সামান্য ব্যাপার নিয়েও হিংসে!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যায়। প্রতিদিনকার দৈনন্দিন বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে আমার বরাবর ই ভালো লাগে। তো আজকে আসলে একটি ব্যাপার লক্ষ করেছি এবং পরে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি লেখা শেয়ার করা যাক। তাহলে চলুন মূল কথায় চলে যাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে।

কয়েকদিন আগে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে কয়েকটা গ্রুপ প্রজেক্ট এর কাজ ছিলো অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং এ তো এসব প্রজেক্ট কিংবা বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা প্রেজেন্টেশনে সব লেগেই থাকে। তো এসবের মধ্যে আসলে খুব একটা সময় পাইনা। যাই হোক এটা আসল ব্যাপার নয়। মূল ব্যাপার হলো একটা প্রেজেন্টেশন কিংবা প্রজেক্ট এমন কিছু একটাতে ম্যাম আমাদের প্রেজেন্টেশনটা অসম্ভব বেশি পছন্দ করেছিলেন ।

এবং সেটা ম্যামের কথাতে আমরা বুঝতে পেরেছি। কারণ ম্যাম অনেক বেশি খুশি হয়েছিল আমাদের প্রজেক্ট টি দেখে এবং আমাদের প্রেজেন্টেশন দেখে। সে সাথে আমাদের রিপোর্টগুলো দেখে বেশ খুশি হয়েছিলেন।আর সত্যি কথা বলতে আমরা অনেক সময় দিয়েই করেছিলাম। কারণ আপনারা সবাই জানেন ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রজেক্ট গুলো খুব সহজ হয় না। অর্থাৎ বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কাজ করতে হয়। আর এক একটা ইলেকট্রিক্যাল কাজ করতে অনেকগুলি ইলেকট্রিকাল পার্টস এর দরকার হয়।যাই হোক সব মিলিয়ে আসলে কষ্ট করেছি বলেই কিন্তু, ম্যাম আমাদের কাজে খুশি হয়েছিলো।

কিন্তু মূল ব্যাপার হলো ম্যাম যে আমাদের কাজে খুশি হয়েছে। তা নিয়ে ক্লাসের অনেকের মনের অসম্ভব বেশি হিংসার চলে এসেছে। এবং আমাদের সাথে কারণে অকারনেই তাই অভদ্র আচরণ করা শুরু করেছে। এবং তাদের আচরণে বুঝা যাচ্ছে যে তারা আমাদের মোটেও পছন্দ করছে না এবং আমরাও বুঝতে পারছি তারা কেনো আমাদের পছন্দ করছে না।

মাঝেমধ্যে আসলেই ব্যাপারগুলোকে অবাক লাগে, যে মানুষ কতো সামান্য সামান্য বিষয় নিয়েও হিংসা করতে পারে। যা আসলে আমরা হয়তো কখনো ভেবে ও উঠি না!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।