পূর্ণতা পেল ভালোবাসা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
পূর্ণতা পেল ভালোবাসা
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে ভালোবাসা এমন এক জিনিস সত্যিকারে ভালোবাসার মানুষকে পেলে জীবনে আর কিছুই লাগে না।আজ ও আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
হেনারা দুই বোন, হেনা বড় আর সেলি ছোট। তবে দুজনের বয়সের পার্থক্য প্রায় দশ বছরের মতো। হেনার বাবা একজন ব্যাংকার। হেনাকে অনেক আদর করে। আসলে বাবা চাচার মানে পরিবারের একমাত্র মেয়ে হেনা। সবাই তাকে অনেক আদর করে বড় করছে। তবে হেনা যখন ক্লাস সিক্স এ পড়ে, তখন হেনার বাবা একজন গৃহটিচার রেখে দিল। তবে টিচার দেখতে অনেক সুন্দর আবার অনেক ভালো পড়াশোনা করে। তবে টিচার বাদে আর কেউ তেমন কোন কিছু করেনা তার পরিবারে । বলতে গেলে সবাই দিন মঞ্চুর করে চলে।যাইহোক এভাবে হেনাকে পড়াতে শুরু করলো টিচার। প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেল।হেনা ও মোটামুটি ভালো ছাত্রী। হেনা যখন ক্লাস এইটে পড়ে তখন একদিন হেনার টিচার হেনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করলো। হেনা যেহেতু ক্লাস এইটে পড়ে সে সব কিছু বুঝতে পারে। তবে হেনার টিচার ও কোন দিক থেকে কম নয়। হেনা বুঝতে পারে স্যার তাকে ভালোবাসে। মাঝে মাঝে হেনাদের দুবোনের জন্য চকলেট নিয়ে আসত।আসলে অনেক দিন পড়ালে যা হয় আরকি।
এভাবে পেরিয়ে গেল এক বছর তাও হেনা তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে আর টিচার সাথে অন্য সম্পর্কে যায় নি।আসলে হেনা ও তার টিচারকে ভালো বাসে। হেনার টিচারের নাম ছিল সবুজ। এদিকে হেনার ছোট বোন ও হেনার সাথে প্রাইভেট পড়ে।একদিন সবুজ বললো আমি তোমাকে আর পড়াতে পারব না। হেনা ক্লাস টেনে পড়ে। হেনা বললো এখন আমি আবার কার কাছে পড়ব,কারণ নতুন কোন স্যার আসলে সবই নতুন ভাবে করাবে। আসলে হেনা ও চায় না সবুজ চলে যাক।সে ও সবুজকে ভালোবাসে। যাইহোক একদিন হেনা সবুজের কথায় সাই দিল।
হেনা এসএসসি পরিক্ষা দিল এদিকে সবুজ মাস্টার্স শেষ করলো ফাস্ট ক্লাস পেয়ে। তারপর সবুজ আর হেনাকে পড়ায় না। সবুজ বিসিএস এর জন্য প্রেপারেশন নিচ্ছে। তবে হেনার সাথে মাঝে মাঝে সবুজের দেখা হয়। আসলে হেনারা অনেক বড় লোক আর হেনা ও দেখতে শোনতে অনেক ভালো। তাই হেনা ভাবে আমার বাবা কখনো সবুজের সাথে বিয়ে দেবেনা। তবে হেনার ইচ্ছে আছে যেহেতু সবুজ অনেক ভালো ছাত্র তাই সবুজ ভালো চাকরি অবশ্যই পাবে। আর তখন তার বাবাকে সে বলবে সবুজের কথা। হেনা এসএসসি পরিক্ষা দেবে তখন সবুজ প্রাইমারিতে টিকে গেল। হেনা অনেক খুশি ছিল আসলে প্রথমে যেখানে দিয়েছে সেখানে চাকরি হয়েছে জেনে।তবে সবুজ চাকরি করবে না কারণ সে ভালো কোন ব্যাংকে বা কলেজে চাকরি করার ইচ্ছে। আসলে প্রথম চাকরি তাই সবুজ সবারই অনুরোধে জয়েন করলো।
জয়েনের দু’মাসের মধ্যে হেনার পরিবার কিভাবে যেন জানতে পারলাম হেনা সবুজকে ভালোবাসে। তখন হেনার বাবা হেনাকে কঠিন নিদেশ দিল। সবুজ যতই ভালো চাকরি পাক তবে সবুজের সাথে তোমার সম্পর্ক কখনো মেনে নেওয়া হবে না।এখন হেনা পড়ে গেল মহাবিপদে।আসলে ভালো বাসা কখনো ধন সম্পদ দেখে হয় না। ভালোবাসা হয় মনের মিলে।হেনার বাবার এমন কথা শোনে হেনা চিন্তা করতে থাকলো।সবুজ হেনাকে বলেছে আমি একজন ব্যাংকার হবে, তারপর তোমাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেব।আসলে হেনার বাবা ব্যাংকার তার জন্য সবুজের ইচ্ছে ব্যাংকার হওয়ার।এদিকে হেনা এইচএসসি পাশ করলো। এখন হেনা অনার্সে ভর্তি হবে।ভর্তি হবার সাথে হেনার বাবা হেনাকে বিয়ে দেবে।কিন্তু হেনা কিছুতেই বিয়ে করবে না।