অনেক দিন পরে থ্রি পিস কেনা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
অনেক দিন পরে থ্রি পিস কেনা
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে প্রায় অনেক দিন হলো তেমন কোন থ্রি পিস কেনা হয়। তাই কয়েক দিন আগে এক ভাবির সাথে গিয়েছিলাম থ্রি পিস কিনতে। আসলে থ্রিপিস কিনতে অনেক সময় লাগে। সত্যি বলতে ঈদের পর থেকে আর থ্রি পিস কেনা হয়নি। তাই গিয়েছিলাম বাসায় পরার জন্য থ্রি পিস কেনতে। যদি ও আগেই কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু একা একা মার্কেটে যাওয়া ভালো লাগে না। তর চেয়ে বড় কথা হলো একা পছন্দ করা কেমন যেন মনে হয়। তাই কয়েক দিন আগে বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসার সময় এক ভাবি বললো চলো বাজারে যায়।তখন আমি ও যাবার জন্য মানুষ খুঁজেছিলাম। তাই ভাবি বলাতে আর না করিনি। তো চলুন বন্ধুরা দেখে নেয় আমার আজকের পোস্ট।
আমি যেহেতু মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসেছি তাই আমি শুধু থ্রি পিস কিনে চলে আসব।তবে থ্রিপিসের দোকানে যাবার আগে ভাবির চোখে পড়ল শাড়ির দোকান।উনি আবার শাড়ি পরে না তবে কেনার জন্য অস্হির থাকে। যাইহোক তারপর আবরা দুজনে বসলাম শাড়ির দোকানে। অনেক গুলো সুতি শাড়ি দেখাল। অবশেষে আমরা একটা শাড়ি পছন্দ করলাম। শাড়ি আমারো পছন্দ হলো, আসলে শাড়ি একেবারে পড়া হয়না তাই কেনার আগ্রহ ছিল না।অবশেষে ভাবি ১,০০০ টাকা দিয়ে কিনে নিল।
তারপর সোজা চলে আসলাম এক দরের থ্রিপিস এর দোকানে। আসলে একদরের দোকানে একটা সুবিধা হলো থ্রি পিস পছন্দ হলে তার দামাদামি করতে হয় না। যাইহোক আমাদের সময় অনেক কম ছিল। আসলে বোঝেনি তো বাচ্চাদের স্কুলে রেখে গেলে টেনশন কাজ করে। তবে আমি বেশির ভাগ সময় সাথে নিয়ে যায়, আসলে অনেক গরম তারপর আবার নিয়ে গেলে স্কুলে যেতে পারবে না। দোকানদার অনেক গুলো থ্রি পিস আমাদের দেখালো। আসলে আমি চেয়েছিলাম একটু সুতি থ্রি পিস। উনি বেশ কিছু থ্রি পিস দেখালো। অবশেষে একটা থ্রি পিস পছন্দ হলো ও কিনে নিলাম। দোকাদার হাতের থ্রি পিসটা কিনে নিলাম। তারপর চলে আসলাম পাশে আর এক দোকানে। আসলে আরো দুটি থ্রি পিস কিনব।
অন্য দোকানে এসে সাথে সাথে দুটি থ্রি পিস পছন্দ হলো। আসলে থ্রি পিস গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। তবে এই দোকানে আবার থ্রি পিস গুলো অনেক ভালো, তবে দামাদামি করতে হবে এটা এক ঝামেলার কাজ মনে হয়। ।তবে আমার সাথের ভাবি আবার অনেক ভালো দাম করতে পারে। তারপর আরো দুটি সুতি থ্রি পিস কিনলাম। একটা ভাবি নিল আর একটা আমার জন্য। যাইহোক অনেক দিন পরে হলেও পছন্দ মতো দুটি থ্রি পিস নিয়েছি থ্রি পিস গুলো আমার অনেক ভালো পছন্দ হয়েছে ।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
যাক অবশেষে দুইটি থ্রিপিস কিনেছেন তাহলে৷ আমি তো ভেবেছি ৩ টাই কিনবেন। আসলেই একদাম এর দোকান গুলোতে সুবিধা হয়। দর দাম করা আমার কাছে বিরক্ত লাগে। শুভকামনা রইল আপু।
আপু দরদাম করে থ্রি পিস কত দিয়ে কিনলেন?? বাজারে গেলে একা একা আমারো ভালো লাগে না। কাউকে না কাউকে লাগে সাথে, যে আবার ভালো দরদাম করতে পারে এমন। আমি আর আমার হাসবেন্ড যদি যাই, বাসায় এসে মনে হয়, দাম বেশি নিয়ে ফেলেছে,ঠকে গেছি 😂
আপু আপনার মতো আমারো একই অবস্থা, দুটি থ্রি পিস ১৮০০টাকা নিয়েছে।ধন্যবাদ আপু।
