ভালো মানুষীর মুখোশ এর আড়ালে চুরি।

আজকে চলে এসেছি আরও একটা লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সবার বেশ ভালোই লাগবে।

আমি প্রতিনিয়ত আমার চিন্তা ভাবনা গুলোকে লেখার মাধ্যমে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করে থাকি। আজকেও ঠিক তেমন একটা লেখা নিয়ে চলে এসেছি অর্থাৎ একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করছিলাম, ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।

আসলে খুব খেয়াল করে দেখলে বুঝবেন যে আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা একেবারে দিনে দুপুরে ডাকাতি করার মত করে চুরি করে। কিন্তু সবার সামনে একেবারে ফুলবাবুটি সেঁজে থাকে।
আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা আবার তাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান করে থাকি। কারণ ওই যে তারা যে একেবারে সাহেব সেঁজে থাকে, আমরা ভাবি তারা আসলে ততোটাই ভালো মানুষ। যাকে আমাদের সাধারণ বাংলা ভাষায় মিচকা শয়তান বলা হয় আরকি। অর্থাৎ ওই ধরনের মানুষ গুলো দেখবেন চুরি-চামারি খুব ভালোই করতে পারে। এরপরে আবার লেবাস টাও খুব ভালোই ধরতে পারে।

এ ধরনের মানুষ আসলে আমরা যদি চোখ কান খোলা রাখি তবে হরহামেশাই দেখতে পাই। এবং সবচেয়ে মজার আরেকটি বিষয় হলো আমরা তাদের আমাদের আশেপাশেই দেখতে পাই।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমরা তাদেরকে আমাদের আশেপাশে দেখলেও তাদেরকে আমাদের আশেপাশ থেকে সরাতে পারি না। শুধুমাত্র আমাদের চক্ষু লজ্জার কারণে। অর্থাৎ আমাদের কিছু ভালো মানুষের কারণেই আমরা খারাপ মানুষদের সুযোগ দিয়ে ফেলি।

অর্থাৎ উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি যে ধরুন আমার আশেপাশে কেউ চুরি করছে। কিন্তু আমি শুধু মাত্র তার সম্মান চলে যাবে কিংবা তাকে কিছু বললে ব্যাপারটা কেমন জানি দেখাবে সে কারণেই তার চুরিটা ধরিয়ে দিতে পারছি না। তবে দিনশেষে একটা কথা না বললেই না তা হলো, অন্যায় যে সহে এবং অন্যায় যে করে তারা দুজন ই সমান অপরাধী এবং তাই আমি মনে করি। তাই আমরা সবাই সমান অপরাধী যারাই এ ধরণের খারাপ কাজ দেখেও তাদেরকে বাঁধা দিতে পারি না শুধুমাত্র চক্ষু লজ্জার কারণে।

আর দুঃখের বিষয় হলো তারা ঠিক এই ব্যাপারটারির সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন তাদের অপকর্ম করতে থাকে। আর আমাদের সমাজটা এভাবে দূষিত করতে থাকে। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই আসলে বুঝা যায় যে আমাদের চারপাশে কতো ভালো মানুষের মুখোশ পরে কতো খারাপ মানুষরা ঘুরে বেড়ায়। আর যদি তা সহায় -সম্পত্তি কিংবা টাকা-পয়সার বিষয় হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। অর্থাৎ এই বিষয়গুলোতেই এই ধরনের মানুষ বেশি দেখা যায়, ঠিক বললাম তো?