একাকীত্বের ভয়ংকর দিক

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি।আশা করছি আজকের লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে। কারণ আজকে একটি বেশ স্পর্শ কাতর বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে চলেছি।

প্রতিনিয়তই আমরা ফেসবুকে কিংবা নিউজে সব সময় দেখি যে মানুষ খুব বেশি আত্মহত্যা করছে। অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে ততোই যেনো আত্মহত্যার প্রবণতা মানুষের মধ্যে খুব বেশি বেড়ে যাচ্ছে। এবং এটা একটা জাতির পক্ষে খুব ভয়ংকর একটি ব্যাপার। কারন আত্মহত্যা মানে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সুন্দর জীবনটিকে নিজের হাতে হত্যা করা। যেটার অধিকার সৃষ্টিকর্তা আমাদের কোনো ভাবেই দেননি।

আমি যদি আমাদের ধর্মের কথা বলি। অর্থাৎ প্রতিটি ধর্মেই কিন্তু আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে লিখিত রয়েছে। অন্য ধর্মের একেবারে ডিটেলসে ব্যাপারগুলো তো আমি জানি না। কিন্তু আমার ধর্মের কথা যদি আমি বলি। তাহলে আমাদের ধর্মে বর্ণিত রয়েছে যে। যে আত্মহত্যা করবে সে কখনোই জান্নাতে যাবে না। কারণ সে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটিকেই নষ্ট করেছে।

তবে ব্যাপারটা কিন্তু বেশ অদ্ভুত যে, কেনো দিন দিন খুব বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এই আত্মহত্যার একটা বড় কারণ হলো একাকীত্ব এবং বিভিন্ন জরিপেও কিন্তু সেটাই উঠে এসেছে।

কয়েকদিন আগে কোনো একটা বেসরকারি জরিপে দেখলাম যে আত্মহত্যা করার সবচেয়ে মূল কারণ হলো একাকীত্ব। অর্থাৎ মানুষ যতো দিন যাচ্ছে ততো বেশি সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে এবং নিজ জীবনে হয়ে যাচ্ছে একা। যেটার সরাসরি প্রভাব ফেলছে মানুষের মস্তিষ্কে এবং চিন্তা ভাবনায়। মানুষ যতো একা হচ্ছে, ততোই তার কাছে মনে হচ্ছে যে জীবন যেনো মূল্যহীন এবং একটা মানুষের কাছে যখন নিজের জীবন মূল্যহীন মনে হয়। তখন তার নিজের জীবনটা রাখতেও ইচ্ছে করে না।

তাহলে এবার আমরাই ভেবে দেখি যে, একাকীত্ব কতোটা ভয়ঙ্কর। আমার কাছে তো মনে হয়, মানুষের জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটাই হলো একা থাকা। কারণ মানুষ একা বাঁচতে পারে না।

তাই আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর আমাদের অবশ্যই একটু খোঁজখবর নেওয়া উচিত। কারণ আমরা প্রায় সময় এটা দেখে থাকি যে। একটা মানুষ যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় কিংবা কোনো ভুল স্টেপ নেয়।তখন সবাই হাঁ হুতাশ করে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ওই মানুষটা কেমন আছে, খেয়েছে কিনা কিংবা ভালো আছে কিনা সেটা খবর নেওয়ারও আমাদের কারো সময় হয়ে ওঠেনা।

একাকিত্বের ব্যাপারটা কিংবা একাকিত্বের প্রভাব যে কতোটা ভয়ংকর তা আমরা তখনই কল্পনা করতে পারি। যখন আমাদের খুব কাছের কেউ আত্মহত্যা করে ফেলে। তাই আমরা এখন থেকেই আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর একটু হলেও খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।যাতে কাওকে এই একাকিত্ব গ্রাস না করতে পারে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।