ভৈরব ও বজরংবলী ঠাকুর দেখা। (১০% @shy-fox এর জন্য বরাদ্দ।)
নমস্কার সবাইকে। ভগবানের কৃপায় আমি ভালো আছি। আশা করি আপনারাও ভালো আছেন।
আমরা সবাই জানি বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সেই নববর্ষ পালন থেকে শুরু। এরপর একের এক উৎসব চলতেই থাকে। রাম নবমী, অক্ষয় তৃতীয়া, জামাই ষষ্ঠী, দশহরা, স্নানযাত্রা, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী, দুর্গাপুজো, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর পর আসে জগদ্ধাত্রী পুজো ও রাস উৎসব। এরপর যেটা আসে সেটার সাথে সকল বাঙালি হয় তো পরিচিত নয়। কার্তিক মাসের সংক্রান্তির দিন আসে কার্তিক পুজো। কাটোয়ার কার্তিক পুজো বিখ্যাত। তবে আমাদের বহরমপুরে কার্তিক পুজোর তেমন চল নেই। এখানে এই দিনে হয় ভৈরব পুজো, রাম পুজো ও বজরংবলী পুজো। বহরমপুরের ভৈরব পুজো শতাধিক বছরের পুরোনো।
বিগত কয়েক বছর ধরে ভৈরব পুজোর সাথে বহরমপুর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে বহু বজরংবলী পুজো হচ্ছে। সংক্রান্তির দিন আমি কলকাতাতে থাকায় আজ সকালে গাড়ি নিয়ে আমাদের এলাকার কিছু ঠাকুর দর্শন করতে বেরোলাম।
এটা আমাদের পাড়ার পুজো। বেশ কয়েক বছর ধরে পাড়ার ছোট ছেলেরা এই বজরংবলী পুজো করছে। প্রতি বছর আমি এদের সাধ্যমত চাঁদা দি। এরা বাড়িতে প্রসাদও দিয়ে যায়।
এটা আমাদের পাশের পাড়া, ঘোষ পাড়ার ভৈরব পুজো। এই এরাও বেশ কয়েক বছর ধরে পুজো করছে। এই ভৈরবের উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট। প্রতিমা শিল্পী ব্যোম ঘোষ ও সুশান্ত ঘোষ।
এটা ঘোষ পাড়ার বজরংবলী পুজো। এটাও বেশ কয়েক বছর ধরে হচ্ছে। এখানে খুব ধুমধাম করে এই পুজো হয়। প্রতিবছর এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এই বজরংবলী মূর্তির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট। এখানে প্রতিবছর নর নারায়ণ সেবা হয়, যাতে কয়েকশো মানুষ প্রসাদ লাভ করেন।
এটি ঐ পাড়ার আর একটি পুজো। এখানে প্রতি বছর শ্রীরামের পুজো হয়। এবছর অবশ্য শ্রীরামের প্রতিমায় বজরংবলীও যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি অবস্থিত এই দুটো পুজোর মধ্যে খুবই রেষারেষি চলে। কারা কত ভালো করে পুজো করবে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।
এটি দক্ষিণ কলোনীর পুজো। এবছর এই ভৈরব পুজো খুবই সাধারণ ভাবে হয়েছে, আগে ধুমধাম করে হতো। এখানে প্রতিবছর বাউল গানের অনুষ্ঠান হতো। করোনার পর থেকে এই ভৈরব পুজো সাধারণ ভাবেই হচ্ছে।
এটি আমাদের স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বজরংবলী পুজো। বেশ ধুমধামের সাথে এই পুজো হয়ে থাকে। এবছর দুদিন ধরে বাউল ও লোকসঙ্গীতের অনুষ্ঠান হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কিছু কথা না বললেই নয়। আমাদের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার কার্তিক পুজোও বিখ্যাত। বেলডাঙ্গাতে পুজোর পরদিন কার্তিক লড়াই হয়। কার্তিক লড়াই আসলে বেলডাঙ্গার সমস্ত ঠাকুর, বাজনা নিয়ে এক বিশাল শোভাযাত্রা। যা দেখতে জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সমবেত হয়।
ভৈরব ও বজরংবলী ঠাকুর দেখা নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া। আপনার পাড়ার পুজো মণ্ডপ এবং বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ গুলো দেখে ভালই লাগলো। মূর্তিগুলো দেখতে বেশ সুন্দর। যদিও এই পুজোগুলো সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নেই তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম দাদা। কার্তিক লড়াই দেখতে বিভিন্ন জায়গার মানুষ একত্রিত হয় জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্টের জন্য। কার্তিক লড়াই দেখতে কেমন ভীড় হয় দেখুন। আমি যদিও কখনো যাইনি। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
হ্যাঁ আমার এক বান্ধবীর মুখে শুনেছিলাম বটে যে মুর্শিদাবাদে ভৈরব পুজো হয়।ও ছোটবেলআয় বহরমপুর থাকতো। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে হয় তা জানতাম না। ভালোই হল তোর মাধ্যমে দর্শন হয়ে গেলো।
আগের কমেন্টে দেখ কিছু ছবি দিয়েছি ওগুলো দেখলে কার্তিক লড়াই টাও বুঝতে পারবি। ধন্যবাদ তোকে।