অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা (তৃতীয় পর্ব)
যদিও সে তার বসের কথা শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তখন তার বস তাকে এই কথা বলে হুমকি দেয় যে তুমি কার কাছ থেকে কত টাকা নেও সেটা আমার খুব ভালো জানা আছে অতএব আমার সামনে বেশি নীতিবান সাজার চেষ্টা করো না তখন স্বামী বুঝতে পারে তার নেয়া সেই ছোটখাট উপহারগুলো আজ তার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরবর্তীতে শামীম আর তার বসের কথার অবাধ্য হতে পারে না। সেদিন সে প্রথমবারের মতো বড় অঙ্কের টাকা হাতে পেয়েছিলো। এরপর থেকে তার জীবনটা যেন একধরণের ঘোরের মধ্যে চলতে লাগল।
দুর্নীতি যেন এক অদৃশ্য ভাইরাস। একবার শরীরে ঢুকে গেলে সেটা পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে। শামীমের ক্ষেত্রেও তাই হলো। টাকা আসতে লাগল, দামি গাড়ি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, এবং বন্ধুদের প্রশংসা। প্রথম দিকে কিছুটা অপরাধবোধ কাজ করলেও, ধীরে ধীরে সে মানিয়ে নিল। প্রতিবার ঘুষের টাকা নেওয়ার পর নিজের মনকে সান্ত্বনা দিত—"কেউ দেখছে না, এটা কেউ জানবে না।" কিন্তু আসলেই কি অন্য কেউ জানবে না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।