গল্পটি কবিতায়||স্বরচিত কবিতা - চাঁদের গায়ে দাগ পরেছে।

---

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।

---

শিল্পীপ্রেমীদের উদ্দেশ্য সামান্য কথা

---

আমি জানি এখানে অনেক অনেক শিল্পীপ্রেমী রয়েছে। আর আমি চাই আমি ওই শিল্পীপ্রেমীদের মনের এক কোণায় জায়গা করে নিতে। তবে তা চাই সম্পূর্ণই নিজের যোগ্যতা,নিজের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করেই।তাই জন্য আমার আজকের এই সামান্য প্রচেষ্টা। @amarbanglablog কমিউনিটিতে আমার আরো একটি নিজের লিখা কবিতা ।আশা করি সবার ভালো লাগবে,

আমি আজকে আমার আরও একটি নতুন ধরনের চিন্তাধারা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে আমার নিজের চিন্তাগুলোকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য। অনেকেই পড়েন কিংবা অনেকেই পড়েন না। তবে আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার নিজের মতো করে সবকিছু গুছিয়ে লেখার জন্য। আসলে আমি সবসময়ই একটু ভিন্ন ধরনের চেষ্টা করি চিন্তা করার আমি জানিনা আমি আমার চিন্তা টিকে আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবো কিনা।
তবে হ্যাঁ আমি চাই আপনারা সকলেই আমার লেখাগুলো বুঝুন। সেই কারণেই আমি আমার লেখাতে খুব বেশী কঠিন ভাষা ব্যবহার করি না। তার কারণ আমরা অনেকেই একটু কঠিন ভাষা গুলো বুঝি না। আর বাংলা ভাষা আসলে খুব একটা সহজ ও নয়, যথেষ্ট কঠিন একটি ভাষা। এবং আমি নিজেও খুব একটা পারদর্শী না। সে কারণে আমি আমার লেখার খুব সহজ ভাষা ব্যবহার করি। আপনাদের কেনো বলছি আমি! আমি নিজেও অতিরিক্ত কঠিন ভাষা বুঝি না কিংবা জানিও না।

যাইহোক সেসব, আমি আজকে আপনাদের সামনে একটি নতুন ধরনের লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে আমি চারপাশের অনেক গল্পই শুনি কিংবা অনেকের লেখা পড়ি। গতকাল রাতেই এমন একটি লেখা পড়লাম।

দুজন ছেলে মেয়ে হুট করে প্রেমে পরে গিয়েছিল এবং তারা প্রেমটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল বহুবছর। কিন্তু যখন ছেলেটা মেয়েটির প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পরে। ঠিক তখনই মেয়েটি অন্য একটি ছেলেতে আসক্ত হয়ে যায়। আর এরপরে যা হওয়ার তাই হয়। অর্থাৎ দিনশেষে ছেলেটি মেয়েটি দুজনে সুখী হয় না। ছেলেটি ধোঁকা খেয়ে সুখী হয় না এবং মেয়েটির ধোঁকা দিয়ে সুখি হয়না। কারণ মানুষ ঠকানো কখনোই সুখ বয়ে আনতে পারে না।
সে কাহিনীটিকে ঘিরেই আমার আজকের এ কবিতা,

---

কবিতার নামঃ চাঁদের গায়ে দাগ পরেছে।

---

হুট করে প্রেমে পরার চেয়ে হুট করে চলে যাওয়া কষ্টের,
হুট করে হওয়া প্রেম গুলোর শেষটার উপসংহার নষ্টের।
ভালোবাসার নিত্য নতুন উদাহরণ এ বিভর,
ভুলে যাই তাতে ঠকানোর গল্প অহর অহর।

নিষ্পাপ আঁখির চকচকে চাহনীর প্রেমে মত্য,
বুঝতে পারিনা চাহনী চকচকে নয় অভিশপ্ত ।
স্বপ্নের মায়াজালে বুণা কতো গল্প,
শেষ হতে সময়টা নেয় বেশ অল্প।
স্বপ্নের মায়াজাল আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে,
আমি বোধ হারিয়ে কুল না পাই,
আমি হাত বাড়াই সুখ বারংবার হারাই।

সুখের চাবির গোঁছা ভেবে দুঃখ কুড়াই,
আমি ভালোবাসা শেখাই ভালোবাসা দিয়ে।
ভালোবাসার পরশ অন্যের হয়,
আমার প্রেমের মরিচিকা পরে রয়।

প্রথম দেখার চঞ্চল সে ভীষণ বুঝতে শেখে,
হুট করেই সে বদলে যায় ,হয় অন্য বেশে।
চঞ্চলা আজ বুঝতে শিখেছে,
চঞ্চলতা ও খুব কমেছে।
আমার আজ অপ্রয়োজনের খাতায় নাম উঠে,
আমি খাতার প্রথম পাতা,
ছিড়ে ফেলেছে,অপ্রয়োজন তো বটে।

ভালোবাসা শিখিয়ে আমি হচ্ছি আজ অপরাধী,
ভালোবাসা শিখিয়ে আমি নিচ্ছি দায়ের ভারী।
ভালোবাসা শিখিয়ে আমি সংসার খেলায় মাতি,
ভালোবাসা শিখিয়ে আমি ভুলে যাই তাসের ঘরে হয় ভাঙ্গাভাঙ্গি।

প্রথম প্রেমের প্রথম অনুভূতি দেয় ভীষণ পীড়া,
আমি ভালোবাসি তবুও যেনো,
তোমায় মাপি মণি-মুক্তা কিংবা হীরা।

হীরা চিনতে ভুল করেছি,
নকলকে আসল পরখ করেছি।
নকলের সে চকচকানি,
বুঝতে দেয়নি মিথ্যের পরশমণি।

মণি-মুক্তোর সমতুল্য তোমায় আমি নিয়েছি,
তুমি ভীষণ অপরাধী অন্তর দিয়ে তা বুঝেছি।
হীরে জহরত নিজের হয়না,
তুমি সে মুক্তো মালা।

চাঁদের গায়ে দাগ পরেছে,
আমার অন্তর ছিলো চাঁদখানা।
এলে চাঁদের গায়ের দাগগুলো তুমি হয়ে,
দূরত্বতে সুন্দর তাই,ভুল ভাঙ্গে খুব কাছে এলে।

---

সমাপ্তি

---

কবিতা ব্যাপারটি ভীষণ স্পেশাল।অনেকের কাছে কবিতা মানে শুধু যা মন চায় লিখে দেওয়া।তবে আমার মতো কবিতা প্রেমী মানুষদের কাছে কবিতা মানে ভাবের বহিঃপ্রকাশ,কবিতা মানে ভালোবাসা,কবিতা মানে কোনো গল্পকে ছন্দে বাঁধা,কবিতা মানে ছন্দে ছন্দে গল্প গুলোকে সকলের সামনে উপস্থাপনা করা।তাই আজকাল কবিতা লেখার ট্রাই করছি অল্পস্বল্প।খুব একটা ভালো না হলেও ,আপনাদের যে ভালোবাসা পাই তা ই আমার জন্য যথেষ্ট।

ধন্যবাদ সকলকে আমার কবিতা পড়ার জন্যে।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---