ইতিমধ্যে সবুজ জনতা ব্যাংকে চাকরি হলো। (চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আসলে ভালোবাসার মানুষকে না পেলে পৃথিবীটা শূন্য মনে হয়। হেনা আর সবুজের গল্পটা রোমান্টিকতায় পূর্ণ না আশাকরি সবুজের ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার সুবাদে তাদের বিয়ে হবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভালোবাসা ধনী গরিব মেপে কখনো হয়না। দুটি মনের মিলন হলেই ভালোবাসা হয়ে যায়। সবুজ হেনার বাবাকে ইমপ্রেস করার জন্য ব্যাংকে চাকরি নিতে রাজি অবশেষে তার ব্যাংকের চাকরিটা হয়ে গেল। এখন হেনার বাবা বিয়ে দিতে রাজি হয় কিনা দেখার বিষয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু ভালোবাসা বেশ দারুন অদ্ভুত। আসলে একে অপরকে কখন যে মনের অজান্তে ভালোবাসা হয়ে যায় কখনো বুঝে ওঠা যায় না। অবশেষে হেনার পরিবার থেকে সবুজের সাথে ভালোবাসার কথা জেনে যায়। হেনার পরিবার থেকে বলেছিল সবুজ যত ভালোই চাকরি পাক না কেন তোমাকে কখনোই সবুজের হাতে তুলে দেব না। অবশেষে হেনার বাবা হেনাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চাই কিন্তু বিয়ে দিতে পারে না ইতিমধ্যেই সবুজ জনতা ব্যাংকে চাকরি পেয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তী পর্বে সবকিছু জানতে পারবো।
আসলে ভাইয়া ভালোবাসা কখন যে কার প্রতি হয়ে যায়,বুঝা মুশকিল। আর মেধাবী স্টুডেন্ট চাকরি পাবে এটা স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশিরভাগ প্রাইভেট মাস্টারই এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। যাইহোক ভালোবাসাতে কোন পাপ নেই। যেহেতু সবুজ স্যার ছাত্রীদের জন্য চকলেট নিত, তার মানেই স্যার এর মনে কিছু না কিছু আছে সেটার একটি প্রমাণ এটি🤣🤣। যাই হোক মেয়েটি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে দিল আর স্যার জনতা ব্যাংকে চাকরি পেল। দেখা যাক তাদের পূর্ণমিলন হয় কিনা। কারণ এই ধরনের গল্পে বেশিরভাগ গার্ডিয়ানরাই ভিলেনের ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ চমৎকার একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পূর্ণতা পেলো ভালোবাসা, গল্পটা পড়তে আমার কাছে শুরু থেকেই অনেক বেশি ভালো লাগছিল। হেনা এবং সবুজের অবশ্যই মিলন হবে শেষ পর্যন্ত, আর তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে এটা বুঝতে পারছি। অবশেষে দেখছি সবুজ ও ব্যাংকে চাকরি পেয়েছে। পরবর্তীতে কি হয় এটা জানারই অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
জি আপু চেষ্টা করব তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য, ধন্যবাদ আপু।
খুবই রোমান্টিক একটি গল্প আপু। গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। স্যার ও ছাত্রীর প্রেম আশা করছি সফল হবে। যেহেতু স্যার খুব ট্যালেন্টেড এবং ছাত্রী ও মাশাল্লাহ অনেক টেলেন্ট ছিল। এদিক থেকে স্যার জনতা ব্যাংকে চাকরিও পেলো। দেখা যাক তাদের মিলন টা কিভাবে হয়।আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু পরবর্তী পর্ব আরো বেশি রোমান্টিক হবে, ধন্যবাদ আপু।
পূর্ণতা পেল ভালোবাসা গল্পটার প্রথম পর্ব অনেক সুন্দর ছিল। আসলে এভাবে একটা স্টুডেন্টকে অনেক বছর পড়ানোর কারণেই স্যার মেয়েটার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। তার বাবা তো বলে দিয়েছিল সবুজ যত বড় চাকরি করুক না কেন তাকে সেখানে বিয়ে দেবে না। এখন সবুজ ব্যাংকে চাকরি পেয়েছে দেখা যাক তার বাবা কি বলে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
জি ভাইয়া গল্প আসলে অনেক সুন্দর ধন্যবাদ ভাইয়া।
পূর্ণতা পেলো ভালোবাসা গল্পটি অসাধারণ লিখেছেন। আপু তবে এভাবে ছাত্রী এবং টিচারের মধ্যে আসলে ভালোবাসার পূর্ণতা খুবই কম পাই। দেখি আপনার গল্পের শেষ টুকু পড়ে কেমন হয়। অনেক ভালো লাগলো পড়ে আমার। সুন্দর একটি প্রেমের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
এমন রোমান্টিক গল্প পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। হেনা এবং সবুজ যেহেতু একে অপরকে ভীষণ ভালোবাসে,আবার সবুজ তো চাকরি পেয়েছে, তাহলে হেনার পরিবার কেনো রাজি হচ্ছে না সেটাই বুঝলাম না। অনেক পরিবার আছে মেয়ের ইচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়ে, অন্য কোথাও মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ভুল করে ফেলে। ছেলে ভালো হলে মেয়ের ইচ্ছেমতো বিয়ে দিলে আমি মনে করি সবচেয়ে ভালো। যাইহোক এবার যেহেতু সবুজ ব্যাংকে চাকরি পেয়েছে, তাহলে আশা করা যায় হেনার পরিবার মেনে নিবে তাদের সম্পর্ক।