মানুষের জীবন ব্যস্ততাময় আর এই ব্যস্ততার জন্য অনেক সময় নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে যাওয়ার সময় হয়ে ওঠেনা। এরপরও আমি যতটুকু জানি আপু আপনার বাসার সবাই অসুস্থ ছিল। হয়তোবা এর জন্য আপনার থ্রি পিস কিনতে যাওয়া হয়নি। যাক তবুও অবশেষে আপনি মেয়েকে স্কুলে দিয়ে থ্রি-পিস কিনেছেন এটা যেন বেশ ভালো লাগলো। আপনার ভাবীর বিষয়টা জেনে বেশ ভালো লাগলো শাড়ি পড়ে না আবার তিনি শাড়ি কেনার জন্য পাগল হয়ে যায় 😃😃। ব্যাপারটা বেশ মজার ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া নিজের জন্য কিছু কেনায় হয় না,আর বর্তমান শাড়ি কেউ তেমন পড়ে না।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে একা একা এভাবে মার্কেটে যেতে আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগেনা। ওইভাবিটা বলার সাথে সাথে আপনিও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন, কারণ আপনার ও আসার কারণ ছিল। অনেক সুন্দর থ্রি-পাস কিনেছিলেন আপনি। ওই ভাবিটা ও থ্রি-পিস কিনেছিল এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আর তিনি একটা শাড়ি কিনেছিলেন এটা জেনে তো আরো ভালো লেগেছে।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন একা একা যেতে আসলে ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপু।
কেনাকাটা করতে সবার কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি নিজেও কেনাকাটা করতে পছন্দ করি। আর মেয়েরা তো একটু বেশিই পছন্দ করে। তবে যাই বলুন না কেন দোকানে গেলে কিন্তু সবকিছু পছন্দ হয়ে যায়। আমার তো ইচ্ছে করে সবগুলো নিয়ে আসতে। বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছিলেন দেখছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যা দেখি সব কিছুই ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে এ কেনাকাটা করতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি নিজের জন্য হলেও বা অন্যের জন্য কেনাকাটা বরাবরই আমাদের সকলের অনেক বেশি শখের একটা কাজ। আপনার ভাবির সাথে থ্রি পিস কিনতে গিয়েছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আসলে একা একা কোথাও যেতে তেমন একটা মন চায় না সাথে একজন থাকলে খুবই ভালো হয়। দরদাম করে অবশেষে দুজনের জন্য দুটো থ্রি-পিস নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ঠিক বলেছেন আপু, একা একা বাজারে গিয়ে কিছু কিনতে ভালো লাগে না। একদরের দোকান থেকে কেনার সুবিধা আছে। কারণ, দামাদামি করাটা আসলেই ঝামেলার ব্যাপার। খুব ভালো লাগলো আপনার থ্রিপিস কেনার মূহুর্তটা পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু একা একা বাজারে গেলে আসলে ও ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যস্ততার মাঝেও নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনাকাটা করতে ভীষণ ভালো লাগে।তবে একা কেনাকাটা আমিও পারিনা করতে।কেউ একজন গেলে ভালো লাগে।আপনি ভাবীর সাথে গিয়ে থ্রিপিস কিনলেন।আর দুজনের থ্রিপিস খুব পছন্দ হলো আপনাদের। জেনে খুব ভালো লাগলো। কেনাকাটার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু সাথে একজন গেলে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।