মেয়ের জন্মদিনে কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
মেয়ের জন্মদিনে কিছু সময়
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু নিয়ে আসার জন্য।গত ২৬ তারিখে আমার বড় মেয়ের নয় বছর পূর্ণহলো। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন সামনের দিন গুলো যেন ভালো ভাবে কাটাতে পারে। আর তাকে যেন আমি মানুষ মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে পারি। আসলে এই পর্যন্ত জন্মদিন পালন করে এসেছি তবে এবার করার কোন ইচ্ছে ছিল না, তেমন করিনি।আসলে অনেক সময় না করার ইচ্ছে থাকলেও বাচ্চাদের জন্য কিছু না করে উপায় নেই। আজ কয়েক দিন ধরে সবার স্কুল বন্ধ দিয়েছে। স্কুল বন্ধের আগে সে তার বান্ধবীদের বলেছে ২৬ তারিখে তার জন্মদিন তাই আসার জন্য। আমি কিছু করব না বলে বসে আছি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বলছে আম্মু আজ আমার জন্মদিন দুপুরে আমার বান্ধবীরা আসবে।তখন বেলা নয়টা বাজে কি আর করব বাচ্চা মানুষ বলে এসেছে যদি আসে তার জন্য ছোট এই আয়োজন। তবে আয়োজন ছোট হলে ও অনেক আনন্দ করেছে বাচ্চারা। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু আমি নয়টার সময় ফ্রিজ থেকে সব কিছু বের করে নিলাম। তারপর এগারোটার দিকে আমি রান্না শুরু করে দিলাম। আসলে বান্ধবী বলে কথা তারা ১২:৩০ মিনিটের দিকে আমাদের বাসায় চলে এসেছে।ছোট বাচ্চা হলে কি তাদের বান্ধবীর কথা রেখেছে। আসলে বর্তমান যুগের বাচ্চারা অনেক একটিভ। যেহেতু বান্ধবীরা এসে গেছে তাই সে বান্ধবীদের সবাইকে কেক দেখিয়ে একটা একটা করে চকলেট দিল।সে বান্ধবীদের নিয়ে গান শুনতে লাগলো আমি বললাম রান্না শেষ করি তোমরা বসে থাক।আবার বান্ধবীরা তার জন্য কিছু গিফট এনেছিল।
বাচ্চাদের জন্য আমার এই ছোট আয়োজন। তারপর আমি কিছু মুরগির মাংস, পোলাও, বেগুন ভাজি, সালাদ ও পায়েস তৈরি করেছিলাম। আসলে পায়েস ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছে। রান্না শেষ করেই আগে বাচ্চাদের খাবার দিলাম। আসলে উরা অনেক আনন্দ সহকারে খেয়েছে। সত্যি ওদের কাছে এই দিন কতো না আনন্দের ছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই একটু ঘোরাঘুরি করল।আসলে তার ছয়জন বান্ধবী এসেছিল।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে তারা কেক কাটার জন্য সব কিছু রেডি করলো। যেহেতু হঠাৎ করেই জন্মদিন করতে হয়েছে তাই একটা কেক ও সাথে আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসপাতি এনেছিলাম। তারপর তারা টুপি, মোম ও বেলুন ফুলাতে লাগলো। সব কিছু কমপ্লিট হওয়ার পরে শুরু হলো কেক কাটা।
সব কিছু রেডি করার পরে তারা কেক কাটার জন্য অস্হির হয়ে পড়ল। আসলে তাদের জন্মদিন মানে কেক কাটা। আর সকল যা কিছু খাওয়া হোক না কেন কেক না খেলে মনে হয় না তার জন্মদিন করছে।যাইহোক কেক সবাইকে খাওয়ালো।আসলে এই আনন্দ টুকু বাচ্চাদের কাছে অনেক। আসলে জন্মদিন ছোট হলেও আনন্দ ছিল অনেক । বাচ্চাদের আনন্দ দেখে অনেক ভালো লাগলো ।সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
প্রথমে জানাই আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। জন্মদিনের মেয়ে এবং মেয়ের বান্ধবীদেরকে নিয়ে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আর আপনার হাতের এই মজার খাবারগুলো খেয়ে নিশ্চয়ই ওর বান্ধবীরা খুবই খুশি হয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো একটা সময় কেটেছে আপনাদের। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও দোয়া রইল যাতে ভবিষ্যতে ভালো একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
জি আপু বান্ধবীদের নিয়ে অনেক মজা করেছিল, ওদের জন্য দোয়া করবেন আপু।
আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো যেন বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। তারা তো ছোট সেজন্য ভালো মন্দ বুঝেনা। তারজন্য না চাইলেও তাদের জন্মদিন পালন করতে হয়। ছোট করে হলেও ভালোই আয়োজন করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার বড় মেয়ের বয়স ৯ বছর পূর্ণ হলো তাই জন্মদিন পালন করেছেন খুবই ভালো ব্যাপার। আপনার বড় মেয়ের জীবনে অসংখ্য বার জন্মদিন ফিরে আসুক সেটাই প্রত্যাশা করি। আপু আপনার মেয়ের জন্মদিনে তো অনেক কিছুর আয়োজন করেছিলেন দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া টুকিটাকি অনেক কিছু আয়োজন হয়েছিল, ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে আপু আপনার মেয়েকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দোয়া করি সব সময় যেন সুস্থ ও ভালো থাকে। আসলে ছোটদের এরকম ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত হতে পারি তো করেছেন। জন্মদিনের অনেক সুন্দর আয়োজন করেছিলেন। আপনার মেয়ের বান্ধবীরা এসেছিল জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ছোটদের এই ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করলে ওরা অনেক খুশি হয়, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছু করা হয় না। আবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় কোন কাজ করতে হয়। বাচ্চাদের খুশির জন্য অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও জন্মদিন পালন করতে হয়। আপু আপনার জন্মদিন উপলক্ষে দারুন আয়োজন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। জন্মদিনের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
যাক বাচ্চা মানুষ বলে কথা আপনি তাদের খুশির জন্য যতটুকু পারেন রান্না করে খাওয়ালেন। আপনার মুহূর্তটি পড়ে বেশ ভালোই লেগেছে। তাছাড়া সুন্দর ছিল কেকের ডেকোরেশনটা। বেশ মজার মজার খাবার রান্না করলেন আপু লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনি এত সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন অথচ আমাদেরকে দাওয়াত দিলেন না। যাক মেয়ের জন্য শুভকামনা রইলো। সে যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
আপু বোনের বাড়ি সব সময় দাওয়াত থাকে, চলে আসবেন আপু। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।