত্তি পেয়েছে আর এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে সে নাকি এইচ এসসি পাশ করতে পারিনি।তাই অনেক দিন পরে ইতিকে দেখে ওর কাছ থেকে সব কিছু শোনলাম।সত্যি টাকা পয়সা না থাকলে ভালোবাসা জ্বালানা দিয়ে পালায় । এখন ইতি নিজে একটা মুদির দোকান করে, তার একটা মেয়ে আছে। আগের ইতি আর এখনকার ইতিকে দেখলে মেনে নেওয়া মুশকিল। আসলে ভাগ্যে যা কিছু আছে তা হবেই। আর মানুষের ভাগ্য যে এভাবে পরিবর্তন হয় ইতিকে দেখলে তা ভালো করেই বুঝা যায়। যাইহোক সবাই ইতির জন্য দোয়া করবেন যেন বাকি জীবন সুন্দর ভাবে চলতে পারে।আশাকরি আমার লেখা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপনার বান্ধবী ইতির জন্য খুব খারাপ লাগছে আপু।আসলে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে সারাজিবন কষ্ট পেতে হয়।নিমিষেই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মেধাবী একটি মেয়ের জিবন নষ্ট হয়ে গেলো এবং সাথে বাবার লালিত সপ্ন।ছেলেটি প্লান করেই এসব করেছে। অবশ্যই ছেলেটি ভালে নয় নইলে ইতির বড়ো বোনকে ছেরে আবার ছোট বোনকে ফুসলিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে জীবনটা নষ্ট করে দিতো না।বেচারা ইতির জন্য খারাপ লাগছে খুব।ধন্যবাদ আপু আপনার বান্ধবীর জিবন কাহিনী শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু ইতির জন্য খারাপ লাগারি কথা, জীবনের সব কিছু শেষ। ধন্যবাদ আপু।
মানুষের ভাগ্যে যেটা আছে সেটাই হবে, আমরা যতই চেষ্টা করিনা কেন? কখনোই পরিবর্তন হবে না। বিয়ে, জন্ম ও মৃত্যু আমাদের সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে লেখা হয়ে গেছে। আমরা অনেকেই বলি ভাগ্যে যেটা সেট হবে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তো নিজেকে ভাগ্য পরিবর্তন করার মাধ্যম দিয়েছে। দোয়া করে। আপনাদের বন্ধুত্ব দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। একসাথে এসএসসি পাস করেছেন আবার একই কলেজে ভর্তি হলেন। প্রেম কিভাবে যে হয়ে যায়, কেউ জানে না। হঠাৎ করে ইতি ও ছেলেটার সম্পর্ক হয়ে গেল। এখানেই মনে হচ্ছে অনেক ব্যাঘাত ঘটবে। ইতির বাবার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আসলে ইতির এটা কখনোই উচিত হয় নাই। বর্তমান সময়ে ভালো কর্ম ছাড়া কখনোই কোন পুরুষের দাম নেই। প্রথমে আমরা সবাই বলি যে, টাকা দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায় না কিন্তু টাকা না থাকলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়। ঠিক কথা বলেছেন। ইতির জন্য দোয়া রইলো, সে যেন বাকি জীবনটা অনেক সুন্দর করে চলতে পারে।
সত্যি ভাইয়া টাকা না থাকলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার পুরো পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো। তবে শেষের টা আমি মানতে পারলাম না।শেষে এমনটা হবে কখনো ভাবিনি। যাইহোক মানুষের ভাগ্যে যেটা থাকবে সেটাই হবে।আর মানুষ হচ্ছে সর্ব সৃষ্ট জীব।যেই মেয়ে দুইবার বিত্তি পেয়েছে সেই মেয়ে নাকি এইচএসসি পরিক্ষায় পরিক্ষায় পাশ করেনি।লাস্টের কাহিনি টা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। তবে এটা সবাইকে মানতে হবে যে ভাগ্যে যেটা লেখা থাকবে সেটাই হবে।যাইহোক আপনি সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে ভাইয়া যা বাস্তব তা না মেনে আমাদের উপায় নেই,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বান্ধবী কিন্তু খুবই মেধাবী ছিল। যা ওনার এসএসসির রেজাল্ট এর কথা শুনেই বুঝতে পারছি। ওনার ভাগ্যে এরকম কিছুই লেখা ছিল, সেই জন্যই এরকমটা হয়েছে ওনার সাথে। তিনি যদি ভালোভাবে পড়ালেখা করতেন, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে ভালো কিছু হতে পারতেন। কিন্তু ওই ছেলেটার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর তিনি নিজের জীবনটাকেই অন্য রকম করে ফেলেছিলেন। খারাপ লেগেছে আপনার বান্ধবীর জন্য।
জি আপু ওর জন্য অনেক খারাপ লাগে, তবে এখানে কারো হাত নেই। ধন্যবাদ আপু।
গল্পটি পড়ে খারাপ লাগলো।আসলেই ভাগ্য মানুষকে অনেক কিছু এক্সপেরিয়েন্স করায়।বৃত্তি পেয়ে ফেইল করেছে ।ভাগ্য এবং নিজের ল্যাকিংস এর জন্য দায়ী ।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু সব সময় সবাই একই ভাবে বোঝে না, ইতি এখন বোঝে।ধন্যবাদ আপু।
আপনার বান্ধুবীর জন্য দোয়া রইলো আপু। আসলে আবেগের বশে কোন কাজ করাটা বোকামো। বিশেষ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া টা কোন মেয়ের ক্ষেত্রেই উচিত না। মেয়েরা কেন যে এমন বোকামো গুলো করে থাকে! জীবনটা পুরো অনিশ্চিত হয়ে যায় এভাবে পালালে। ঈশ্বর সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।
আসলে আপু পালানোর সময় কেউ বুঝতে পারে না, পরে সব বুঝতে পারে।ধন্যবাদ আপু।
আসলে এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি কথা নিজের ভাগ্যকে কোন রকম ভাবেই বদলানো সম্ভব না। আপনার বান্ধবী ইতির কথা শুনে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে বিষয়টা। ইতির এরকম একটা কাজে তার দিদি রেগে যাওয়ারই কথা। তার ভাগ্য এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে সে নিজে মুদির দোকান করে। পুরোটা আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন দেখে ভালো লেগেছে পড়ে।
সত্যি ভাইয়া পরিস্থিতি মানুষকে কোথায় নিয়ে পৌছায় বুঝা মুশকিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার বান্ধবী ইতির গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আপনার বান্ধবীটি দুইবার বৃত্তি পেয়েছে এবং এসএসসি পরীক্ষা জিবি ফাইভ পেয়েছে। অথচ তার একটা ভুল সিদ্ধান্ত কারণে সে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। যে ছেলেটির সাথে সেই পালিয়ে বিয়ে করেছে সে সিদ্ধান্ত যদি না নিত তাহলে তার পড়ালেখার ক্ষতি হতো না। যদিও এখানে মন বলতে একটি ব্যাপার স্যাপার আছে। তবে এটি ঠিক অভাব যখন আসে ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়। বান্ধবীর সাথে অনেকদিন পর দেখা হওয়ার কারণে তার ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করলেন হয়তোবা এই কারণে আপনার কাছেও খারাপ লাগলো তার পরিস্থিতির কথা শুনে। তবে আপনার বান্ধবী ইতির কাহিনীটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
জি ভাইয়া এমন পরিবর্তন শুনে খারাপ লাগারি কথা, ধন্যবাদ ভাইয়া।